’নবযুগ’ পত্রিকার সম্পাদক কে?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
দীনেশরঞ্জন দাশ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
উত্তরের বিবরণ
নবযুগ ছিল কলকাতা থেকে প্রকাশিত এক পাতার সান্ধ্য দৈনিক, যা স্বাধীনচেতা, অসাম্প্রদায়িক ও গণমুখী পত্রিকা হিসেবে পরিচিত ছিল।
-
প্রথম প্রকাশ: ১২ জুলাই, ১৯২০
-
প্রকাশনার স্থান: কলকাতা, ৬ নং টার্ন স্ট্রিট
-
মূল্য: এক পয়সা
-
মালিক ও পরিচালক: শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক
-
যুগ্ম সম্পাদক: কাজী নজরুল ইসলাম ও কমরেড মুজফ্ফর আহমদ
-
বৈশিষ্ট্য: পরিচালকের নাম মুদ্রিত হতো, কিন্তু সম্পাদকের নাম থাকত না।

0
Updated: 20 hours ago
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালে কোন পত্রিকার প্রতিবেদক হিসেবে বাংলাদেশে আসেন?
Created: 21 hours ago
A
দ্য টাইমস
B
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ
C
দ্য গার্ডিয়ান
D
দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং টেলিভিশন উপস্থাপক ও পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার সময় তিনি প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী বিদেশি সাংবাদিক ছিলেন।
-
সাইমন ড্রিং লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল, দ্য সানডে টাইমস, নিউজউইক, বিবিসি টেলিভিশন রেডিও নিউজ, রয়টার প্রভৃতিতে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
-
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে চালু হওয়া প্রথম বেসরকারি চ্যানেল একুশে টেলিভিশন-এর যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনা:
-
১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদক হিসেবে।
-
২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় অর্ধশত বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে ফেলে। সাইমন ড্রিং হোটেলে লুকিয়ে থেকে ৩২ ঘণ্টা লবি, ছাদ, বার ও কিচেনে অবস্থান করেন।
-
পরে তিনি সরাসরি গণহত্যার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় দেখেন।
-
৩০ মার্চ ১৯৭১ তার মুক্তিযুদ্ধের প্রথম খবর প্রকাশ করেন ডেইলি টেলিগ্রাফে।
-
কলকাতা থেকে সংগ্রহকৃত তথ্য লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফে পাঠাতেন।
-
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর জানার পর ঢাকায় ফিরে আসেন।
-
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই ব্রিটিশ সাংবাদিককে ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

0
Updated: 21 hours ago
১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম কোন পত্রিকা পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার উপর ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে?
Created: 2 months ago
A
নিউইয়র্ক টাইমস
B
ডেইলি মেইল
C
ডেইলি টেলিগ্রাফ
D
দ্য ইনডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় কাজ করতেন। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শুরু করা বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি।
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। তখন পাকিস্তান সরকার ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় ৫০ জন বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, যেন তারা গণহত্যার কোনো তথ্য প্রকাশ করতে না পারে। কিন্তু সাইমন ড্রিং লুকিয়ে থেকে গণহত্যার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি হোটেলের ছাদ, কিচেন, বার এমনকি লবিতেও লুকিয়ে ছিলেন প্রায় ৩২ ঘণ্টা।
২৫ মার্চের রাতের গণহত্যা শেষে যখন ২৭ মার্চ কারফিউ উঠল, তখন তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন—বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। এরপর ৩০ মার্চ তার লেখা প্রতিবেদন ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন।
তিনি এরপর কলকাতা থেকে খবর পাঠিয়ে লন্ডনের পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনেও ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার সাইমন ড্রিংকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করে।
অন্যান্য সাংবাদিকদের অবদান
-
এস্থনি ম্যাসকারেনহাস পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরি করেন।
-
বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টালি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিরত খবর প্রচার করেছেন।
-
অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ভেতর থেকে তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন।
-
নিজামউদ্দিন ও নাজমুল হক শহিদ হন সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।
-
আকাশবাণী, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার চালায়।
-
আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত “সংবাদ পরিক্রমা” ছিল খুবই জনপ্রিয়।
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে “বজ্রকণ্ঠ” ও “চরমপত্র” অনুষ্ঠানগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উৎসঃ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা

0
Updated: 2 months ago
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
উত্তরাধিকার
B
বাংলা একাডেমি পত্রিকা
C
ধানশালিকের দেশ
D
বাংলা একাডেমি সমাচার
'বাংলা একাডেমি সমাচার' বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত কোনো পত্রিকা নয়।
-
বাংলা একাডেমি থেকে মোট ছয়টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
বাংলা একাডেমি পত্রিকা:
-
গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উপর বিশেষ গুরুত্বসহ অন্যান্য বিষয়েও বাংলায় রচিত গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।
-
-
উত্তরাধিকার (মাসিক পত্রিকা):
-
এতে সৃজনশীল রচনা যেমন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, নাটক, গ্রন্থ-সমালোচনা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়।
-
-
ধানশালিকের দেশ (ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা):
-
কিশোরদের জন্য গল্প, কবিতা, ছড়া ইত্যাদি প্রকাশিত হয়।
-
-
বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা (ষাণ্মাসিক):
-
বিজ্ঞান বিষয়ক রচনার সমন্বয়ে প্রকাশিত হয়।
-
এটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
-
-
বার্তা:
-
একাডেমির কার্যক্রম ও যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিবরণ এতে উপস্থাপিত হয়।
-
বর্তমানে এটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
-
-
বাংলা একাডেমি জার্নাল (ইংরেজি ভাষায় ষাণ্মাসিক পত্রিকা):
-
বাংলা সাহিত্যের নির্বাচিত রচনা ইংরেজিতে অনূদিত হয়।
-
বাংলা সাহিত্য ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় মৌলিক রচনা প্রকাশিত হয়।
-
এটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
-
সূত্র: বাংলা একাডেমি ওয়েবসাইট ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago