‘আবেগ’ কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?
A
বিশেষণ
B
ক্রিয়াবিশেষণ
C
পদ
D
অব্যয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় ‘আবেগ’ পদ-এর অন্তর্ভুক্ত।
পদ হলো বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতু। অন্যভাবে বলা যায়, শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন তার নাম হয় পদ।
বাক্যের অন্তর্গত এসব পদকে মোট আটটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
-
বিশেষ্য
-
সর্বনাম
-
বিশেষণ
-
ক্রিয়া
-
ক্রিয়াবিশেষণ
-
অনুসর্গ
-
যোজক
-
আবেগ

0
Updated: 20 hours ago
‘মহুয়া’ পালার রচয়িতা কে?
Created: 19 hours ago
A
চন্দ্রাবতী
B
দ্বিজ ঈশান
C
দ্বিজ কানাই
D
দ্বিজ বংশীদাস
'মহুয়া' পালা হলো ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত গানগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা ময়মনসিংহ গীতিকার বৈশিষ্ট্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে। এই পালার রচয়িতা ছিলেন দ্বিজ কানাই, যিনি নমশূদ্রের ব্রাহ্মণ কবি ছিলেন। অধ্যাপক দীনেশচন্দ্রের ধারণা অনুযায়ী, দ্বিজ কানাই প্রায় ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এই পালা রচনা করেছিলেন। কাহিনীর সঙ্গে কবির ব্যক্তিগত প্রেমবঞ্চনার বেদনার সাদৃশ্যও লক্ষ্য করা যায়।
মহুয়ার পালার প্রধান চরিত্র:
-
মহুয়া
-
নদের চাঁদ
-
হুমরা বেদে
-
সাধু

0
Updated: 19 hours ago
'ধূমকেতু' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 day ago
A
বিষের বাঁশি
B
অগ্নিবীণা
C
সাম্যবাদী
D
জিঞ্জির
‘ধূমকেতু’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-এর অন্তর্গত।
-
অগ্নিবীণা হলো নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
তিনি এটি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে উৎসর্গ করেন।
-
কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা হলো ‘প্রলয়োল্লাস’।
-
সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতা হলো ‘বিদ্রোহী’, যার জন্য নজরুলকে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।
-
অগ্নিবীণা কাব্যের মোট ১২টি কবিতা:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
-
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
"তাম্বুল রাতুল হইল অধর পরশে।” - অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
ঠোঁটের পরশে পান লাল হল
B
পানের পরশে ঠোঁট লাল হল
C
অস্তাচলগামী সূর্যের আভায় মুখ রক্তিম দেখা গেল
D
অস্তাচলগামী সূর্য ও মুখ একই রকম লাল হয়ে গেল
পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থ
মহাকবি সৈয়দ আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা পদ্মাবতী একটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যানধর্মী কাব্য। তাঁর অসাধারণ কাব্য প্রতিভার কারণে আলাওল আরাকান অমাত্য সভায় (মন্ত্রিসভায়) স্থান পান।
১৬৪৮ সালে, প্রধান অমাত্য কোরেশী মাগন ঠাকুরের অনুরোধে আলাওল হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সী-এর পদুমাবৎ কাব্য অবলম্বনে পদ্মাবতী রচনা করেন। কাব্যটিতে দুইটি পর্ব রয়েছে:
-
প্রথম পর্ব: চিতোর রাজা রত্নসেন পদ্মাবতীকে লাভ করার সফল অভিযান।
-
দ্বিতীয় পর্ব: দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির পদ্মাবতীকে পাওয়ার ব্যর্থ সামরিক অভিযান।
পদ্মাবতীর রূপবর্ণনা (উদাহরণ):
"সুচারু সুরস অতি রাতুল অধর।
লাজে বিম্ব বান্ধুলি গমন বনান্তর।।
মানিক্য প্রবাল অতি নীরস কর্কশ।
অধরের অমিয় স্রবে এই মহারস।।
রক্ত উৎপল লাজে জলান্তরে বৈসে।
তাম্বুল রাতুল হৈল অধর পরশে।।"
উপরের শেষ পঙ্ক্তি ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়:
-
তাম্বূল = পান
-
রাতুল = লাল
-
অধর = ঠোঁট
অতএব, কবি বলতে চেয়েছেন, ‘ঠোঁটের স্পর্শে পান লাল হয়ে উঠল’।
উৎস:
-
ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 1 month ago