"সবাই নিয়ম মেনে চলুন, নতুবা শাস্তি পেতে হবে।" - এখানে 'নতুবা' শব্দটি-
A
সংযোজক অব্যয়
B
বিয়োজক অব্যয়v
C
সংকোচক অব্যয়
D
অনুসর্গ অব্যয়
উত্তরের বিবরণ
বিয়োজক অব্যয় হলো এমন একটি অব্যয়, যা দুটি বাক্যাংশ বা অংশকে সংযুক্ত করে এবং সাধারণত বিকল্প বা বিরোধী সম্পর্ক প্রকাশ করে। অর্থাৎ, একটি কাজ না করলে অন্য কিছু ফলাফল ঘটবে—এ ধরনের বিরোধী সম্পর্ক বোঝাতে বিয়োজক অব্যয় ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ বিয়োজক অব্যয়—
-
কিংবা
-
বা
-
অথবা
-
নতুবা
-
না হয়
-
নয়তো
প্রয়োগের উদাহরণ—
-
"সবাই নিয়ম মেনে চলুন, নতুবা শাস্তি পেতে হবে।" (এখানে ‘নতুবা’ বিয়োজক অব্যয়)
-
"অথবা তুমি পড়াশোনা করো, অথবা পরীক্ষায় খারাপ করবে।"
-
"নচেৎ আমাকে সাহায্য করো, নচেৎ আমি একা পারব না।"
-
"তুমি ওষুধ খাও, না হলে অসুস্থ হয়ে পড়বে।"
0
Updated: 1 month ago
"আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" - বাক্যটির জটিল রূপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আমি যে বাংলা বিভাগের ছাত্র, তা সবাই জানে।
B
আমার বিভাগের নাম বাংলা।
C
আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
D
আমি একটি বিভাগের ছাত্র এবং তার নাম বাংলা।
সঠিক উত্তর: গ) আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
ব্যাখ্যা:
মূল বাক্য: "আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" — এটি একটি সরল বাক্য (একটি উদ্দেশ্য + একটি বিধেয়)।
জটিল বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
-
একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য থাকে।
-
সংযোজক শব্দ (যে, যা, যার, যেখানে ইত্যাদি) দ্বারা যুক্ত থাকে।
-
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি।
-
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যেহু-সেহু, যখন-তখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি।
এগুলো ব্যবহার করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
সুতরাং, এই উদাহরণে "আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা" একটি জটিল বাক্য।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বাক্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ঘটনা বর্ণনা হয়েছে।
B
আমি সন্তোষ হলাম।
C
অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার।
D
আজ আমার কনিষ্ঠা বোনের বাগদান অনুষ্ঠান।
শুদ্ধ বাক্য: আজ আমার কনিষ্ঠা বোনের বাগদান অনুষ্ঠান।
কিছু অশুদ্ধ ও শুদ্ধ বাক্যের উদাহরণ:
-
অশুদ্ধ: ঘটনা বর্ণনা হয়েছে।
শুদ্ধ: ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। -
অশুদ্ধ: আমি সন্তোষ হলাম।
শুদ্ধ: আমি সন্তুষ্ট হলাম। -
অশুদ্ধ: অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার।
শুদ্ধ: অন্নাভাবে ঘরে ঘরে হাহাকার।
0
Updated: 1 month ago
বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় নিচের কোন গুণটি থাকা প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
আসত্তি
B
আকাঙ্ক্ষা
C
যোগ্যতা
D
আসক্তি
বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় আসত্তি গুণটি থাকা প্রয়োজন।
আদর্শ বাক্যের জন্য তিনটি গুণ থাকা জরুরি—
১. আকাঙ্ক্ষা:
-
বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করতে এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা বা প্রয়াসকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
-
উদাহরণ:
-
ছেলেরা খেলে।
-
কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
এই দুই বাক্য অসম্পূর্ণ, অর্থাৎ আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি।
পরিপূর্ণ বাক্য: -
ছেলেরা ফুটবল খেলে।
-
কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
-
২. আসত্তি:
-
বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় সুনির্দিষ্ট পদবিন্যাসই আসত্তি।
-
উদাহরণ: ‘নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া’ — এখানে পদগুলোর সন্নিবেশ ঠিকঠাক নয়, ফলে অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ হয়নি।
-
পরিপূর্ণ বাক্য (আসত্তিসম্পন্ন): হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
৩. যোগ্যতা:
-
বাক্যের পদসমূহের বিশ্বাসযোগ্য ভাবসম্মিলনের নাম যোগ্যতা।
-
উদাহরণ: ‘বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে’ — রোদ কখনো প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না, তাই বাক্যটির ভাব প্রকাশ যোগ্য নয়।
-
পরিপূর্ণ বাক্য (যোগ্যতাসম্পন্ন): বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago