"সবাই নিয়ম মেনে চলুন, নতুবা শাস্তি পেতে হবে।" - এখানে 'নতুবা' শব্দটি-
A
সংযোজক অব্যয়
B
বিয়োজক অব্যয়v
C
সংকোচক অব্যয়
D
অনুসর্গ অব্যয়
উত্তরের বিবরণ
বিয়োজক অব্যয় হলো এমন একটি অব্যয়, যা দুটি বাক্যাংশ বা অংশকে সংযুক্ত করে এবং সাধারণত বিকল্প বা বিরোধী সম্পর্ক প্রকাশ করে। অর্থাৎ, একটি কাজ না করলে অন্য কিছু ফলাফল ঘটবে—এ ধরনের বিরোধী সম্পর্ক বোঝাতে বিয়োজক অব্যয় ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ বিয়োজক অব্যয়—
-
কিংবা
-
বা
-
অথবা
-
নতুবা
-
না হয়
-
নয়তো
প্রয়োগের উদাহরণ—
-
"সবাই নিয়ম মেনে চলুন, নতুবা শাস্তি পেতে হবে।" (এখানে ‘নতুবা’ বিয়োজক অব্যয়)
-
"অথবা তুমি পড়াশোনা করো, অথবা পরীক্ষায় খারাপ করবে।"
-
"নচেৎ আমাকে সাহায্য করো, নচেৎ আমি একা পারব না।"
-
"তুমি ওষুধ খাও, না হলে অসুস্থ হয়ে পড়বে।"

0
Updated: 20 hours ago
‘দহন’ শব্দের বিশেষণ রূপ কোনটি?
Created: 20 hours ago
A
দহনকারী
B
দাহ্য
C
দাহ্যনীয়
D
দগ্ধ
দহন [দহোন্] একটি বিশেষ্য।
শব্দের অর্থ—
-
দগ্ধকরণ; জ্বালা; পোড়া; দাহ।
-
অগ্নি (যেমন: বেহান বিকাল যায় দহন সেবনে—কবি কঙ্কণ কুমুন্দরাম চক্রবর্তী)।
-
আলঙ্কারিক অর্থে যন্ত্রণা (যেমন: হিয়ায় লইতে দহন দ্বিগুণ হয়—চণ্ডীদাস)।
সম্পর্কিত পদ ও অর্থ—
-
দাহক (বিশেষণ) : দহনকারী বা দাহ সৃষ্টিকারী।
-
দহনকারী : বিশ্বদহন ক্রোধ।
-
দহনক্রিয়া (বিশেষ্য) : জ্বলনের কাজ; দহনক্রিয়ার অর্থ দ্রুতবেগে অক্সিজেনের সঙ্গে মিলন।
-
দাহ্য / দহনীয় (বিশেষণ) : দহনের উপযুক্ত বা দহনযোগ্য।

0
Updated: 20 hours ago
বাংলা ভাষায় শব্দ সাধন হয় না নিম্নোক্ত কোন উপায়ে?
Created: 1 month ago
A
সমাস দ্বারা
B
লিঙ্গ পরিবর্তন দ্বারা
C
উপসর্গ যোগে
D
ক, খ ও গ তিন উপায়েই হয়
• বাংলা ভাষায় শব্দ সাধন হয় বা গঠন হয় না লিঙ্গ পরিবর্তন দ্বারা।
শব্দ গঠনের কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে এগুলো হচ্ছে:
• উপসর্গ:
যেসব শব্দাংশ শব্দমূলের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে উপসর্গ বলে। 'পরিচালক' শব্দের 'পরি' অংশ একটি উপসর্গ।
• প্রত্যয়:
যেসব শব্দাংশ শব্দমূলের পরে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে প্রত্যয় বলে। 'সাংবাদিক' শব্দের 'ইক' অংশ একটি প্রত্যয়।
• সমাস:
শব্দ গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রধান প্রক্রিয়া হলো সমাস যার মাধ্যমে একাধিক শব্দ এক শব্দে পরিণত হয়। যেমন: ‘হাট’ ও ‘বাজার’ শব্দ দুটি সমাসবদ্ধ হয়ে হয় ‘হাটবাজার’।
• শব্দদ্বিত্ব:
এছাড়া কোনো শব্দের দ্বৈত ব্যবহারে নতুন শব্দ গঠিত হলে তাকে বলে শব্দদ্বিত্ব, যেমন 'ঠক' ও 'ঠক' মিলে গঠিত হয় 'ঠকঠক', একইভাবে 'অঙ্ক' ও অনুরূপ ধ্বনি 'টঙ্ক' মিলে হয় 'অঙ্কটঙ্ক'।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২৩ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
গঠন বিবেচনায় 'পাখি' কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 month ago
A
সাধিত শব্দ
B
রূঢ়ি শব্দ
C
মৌলিক শব্দ
D
যোগরূঢ় শব্দ
গঠন বিবেচনায় শব্দের শ্রেণিবিভাগ-
গঠন বিবেচনায় বাংলা শব্দকে মৌলিক এবং সাধিত এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
মৌলিক শব্দ
যেসব শব্দ বিশ্লেষণ করলে অর্থপূর্ণ কোনো অংশ থাকে না, সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে।
যেমন: গাছ, পাখি, ফুল, হাত, গোলাপ ইত্যাদি।
• সাধিত শব্দ:
যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে তার মধ্যে এক বা একাধিক অর্থপূর্ণ অংশ থাকে, সগুলোকে সাধিত শব্দ বলে।
উপসর্গ বা প্রত্যয় যোগ করে অথবা সমাস প্রক্রিয়ায় সাধিত শব্দ তৈরি হয়।
যেমন- পরিচালক, গরমিল, সম্পাদকীয়, সংসদ।
অন্যদিকে,
- অর্থানুসারে শব্দ তিন প্রকার।
যথা:
(ক) যৌগিক শব্দ,
(খ) রূঢ়ি শব্দ এবং
(গ) যোগরূঢ় শব্দ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২-সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago