‘দহন’ শব্দের বিশেষণ রূপ কোনটি?
A
দহনকারী
B
দাহ্য
C
দাহ্যনীয়
D
দগ্ধ
উত্তরের বিবরণ
দহন [দহোন্] একটি বিশেষ্য।
শব্দের অর্থ—
-
দগ্ধকরণ; জ্বালা; পোড়া; দাহ।
-
অগ্নি (যেমন: বেহান বিকাল যায় দহন সেবনে—কবি কঙ্কণ কুমুন্দরাম চক্রবর্তী)।
-
আলঙ্কারিক অর্থে যন্ত্রণা (যেমন: হিয়ায় লইতে দহন দ্বিগুণ হয়—চণ্ডীদাস)।
সম্পর্কিত পদ ও অর্থ—
-
দাহক (বিশেষণ) : দহনকারী বা দাহ সৃষ্টিকারী।
-
দহনকারী : বিশ্বদহন ক্রোধ।
-
দহনক্রিয়া (বিশেষ্য) : জ্বলনের কাজ; দহনক্রিয়ার অর্থ দ্রুতবেগে অক্সিজেনের সঙ্গে মিলন।
-
দাহ্য / দহনীয় (বিশেষণ) : দহনের উপযুক্ত বা দহনযোগ্য।
0
Updated: 1 month ago
’আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে, অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কবিতার অংশ?
Created: 1 month ago
A
উপহার
B
অনন্ত প্রেম
C
ব্যক্ত প্রেম
D
শেষ উপহার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অনন্ত প্রেম’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত— “আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে, অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে।” এই কবিতাটি তাঁর মানসী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
মানসী কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে তথ্য
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসী কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৮৯০ সালে।
-
এটি কবির কাব্যকলার পূর্ণ প্রতিষ্ঠামূলক গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
কবি বুদ্ধদেব বসু একে বলেছেন— “রবীন্দ্র-কাব্যের অণুবিশ্ব”।
-
এতে মোট ৬৬টি কবিতা সংকলিত হয়েছে।
-
কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন: “নূতন আবেষ্টনে এই কবিতাগুলি সহসা যেন নবদেহ ধারণ করল।”
মানসী কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতাসমূহ
-
উপহার
-
নিস্ফল উপহার
-
ক্ষণিক মিলন
-
নিস্ফল কামনা
-
অহল্যার প্রতি
-
নবদম্পতির প্রেমালাপ
-
মানসিক অভিসার
-
পুরুষের উক্তি
-
নারীর উক্তি
-
ব্যক্ত প্রেম
-
গুপ্ত প্রেম
-
অনন্ত প্রেম
-
শেষ উপহার ইত্যাদি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'বুদ্ধির ঢেঁকি' বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
মহাজ্ঞানী
B
নির্বোধ
C
ভণ্ড
D
প্রবীণ
বাংলা ভাষায় বাগ্ধারা কথোপকথন ও লেখায় ভাবকে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জলভাবে প্রকাশ করার একটি উপায়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা ও তাদের অর্থ নিচে দেওয়া হলো।
-
বুদ্ধির ঢেঁকি : নির্বোধ
-
গুড়ে বালি : আশায় নৈরাশ্য
-
গোড়ায় গলদ : শুরুতেই ভুল
-
কৈ মাছের জান : যা সহজে মরে না
-
পুটি মাছের প্রাণ : ছোটো মন
-
তালকানা : কাণ্ডজ্ঞানহীন
-
তিলকে তাল করা : ছোটকে বড় করা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃত শব্দের ভাষাগত অর্থ –
Created: 3 months ago
A
মূর্খদের ভাষা
B
পণ্ডিতদের ভাষা
C
জনগণের ভাষা
D
লেখকদের ভাষা
প্রাকৃত মধ্যভারতীয় আর্যভাষা। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা বৈদিক বা সংস্কৃত থেকে এর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। সংস্কৃত ভাষার যে রূপটি ছিল সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, তা এক সময় শিথিল ও সরল হয়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ ধারণ করে।
কালক্রমে এগুলিকেই বলা হয় প্রাকৃত ভাষা। প্রাকৃত ভাষার নামকরণ প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলেন যে, এর প্রকৃতি বা মূল হচ্ছে ‘সংস্কৃত’, তাই প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত বলে এর নাম হয়েছে প্রাকৃত। আবার কেউ কেউ বলেন, ‘প্রকৃতি’ অর্থ সাধারণ জনগণ এবং তাদের ব্যবহূত ভাষাই প্রাকৃত ভাষা, অর্থাৎ প্রাকৃত জনের ভাষা প্রাকৃত ভাষা।
0
Updated: 3 months ago