'কদর্থ' কোন সমাসের উদাহরণ?
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
উত্তরের বিবরণ
কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয়।
১. দুটি বিশেষণ পদে একটি বিশেষ্য বোঝালে।
উদাহরণ: যে চালাক সেই চতুর → চালাক-চতুর
২. দুটি বিশেষ্য পদে একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালে।
উদাহরণ: যিনি জজ তিনিই সাহেব → জজ সাহেব
৩. কার্যের পরম্পরা বোঝাতে দুটি কৃতান্ত বিশেষণ পদেও কর্মধারয় সমাস হয়।
উদাহরণ: আগে ধোয়া পরে মোছা → ধোয়ামোছা
৪. পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়।
উদাহরণ: সুন্দরী যে লতা → সুন্দরলতা, মহতী যে কীর্তি → মহাকীর্তি
৫. পূর্বপদে বিশেষণবাচক মহান বা মহৎ শব্দ থাকলে 'মহৎ' বা 'মহান' স্থানে ‘মহা’ হয়।
উদাহরণ: মহৎ যে জ্ঞান → মহাজ্ঞান, মহান যে নবি → মহানবি
৬. পূর্বপদে ‘কু’ বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে 'কু' স্থানে ‘কৎ’ হয়।
উদাহরণ: কু যে অর্থ → কদর্থ, কু যে আচার → কদাচার
৭. পরপদে ‘রাজা’ শব্দ থাকলে কর্মধারয় সমাসে এটি ‘রাজ’ হয়।
উদাহরণ: মহান যে রাজা → মহারাজ
0
Updated: 1 month ago
‘সংখ্যাবাচক’ শব্দের সাথে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে কী সমাস বলে?
Created: 1 month ago
A
দ্বন্দ্ব
B
দ্বিগু
C
কর্মধারয়
D
বহুব্রীহি
‘সংখ্যাবাচক’ শব্দের সাথে বিশেষ্য পদের সমাসকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে প্রথম পদ হয় সংখ্যাবাচক শব্দ এবং পরের পদ সাধারণত বিশেষ্য পদ হয়।
যেমন—
-
তিনজন → তিন + জন
-
পাঁচটি → পাঁচ + টি
-
একশ টাকা → একশ + টাকা
এখানে সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ্যকে নির্দিষ্ট বা পরিমাণ বোঝায়। এজন্য এ সমাসকে দ্বিগু সমাস বলা হয়।
সুতরাং, ‘সংখ্যাবাচক’ শব্দ + বিশেষ্য পদের সমাস = দ্বিগু সমাস।
0
Updated: 1 month ago
নীল যে অম্বর = নীলাম্বর- কোন সমাস?
Created: 2 days ago
A
বহুব্রীহি
B
তৎপুরুষ
C
কর্মধারয়
D
অব্যয়ীভাব
‘নীলাম্বর’ শব্দের সমাস হলো কর্মধারয়।
ব্যাখ্যা:
-
কর্মধারয় সমাসে বিশেষণের সাথে বিশেষ্য সমাসিত হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।
-
‘নীলাম্বর’ শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—‘নীল’ হলো বিশেষণ, ‘অম্বর’ হলো বিশেষ্য। একত্রে এর অর্থ হলো ‘নীল রঙের আকাশ’।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
‘রাঙামাটি’ = রাঙা + মাটি
-
‘নীল দরিয়া’ = নীল + দরিয়া
-
-
অর্থাৎ বিশেষণ + বিশেষ্য সমাসিত হয়ে কর্মধারয় সমাস তৈরি করে, যেখানে বিশেষ্য প্রধান অর্থ বহন করে।
-
কর্মধারয় সমাস বাংলা ব্যাকরণে বিশেষণ ও বিশেষ্যের সংমিশ্রণে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি শব্দগঠন ও সমাসবোধন বুঝতে সহায়ক।
0
Updated: 2 days ago
কোন শব্দে সমাস-ঘটিত অশুদ্ধি ঘটেছে?
Created: 1 month ago
A
কৃপণতা
B
সুবুদ্ধিমান
C
স্বতন্ত্রতা
D
অধৈর্যতা
সমাস-ঘটিত অশুদ্ধি হলো সুবুদ্ধিমান, যার শুদ্ধ রূপ হলো সুবুদ্ধি। এই ক্ষেত্রে ‘মান’ যুক্ত করা অনর্থক ও অপ্রয়োজনীয়।
অন্যদিকে—
-
‘তা’ প্রত্যয় ঘটিত অপপ্রয়োগ হয়েছে অধৈর্যতা শব্দে। এর শুদ্ধ রূপ হলো অধৈর্য বা ধীরতা।
-
স্বতন্ত্রতা এবং কৃপণতা শব্দগুলোর প্রয়োগ শুদ্ধ।
0
Updated: 1 month ago