নিচের কোনটি অশুদ্ধ?
A
জ্যোতির্বিদ্যা
B
জ্যোতিষ্মান
C
জ্যোতির্মণ্ডল
D
জ্যোতির্বীদ
উত্তরের বিবরণ
অশুদ্ধ বানান: জ্যোতির্বীদ
শুদ্ধরূপ: জ্যোতির্বিদ
-
এটি বিশেষ্য ও বিশেষণ উভয় পদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-
অর্থ:
-
জ্যোতির্বিদ্যায় পাণ্ডিত্য রয়েছে এমন ব্যক্তি।
-
জ্যোতির্বিদ্যায় অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
-
অন্য প্রাসঙ্গিক শব্দ:
-
জ্যোতির্বিদ্যা — জ্যোতির্বিজ্ঞান
-
জ্যোতির্মণ্ডল — নভোমণ্ডল
-
জ্যোতিষ্মান — জ্যোতির্ময়, দীপ্তিমান, আলোকময়
উপরের প্রদত্ত বানানগুলো শুদ্ধ।
0
Updated: 1 month ago
পুরস্কার বানান, নিচের কোন শব্দটির বানান শুদ্ধ?
Created: 3 weeks ago
A
পুরস্কার
B
পূরস্কার
C
পুরষ্কার
D
পূরষ্কার
বাংলা ভাষায় ‘স্ক’ ও ‘ষ্ক’ যুক্তবর্ণ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। মূল সমস্যা হলো কোন ক্ষেত্রে ‘স্ক’ হবে আর কোন ক্ষেত্রে ‘ষ্ক’ হবে তা বুঝতে না পারা। এই বিষয়টি বুঝলে পুরস্কার, পরিষ্কার, মনস্কামনা, আবিষ্কার ইত্যাদি শব্দের সঠিক বানান সহজে নির্ধারণ করা যায়।
নিচে সহজভাবে নিয়ম ও উদাহরণসহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো—
সহজ কৌশল:
-
যুক্তবর্ণ (‘স্ক’ বা ‘ষ্ক’)–এর আগের বর্ণের দিকে লক্ষ্য করুন।
-
যদি সেই বর্ণটির সঙ্গে ই-কার বা উ-কার যুক্ত থাকে, তাহলে যুক্তবর্ণ হবে ‘ষ্ক’।
-
আর যদি ই-কার বা উ-কার না থাকে, তাহলে যুক্তবর্ণ হবে ‘স্ক’।
উদাহরণ বিশ্লেষণ:
-
পুরস্কার: ‘র’ বর্ণটি ফ্রি আছে (কোনও ই-কার/উ-কার নেই) → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: পুরস্কার -
পরিষ্কার: ‘র’–এর সঙ্গে ই-কার যুক্ত → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: পরিষ্কার -
মনস্কামনা: ‘ন’ ফ্রি আছে → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: মনস্কামনা -
আবিষ্কার: ‘ব’–এর সঙ্গে ই-কার আছে → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: আবিষ্কার -
বহিষ্কার: ‘হ’–এর সঙ্গে ই-কার আছে → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: বহিষ্কার -
নমস্কার: ‘ম’ ফ্রি আছে → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: নমস্কার
ব্যাকরণগত নিয়ম (বিসর্গ সন্ধি):
এ নিয়ম অনুসারে ‘ঃ’-এর পরিবর্তন হয় পরবর্তী ধ্বনির উপর নির্ভর করে—
-
যদি ‘অ/আ’ স্বরধ্বনির পরে বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং তার পরে অঘোষ কণ্ঠ্য বা ওষ্ঠ্য ধ্বনি (ক, খ, প, ফ) আসে → ‘ঃ’-এর স্থলে স হয়।
যেমন:
পুরঃ + কার → পুরস্কার
নমঃ + কার → নমস্কার
তিরঃ + কার → তিরস্কার
মনঃ + কামনা → মনস্কামনা -
আর যদি ‘অ/আ’ ছাড়া অন্য স্বরধ্বনির পরে বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং তার পরে অঘোষ কণ্ঠ্য বা ওষ্ঠ্য ধ্বনি (ক, খ, প, ফ) আসে → ‘ঃ’-এর স্থলে ষ হয়।
যেমন:
আবিঃ + কার → আবিষ্কার
বহিঃ + কার → বহিষ্কার
নিঃ + পাপ → নিষ্পাপ
চতুঃ + কোণ → চতুষ্কোণ
ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি:
-
ঘোষ ধ্বনি: উচ্চারণে স্বরতন্ত্র কম্পিত হয়। যেমন – গ, ঘ, জ, ঝ।
-
অঘোষ ধ্বনি: উচ্চারণে স্বরতন্ত্র কম্পিত হয় না। যেমন – ক, খ, চ, ছ।
সারসংক্ষেপ: ই-কার বা উ-কার থাকলে → ‘ষ্ক’ (যেমন আবিষ্কার, বহিষ্কার) । ই-কার বা উ-কার না থাকলে → ‘স্ক’ (যেমন পুরস্কার, নমস্কার)।
ফলাফল: শুদ্ধ বানানগুলো হলো—
পুরস্কার, পরিষ্কার, মনস্কামনা, আবিষ্কার, বহিষ্কার, নমস্কার।
অশুদ্ধ: পুরষ্কার, পরিস্কার, মনষ্কামনা, আবিস্কার, নমষ্কার।
এই নিয়ম মনে রাখলে যুক্তবর্ণের বানান নিয়ে আর ভুল হবে না।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলা বানান রীতি অনুযায়ী কোন দুটি বানান শুদ্ধ?
Created: 1 day ago
A
হাতি/হাতী
B
জাতি/জাতী
C
দাদি/দাদী
D
সঠিক উত্তর নেই
ব্যাখ্যা: সঠিক উত্তরটি অপশনে নেই। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী হাতী, জাতী, দাদী বানানগুলো ভুল। নারি (না পারি) এবং নারী (মানবী) শব্দগুলোর উচ্চারণ এক হলেও এগুলোর অর্থ ভিন্ন
0
Updated: 1 day ago
কোনটি সঠিক বানান?
Created: 4 days ago
A
শৌজন্য
B
সৌজন্যতা
C
সৌজন্য
D
সৌজন্নতা
সঠিক বানান হলো ‘সৌজন্য’, কারণ এটি প্রচলিত ও ব্যাকরণগতভাবে স্বীকৃত রূপ।
-
সৌজন্য শব্দটি বোঝায় সদয়তা, ভদ্রতা বা পরোপকারের মানসিকতা।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন ‘শৌজন্য’, ‘সৌজন্যতা’, ‘সৌজন্নতা’—ব্যাকরণের দিক থেকে ভুল বা অস্বীকৃত।
-
লিখিত ও কথ্য বাংলায় সৌজন্য ব্যবহার করা হয়।
-
এটি সাহিত্যিক ও দৈনন্দিন ভাষায় সমানভাবে প্রচলিত।
-
তাই সঠিক বানান হলো সৌজন্য।
0
Updated: 4 days ago