বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে কী বলা হয়?
A
কারক
B
পদ
C
অক্ষর
D
প্রত্যয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার ব্যাকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে বোঝা জরুরি। নিচে সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
-
পদ হলো বিভক্তিযুক্ত শব্দ। অর্থাৎ, কোনো শব্দে বিভক্তি যুক্ত হলেই তা পদ হিসেবে গণ্য হয়।
-
বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দেই বিভক্তি থাকে।
-
যেসব শব্দে বিভক্তি প্রকাশ পায় না, সেখানে শূন্য বিভক্তি বিদ্যমান থাকে। তাই বাক্যের প্রতিটি শব্দই পদ।
-
পদ প্রধানত দুই ধরনের হয়— সব্যয় পদ ও অব্যয় পদ।
-
কারক হলো ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক।
-
কারক সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যোগ হয়।
-
অক্ষর (ইংরেজি নাম: syllable) হলো অল্প প্রয়াসে একবারে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। তাই একে শব্দাংশও বলা হয়।
-
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি মধ্যম পুরুষ?
Created: 1 month ago
A
আপনি
B
তারা
C
আমরা
D
সে
পুরুষ তিন প্রকারে বিভক্ত: উত্তম, মধ্যম ও নাম পুরুষ। প্রতিটি পুরুষ সর্বনাম ব্যবহারের ধরন দ্বারা চিহ্নিত হয়।
-
উত্তম পুরুষ: ক্রিয়ার কর্তা নিজেকে বুঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করে, তাকে উত্তম পুরুষ বলে।
-
উদাহরণ: আমি, আমরা
-
-
মধ্যম পুরুষ: বক্তা যার সঙ্গে কথা বলছে, তাকে বুঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করে, তাকে মধ্যম পুরুষ বলে।
-
উদাহরণ: তুমি, তোমরা, আপনি, তোরা
-
-
নাম পুরুষ: বক্তা যার সম্পর্কে কিছু বলছে, তাকে বুঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করে, তাকে নাম পুরুষ বলে।
-
উদাহরণ: সে, তারা, ওরা, করিম, এটা
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'মুহাজিরিন হত্যার জন্য দায়ী কে?' প্রবন্ধের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
হেলাল হাফিজ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
বুদ্ধদেব বসু
‘মুহাজিরিন হত্যার জন্য দায়ী কে?’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি শক্তিশালী প্রবন্ধ, যা তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ ‘যুগবাণী’-এর অন্তর্ভুক্ত। এই প্রবন্ধে কবি সমকালীন রাজনৈতিক অবস্থা, মুসলিম সমাজের বিভক্তি এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের নৃশংসতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ প্রকাশ করেছেন। নজরুল এখানে মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে ‘মুহাজিরিন’ হত্যার নিন্দা জানিয়ে সমাজে ন্যায় ও ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।
‘যুগবাণী’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ, যা প্রকাশিত হয় ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে। গ্রন্থটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এর বিপ্লবাত্মক রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে ব্রিটিশ সরকার বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
গ্রন্থের প্রবন্ধগুলোয় প্রতিফলিত হয়েছে স্বদেশি চেতনা, জাতীয় জাগরণ এবং ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব। নজরুল এই প্রবন্ধগুলোর মাধ্যমে সমাজে অন্যায়, দাসত্ব ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে মানুষের বিবেক জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘যুগবাণী’ গ্রন্থে মোট ২১টি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত আছে। সেগুলো হলো —
-
নবযুগ
-
গেছে দেশ দুঃখ নাই আবার তোরা মানুষ হ
-
ডায়ারের স্মৃতিস্তম্ভ
-
ধর্মঘট
-
লোকমান্য তিলকের মৃত্যুতে বেদনাতুর কলিকাতার দৃশ্য
-
মুহাজিরিন হত্যার জন্য দায়ী কে?
-
ছুঁৎমার্গ
-
উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন
-
মুখবন্ধ
-
রোজ-কেয়ামত বা প্রলয়-দিন
-
বাঙালির ব্যবসাদারী
-
আমাদের শক্তি স্থায়ী হয় না কেন
-
কালা আদমীকে গুলি মারা
-
শ্যাম রাখি না কুল রাখি
-
লাট-প্রেমিক আলী ইমাম
-
ভাব ও কাজ
-
জাতীয় শিক্ষা
-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
-
জাগরণী
0
Updated: 1 month ago
'বিভাবরী' শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
চুল
B
চন্দ্র
C
সূর্য
D
রাত্রি

• 'রাত্রি' শব্দের সমার্থক শব্দ:
রাত, রজনী, নিশি, নিশা, নিশীথ, নিশীথিনী, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago