অশুদ্ধ বানান কোনটি?
A
নিক্বণ
B
শূদ্রাণী
C
সূচগ্রমোদিনী
D
শুশ্রূষা
উত্তরের বিবরণ
অশুদ্ধ বানান: সূচগ্রমোদিনী
শুদ্ধ বানান: সূচ্যগ্রমোদিনী
এটি একটি বিশেষ্য পদ।
শব্দের অর্থ—
-
সুচের ডগায় ধরে এমন পরিমাণ ভূমি
-
সামান্য পরিমাণ জমি
অন্যদিকে, নিম্নলিখিত শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ—
-
শুশ্রূষা
-
নিক্বণ
-
শূদ্রাণী
0
Updated: 1 month ago
কে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
Created: 1 month ago
A
ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
B
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
C
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু বর্ণিত আছে।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'মনগড়া' - কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
কর্মধারয় সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
নিত্য সমাস
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস এমন এক ধরনের সমাস, যেখানে পূর্বপদে থাকা তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপ পায়। অর্থাৎ, দুটি পদ একত্রিত হয়ে নতুন একটি শব্দ তৈরি করে, তবে বিভক্তিচিহ্ন আর থাকে না। এই সমাসে ক্রিয়ার সঙ্গে করণ বা উপায়ের সম্পর্ক বোঝায়।
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসের সংজ্ঞা:
-
পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (যেমন— দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস গঠিত হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
মন দিয়ে গড়া → মনগড়া
-
শ্রম দ্বারা লব্ধ → শ্রমলব্ধ
-
মধু দিয়ে মাখা → মধুমাখা
ব্যাখ্যা:
উপরের উদাহরণগুলোয় দেখা যায়, বিভক্তি “দিয়ে” বা “দ্বারা” বাদ দিয়ে দুটি শব্দ যুক্ত হয়েছে। এর ফলে নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়েছে, যা মূল বাক্যের ভাব বজায় রেখেছে কিন্তু গঠনগতভাবে সংক্ষিপ্ত হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সার্থক বাক্যের গুণ নয়?
Created: 2 months ago
A
আকাঙ্ক্ষা
B
যোগ্যতা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
সার্থক বাক্যের মূল গুণাবলী
একটি আদর্শ বা সার্থক বাক্যের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ থাকা আবশ্যক: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি এবং যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা
আর্থাৎ: বাক্যের অর্থ বোঝার জন্য যে ইচ্ছা বা প্রয়াস অনুভূত হয়, সেটিকেই আকাঙ্ক্ষা বলা হয়।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বাক্য: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
-
এখানে বাক্যটি অসম্পূর্ণ; আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি।
-
-
সম্পূর্ণ বাক্য: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
-
এখানে ‘করে’ পদটি যোগ হওয়ায় বাক্যটি পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করছে।
-
আসত্তি
আর্থাৎ: বাক্যের পদসমূহের সঠিক বিন্যাসের মাধ্যমে অর্থসঙ্গতি বজায় রাখাকে আসত্তি বলে।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বা ভুল বিন্যাস: নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
-
পদগুলো সঠিকভাবে বসার কারণে অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ পায়নি।
-
-
সম্পূর্ণ বাক্য: হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
-
পদবিন্যাস ঠিক থাকায় অর্থ সঠিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
যোগ্যতা
আর্থাৎ: বাক্যের পদসমূহের মধ্যে বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য ভাব মিল থাকা।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বা অযথা বাক্য: বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
-
রৌদ্র কখনও প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না; তাই অর্থের যোগ্যতা নেই।
-
-
যুক্তিসঙ্গত বাক্য: বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
-
বাস্তবধর্মী ও অর্থপূর্ণ বাক্য।
-
উৎস: ড. হায়াত মামুদ, ভাষা-শিক্ষা
0
Updated: 2 months ago