"নৌকাটি দক্ষিণের অভিমুখে যাত্রা করল।" - এখানে 'অভিমুখে' কোন পদ?
A
বিশেষ্য
B
সর্বনাম
C
ক্রিয়াবিশেষণ
D
অনুসর্গ
উত্তরের বিবরণ
“নৌকাটি দক্ষিণের অভিমুখে যাত্রা করল।” — এখানে ‘অভিমুখে’ একটি অনুসর্গ পদ।
অনুসর্গ হলো এমন শব্দ, যা কোনো শব্দের পরে বসে তাকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে।
যেমন—
-
সে কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না। (‘ছাড়া’ অনুসর্গ)
-
কোন পর্যন্ত পড়েছ? (‘পর্যন্ত’ অনুসর্গ)
কিছু সাধারণ অনুসর্গের উদাহরণ—
-
অপেক্ষা, অবধি, অভিমুখে, আগে, উপরে, করে, কর্তৃক, কাছে, কারণে, ছাড়া, জন্য, তরে, চেয়ে, থেকে, দরুন, দিকে, দিয়ে, দ্বারা, ধরে, নাগাদ, নিচে, পর্যন্ত, পানে, পাশে, পিছনে, প্রতি, বদলে, বনাম, বরাবর, বাইরে, বাদে, বাবদ, বিনা, ব্যতীত, ভিতরে, মতো, মধ্যে, মাঝে, লেগে, সঙ্গে, সম্মুখে, সাথে, সামনে, হতে ইত্যাদি।
অনুসর্গকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—
-
সাধারণ অনুসর্গ
-
ক্রিয়াজাত অনুসর্গ
0
Updated: 1 month ago
বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় নিচের কোন গুণটি থাকা প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
আসত্তি
B
আকাঙ্ক্ষা
C
যোগ্যতা
D
আসক্তি
বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় আসত্তি গুণটি থাকা প্রয়োজন।
আদর্শ বাক্যের জন্য তিনটি গুণ থাকা জরুরি—
১. আকাঙ্ক্ষা:
-
বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করতে এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা বা প্রয়াসকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
-
উদাহরণ:
-
ছেলেরা খেলে।
-
কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
এই দুই বাক্য অসম্পূর্ণ, অর্থাৎ আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি।
পরিপূর্ণ বাক্য: -
ছেলেরা ফুটবল খেলে।
-
কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
-
২. আসত্তি:
-
বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় সুনির্দিষ্ট পদবিন্যাসই আসত্তি।
-
উদাহরণ: ‘নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া’ — এখানে পদগুলোর সন্নিবেশ ঠিকঠাক নয়, ফলে অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ হয়নি।
-
পরিপূর্ণ বাক্য (আসত্তিসম্পন্ন): হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
৩. যোগ্যতা:
-
বাক্যের পদসমূহের বিশ্বাসযোগ্য ভাবসম্মিলনের নাম যোগ্যতা।
-
উদাহরণ: ‘বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে’ — রোদ কখনো প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না, তাই বাক্যটির ভাব প্রকাশ যোগ্য নয়।
-
পরিপূর্ণ বাক্য (যোগ্যতাসম্পন্ন): বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
0
Updated: 1 month ago
'অহি-নকুল' শব্দটি কোন নিয়মে গঠিত হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
প্রত্যয়
B
সমাস
C
সন্ধি
D
উপসর্গ
‘অহি-নকুল’ শব্দটি সমাস নিয়মে গঠিত হয়েছে। এটি এমন একটি গঠনপ্রণালী যেখানে দুই বা ততোধিক শব্দ একত্রে মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করে, কিন্তু প্রত্যেকটি অংশের অর্থ নিজস্বভাবে বজায় থাকে। ‘অহি’ অর্থ সাপ এবং ‘নকুল’ অর্থ বেজি—দুইয়ের মধ্যকার বিরোধ বা যুগল অর্থ প্রকাশ করে এটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ।
-
সমাস হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে দুটি বা ততোধিক পদ একত্রে মিলিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে, এবং তাতে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয় পদের অর্থ থাকে।
-
‘অহি-নকুল’ শব্দে ‘অহি’ (সাপ) এবং ‘নকুল’ (বেজি) দুটি পদ সমান গুরুত্বে যুক্ত হয়েছে, ফলে এটি দ্বন্দ্ব সমাস।
-
দ্বন্দ্ব সমাসে দুটি সমান বা বিপরীত অর্থের শব্দ যুক্ত হয়, যা একত্রে মিলিত হয়ে যুগলবাচক বা যুগ্ম অর্থ প্রকাশ করে।
-
এই সমাসে প্রায়ই সংযোজক অব্যয় যেমন “ও”, “এবং”, “বা” ইত্যাদি ব্যাসবাক্যে উপস্থিত থাকে, কিন্তু সমাসগঠনের সময় তা অপসারিত হয়। যেমন—‘অহি-নকুল’ অর্থ ‘সাপ ও বেজি’।
-
‘দা-কুমড়া’, ‘স্বর্গ-নরক’, ‘পিতা-মাতা’, ‘রাম-লক্ষ্মণ’ ইত্যাদিও দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ, যেখানে প্রতিটি পদ সমান মর্যাদা পায়।
-
‘অহি-নকুল’ শব্দে কোনো উপসর্গ, প্রত্যয়, বা সন্ধি প্রয়োগ নেই। কারণ এখানে শব্দ দুটি স্বাধীনভাবে অর্থপূর্ণ এবং কেবল সমাসবদ্ধ হয়ে যৌগিক অর্থ তৈরি করেছে।
-
প্রত্যয় সাধারণত শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে, যেমন—‘পাঠ’ + ‘ক’ = ‘পাঠক’। কিন্তু ‘অহি-নকুল’-এ এমন কোনো যোগ নেই।
-
উপসর্গ শব্দের শুরুতে যুক্ত হয়, যেমন—‘অতি’ + ‘সুন্দর’ = ‘অতিসুন্দর’। ‘অহি-নকুল’-এ সেটিও অনুপস্থিত।
-
সন্ধি হলো ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে দুটি ধ্বনির মিলন, যেমন—‘রাম’ + ‘ইশ্বর’ = ‘রামেশ্বর’। কিন্তু এখানে ধ্বনিগত কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অতএব, ‘অহি-নকুল’ শব্দটি সমাস, বিশেষ করে দ্বন্দ্ব সমাস দ্বারা গঠিত। এটি সমান প্রাধান্যসম্পন্ন দুটি শব্দের সংযুক্ত রূপ, যার অর্থ ‘সাপ ও বেজি’।
0
Updated: 1 week ago
কোনটি ’মহর্ষি’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ ?
Created: 2 months ago
A
মহা + ঋষি
B
মহ + ঋষি
C
মহা + ঝষি
D
মর্হ + ঋষি
’মহর্ষি’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ = মহা + ঋষি =(মহর্ষি)।
- এটি একটি স্বরসন্ধির উদাহরণ।
উল্লেখ্য,
- স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনকে স্বরসন্ধি বলে।
যেমন-
- অতি + ইন্দ্রিয় = অতীন্দ্রিয়,
- পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা;
- মরু + উদ্যান = মরূদ্যান;
- শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা;
- সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়;
- মহা + ঋষি = মহর্ষি;
- শীত + ঋত = শীতার্ত;
- জন + এক = জনৈক;
- বন + ওষধি = বনৌষধি;
0
Updated: 2 months ago