নিম্নলিখিত বাক্যটি পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তর করুন:
সোহেল বলল, "আমি এখানে থাকব"।
A
সোহেল বলল, "আমি সেখানে থাকব।"
B
সোহেল বলল যে, সে সেখানে থাকবে।
C
সোহেল জানাল যে আমি এখানে থাকব।
D
সোহেল বলল, "সে এখানে থাকবে
উত্তরের বিবরণ
সোহেল বলেছে যে, সে সেখানে থাকবে। এটি প্রত্যক্ষ উক্তি থেকে পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তরের একটি উদাহরণ।
-
প্রত্যক্ষ উক্তি: বলল সোহেল, "আমি এখানে থাকব"।
-
পরোক্ষ উক্তি: সোহেল বলল যে, সে সেখানে থাকবে।
উক্তি রূপান্তরের নিয়মসমূহ:
-
পুরুষের পরিবর্তন: "আমি" → "সে" (প্রথম পুরুষ থেকে তৃতীয় পুরুষে রূপান্তর)।
-
স্থানের পরিবর্তন: "এখানে" → "সেখানে" (নিকট স্থান থেকে দূর স্থানে রূপান্তর)।
-
বাক্য গঠন: উদ্ধৃতি চিহ্ন সরিয়ে "যে" সংযোজক ব্যবহার করা।
-
ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তন: "থাকব" → "থাকবে" (পুরুষ অনুযায়ী পরিবর্তন)।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় কাকে?
Created: 6 days ago
A
রজনীকান্ত
B
চার্লস উইলকিন্স
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
ফোর্ট উইলিয়াম
বাংলা মুদ্রাক্ষরের উন্নয়ন ও ছাপার যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ গবেষক চার্লস উইলকিন্সের হাত ধরে। তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম মুদ্রণযোগ্য বর্ণমালা তৈরি করে ছাপাখানার ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন।
• চার্লস উইলকিন্স (Charles Wilkins) ছিলেন একজন ইংরেজ মুদ্রক ও প্রাচ্যবিদ, যিনি ১৭৭৮ সালে প্রথম বাংলা হরফে ছাপা বই প্রকাশ করেন।
• তিনি বাংলা হরফকে মুদ্রণযোগ্য আকারে সাজিয়ে বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক হিসেবে পরিচিত হন।
• তাঁর তৈরি বর্ণমালা দিয়েই কলকাতার প্রথম দিকের ছাপাখানাগুলো কাজ শুরু করে।
• উইলকিন্সই প্রথম বাংলা ভাষাকে ইউরোপীয় মুদ্রণ প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেন, যা বাংলা সাহিত্য ও শিক্ষার প্রসারে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 6 days ago
বাংলা ভাষার প্রথম ও সম্পূর্ণ ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
রাজা রামমোহন রায়
B
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
C
মানোএল দা আসুম্পসাঁউ
D
উইলিয়ম কেরী
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড ছিলেন একজন ইংরেজ প্রাচ্যবিদ ও বৈয়াকরণ। ওয়ারেন হেস্টিংসের অনুরোধে তিনি বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনায় উদ্যোগী হন এবং এর মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড ছিলেন বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণগ্রন্থ রচয়িতা।
-
তাঁর রচিত A Grammar of the Bengal Language গ্রন্থটি ১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
বাংলা সংস্কৃতি ও ভাষার ইতিহাসে হ্যালহেডের সবচেয়ে বড় অবদান হলো তাঁর এই ব্যাকরণগ্রন্থ রচনা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার কোন রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল?
Created: 1 month ago
A
সাধুরীতি
B
লেখ্যরীতি
C
কথারীতি
D
চলিতরীতি
বাংলা ভাষার সাধুরীতির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। সাধু রীতি প্রধানত শুদ্ধ, উচ্চমানের সাহিত্যিক ভাষার ধরন, যা সুনির্দিষ্ট ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস অনুসরণ করে।
-
সুনির্দিষ্ট ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস: বাংলা লেখ্য সাধু রীতি নির্দিষ্ট ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে এবং এর পদবিন্যাস অত্যন্ত সুনিয়ন্ত্রিত ও স্পষ্ট।
-
গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল: এ রীতি গুরুগম্ভীর ভাবসম্পন্ন এবং এতে প্রাচীন তৎসম শব্দের ব্যবহার প্রচলিত।
-
নাটকীয় সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অপ্রযোজ্য: সাধু রীতি নাটকের সংলাপ বা সরাসরি বক্তৃতার জন্য সাধারণত উপযুক্ত নয়।
-
বিশেষ গঠনপদ্ধতি অনুসরণ: এই রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ ধরনের গঠনপদ্ধতি মেনে ব্যবহার করা হয়।
0
Updated: 1 month ago