শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসের চরিত্র: সতীশ, সাবিত্রী, কিরণময়ী?
A
চরিত্রহীন
B
পল্লীসমাজ
C
শ্রীকান্ত
D
পথের দাবী
উত্তরের বিবরণ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'চরিত্রহীন' উপন্যাসে বিভিন্ন চরিত্রের সম্পর্ক ও তাদের বৈশিষ্ট্য গল্পের মূল উপজীব্য। উপন্যাসটি প্রথা-বিরুদ্ধ প্রেম ও নারীপুরুষের সম্পর্কের জটিলতাকে কেন্দ্র করে গঠিত।
'চরিত্রহীন' উপন্যাস:
-
রচিত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯১৭
-
মূল বিষয়: প্রথা-বহির্ভূত প্রেম ও নারীপুরুষ সম্পর্ক
-
প্রধান চরিত্র: সতীশ, সাবিত্রী, কিরণময়ী
-
অন্যান্য নারী চরিত্র: সুরবালা, সরোজিনী
-
চরিত্রের বৈচিত্র্য: প্রতিটি নারী চরিত্রের আলাদা ব্যক্তিত্ব ও জীবনধারা
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাসের চরিত্রসমূহ:
-
'দেবদাস': দেবদাস, পার্বতী, চন্দ্রমূখী, চুনিলাল, ধর্মদাস
-
'পল্লীসমাজ': রমা, রমেশ, বললাম, বেণী
-
'দত্তা': বিজয়া, নরেন, রাসবিহারী, বনমালী
-
'শ্রীকান্ত': ইন্দ্রনাথ, রাজলক্ষ্মী, অভয়া, গহর
-
'গৃহদাহ': সুরেশ, মহিম, অচলা
-
'পথের দাবী': ভারতী, সব্যসাচী ওরফে ডাক্তার সাহেব
0
Updated: 1 month ago
'নবিতুন' কোন উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
সংশপ্তক
B
সারেং বৌ
C
পদ্মা নদীর মাঝি
D
ঘরে বাইরে
‘সারেং বৌ’ হলো শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত একটি কালজয়ী বাংলা উপন্যাস, যা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন, সংগ্রাম ও প্রেম-ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো কদম আলী (সারেং) ও নবিতুন।
উপন্যাসের কাহিনি সংক্ষেপ:
• “কদম” সারেং জাহাজে দীর্ঘদিন কাজ করার পর ফিরে আসে নিজের বাড়িতে।
• সে নবিতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করে।
• বিয়ের কিছুদিন পর আবার জাহাজের কাজে চলে যায়, কিন্তু মাঝে মাঝে নবিতনের কাছে চিঠি ও টাকা পাঠায়।
• গ্রামের প্রভাবশালী “মোড়ল” ডাক পিয়নের মাধ্যমে সেই চিঠি ও টাকা নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে নবিতনের সংসারে অভাব সৃষ্টি হয়।
• নবিতন নিজে গায়ে খেঁটে ঢেঁকিতে ধান বেঁনে সংসার চালায় এবং মোড়লের লালসার শিকার হতে দেয় না।
শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
• সংশপ্তক
• কৃষ্ণচূড়া মেঘ
• তিমির বলয়
• দিগন্তে ফুলের আগুন
• সমুদ্র ও তৃষ্ণা
• চন্দ্রভানের কন্যা
• কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
0
Updated: 1 month ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থে মোট কয়টি কবিতা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১৩টি
B
১৬টি
C
১৯টি
D
২১টি
সাত সাগরের মাঝি ফররুখ আহমদের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা মূলত জাগরণের উদ্দেশ্যে রচিত। এই কাব্যগ্রন্থে মোট উনিশটি কবিতা স্থান পেয়েছে, যা ১৯৪৩-৪৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে লেখা। কবি বাংলা প্রচলিত শব্দ পরিত্যাগ করে বহু অপ্রচলিত আরবি ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাজচিত্রের বিরূপ প্রভাবও কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে।
-
কাব্যনাট্য:
-
নৌফেল ও হাতেম
-
-
সনেট সংকলন:
-
মুহূর্তের কবিতা
-
-
কাহিনিকাব্য:
-
হাতেমতায়ী
-
-
শিশুতোষ গ্রন্থ:
-
পাখির বাসা
-
0
Updated: 1 month ago
প্রদীপ নিবিয়া গেল!'-এ বিখ্যাত বর্ণনা কোন উপন্যাসের?
Created: 2 months ago
A
বঙ্কিমচন্দ্রের 'বিষবৃক্ষ
B
রবীন্দ্রনাথের 'চোখের বালি'
C
বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা
D
রবীন্দ্রনাথের ‘যোগাযোগ’
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস
-
প্রকাশকাল ও বৈশিষ্ট্য:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’ প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে। রহস্যময় আবহ ও গভীর ভাবসম্প্রক্তির কারণে একে রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা হয়। -
কাহিনি সংক্ষেপ:
অরণ্যে এক কাপালিকের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা কন্যা কপালকুণ্ডলা। সমাজজীবন ও সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিত এই কন্যার সঙ্গে নবকুমারের বিবাহকে কেন্দ্র করেই কাহিনি গড়ে ওঠে। কিন্তু সমাজজীবনের সঙ্গে কপালকুণ্ডলার অমিল ও দ্বন্দ্বই গল্পকে নিয়ে যায় করুণ পরিণতির দিকে। -
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
কাহিনিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের আগ্রার স্থাপত্য ও নগরজীবন, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের রহস্যময় পরিবেশ। প্রকৃতির সৌন্দর্য, কপালকুণ্ডলার রহস্যময় চরিত্র, এবং ট্র্যাজিক সমাপ্তিই এই উপন্যাসকে বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। -
জনপ্রিয়তা:
বঙ্কিমচন্দ্র জীবিত থাকতেই এ উপন্যাসের আটবার সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। অনেক সমালোচকের মতে, এটি তাঁর সেরা উপন্যাসগুলির একটি। -
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
-
-
বিখ্যাত উক্তি:
-
“পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ।” — কপালকুণ্ডলার নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে বলা সংলাপ।
-
“তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”
-
“প্রদীপ নিবিয়া গেল।”
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা উপন্যাস।
0
Updated: 2 months ago