n-টাইপ অর্ধপরিবাহীতে কোনটি বেশি থাকে?
A
ধনাত্মক আয়ন
B
ঋণাত্মক আয়ন
C
হোল
D
মুক্ত ইলেকট্রন
উত্তরের বিবরণ
অর্ধপরিবাহী ডায়োড বা জাংশন ডায়োড মূলত p-টাইপ ও n-টাইপ অর্ধপরিবাহীকে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করে তৈরি করা হয়, যা প্যার্টিকেল এবং বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সংযোগের ফলে একটি p-n জাংশন তৈরি হয় যা বৈদ্যুতিক প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী ও একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহীকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করলে সংযোগ পৃষ্ঠ বা জাংশন তৈরি হয়, যাকে p-n জাংশন বা জাংশন ডায়োড বলা হয়। দুইটি অর্ধপরিবাহী মিলিয়ে গঠিত হওয়ায় একে অর্ধপরিবাহী ডায়োডও বলা হয়।
-
বাস্তবে দুটি আলাদা অর্ধপরিবাহীকে জোড়া লাগিয়ে ডায়োড তৈরি করা হয় না; বরং একটি বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীর এক অর্ধাংশে ত্রিযোজী অপদ্রব্য এবং অন্য অর্ধাংশে পঞ্চযোজী অপদ্রব্য মিশিয়ে p-n জাংশন তৈরি করা হয়।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহীর ভেতরে বহুসংখ্যক হোল এবং অতি অল্প সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে, আর n-টাইপ অর্ধপরিবাহীতে বহুসংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন এবং অতি অল্পসংখ্যক হোল থাকে।
-
p-n জাংশন তৈরি হলে p-অঞ্চলের হোলের সংখ্যা n-অঞ্চলের হোলের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় হোলগুলো n-অঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে, যাতে উভয় অঞ্চলে হোলের ঘনত্ব সমান হয়।
-
একইভাবে n-অঞ্চল থেকে কিছু ইলেকট্রন p-অঞ্চলে চলে আসে। p-অঞ্চল থেকে কিছু হোল n-অঞ্চলে প্রবেশ করলে মুক্ত ইলেকট্রনের সাথে মিলিত হয়ে তড়িৎ নিরপেক্ষ হয়, ফলে n-অঞ্চলে সমসংখ্যক ধনাত্মক দাতা আয়ন তৈরি হয়। n-অঞ্চল থেকে ইলেকট্রন p-অঞ্চলে গেলে ঋণাত্মক গ্রাহক আয়ন তৈরি হয়।
-
ফলে জাংশনের সংলগ্ন অঞ্চলে p-অঞ্চলে ঋণাত্মক আয়ন এবং n-অঞ্চলে ধনাত্মক আয়ন তৈরি হয়। যখন পর্যাপ্ত গ্রাহক ও দাতা আয়ন তৈরি হয়, তখন হোল ও ইলেকট্রনের ব্যাপন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
-
p-n জাংশনের বিভব বাঁধা অংশে n-অঞ্চলে ধনাত্মক আয়ন এবং p-অঞ্চলে ঋণাত্মক আয়ন থাকে। এই অঞ্চলে মুক্ত চার্জ বাহক অনুপস্থিত, এবং এটি নিঃশেষিত স্তর বা ডিপ্লেশন স্তর (Depletion layer) নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago
সৌর সেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রধানত কোন উপাদান ব্যবহার করা হয়?
Created: 2 months ago
A
Gold
B
Copper
C
Silicon
D
Iron
সিলিকন হলো একটি সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ, যা সৌর সেলের ফটোভোল্টায়িক স্তরে ব্যবহৃত হয়। সূর্যের আলো পড়লে এটি ফোটোভোল্টায়িক প্রভাবের মাধ্যমে আলোক শক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তর করে।
- সৌর কোষ বা সৌর সেল হলো এক ধরনের ডিভাইস যা সূর্যের আলো (ফোটন) শোষণ করে এবং এটিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
- সৌর সেল বা ফটোভোলটাইক কোষে সিলিকন (Si) ব্যবহৃত হয়, যা একটি অর্ধপরিবাহী (Semiconductor) পদার্থ।
- এটি সূর্যের আলোকে সরাসরি বিদ্যুতে রূপান্তর করে।
• সৌর সেলের কাজের পদ্ধতি:
- সূর্যের ফোটন সিলিকন পরমাণুতে আঘাত করে।
- ইলেকট্রন-হোল জোড় সৃষ্টি হয়।
- p-n জাংশনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র ইলেকট্রন প্রবাহ তৈরি করে।
উৎস: ব্রিটানিকা।
0
Updated: 2 months ago
প্রকৃতিতে কত ধরনের মৌলিক বল আছে?
Created: 1 month ago
A
৪
B
৩
C
২
D
৫
বল হলো এমন একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যা:
-
স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে চায় বা গতিশীল বস্তুর গতিতে পরিবর্তন ঘটায়।
-
সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে চার ধরনের মৌলিক বল বিদ্যমান: মহাকর্ষ বল, তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল, দুর্বল নিউক্লীয় বল, সবল নিউক্লীয় বল।
১. মহাকর্ষ বল:
-
সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে আকর্ষণ করে।
-
উদাহরণ: গ্যালাক্সির নক্ষত্র ঘুরপাক খায়, সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ঘোরে, পৃথিবীর চারপাশে চাঁদ ঘোরে।
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি আমাদেরকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টেনে রাখে, যার ফলে আমরা ওজনের অনুভূতি পাই।
-
যেকোনো ভরবিশিষ্ট বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
২. তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল:
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ প্রয়োগ করে।
৩. দুর্বল নিউক্লীয় বল:
-
নাম অনুসারে এটি দুর্বল, কারণ এটি তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের তুলনায় দুর্বল, তবে মহাকর্ষ বলের তুলনায় কম নয়।
-
এটি খুবই অল্প দূরত্বে (≈ 10⁻¹⁸ m) কার্যকর হয়।
-
মহাকর্ষ এবং তড়িৎ চৌম্বকীয় বল যেকোনো দূরত্ব থেকে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের প্রভাব সীমিত।
৪. সবল নিউক্লীয় বল:
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের চেয়ে ≈100 গুণ শক্তিশালী, তবে কার্যকর হয় খুব অল্প দূরত্বে (≈ 10⁻¹⁵ m)।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে তৈরি হয়।
0
Updated: 1 month ago
ইলেকট্রনিকস পদ্ধতির উদাহরণ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বৈদ্যুতিক মোটর
B
জলবাষ্প ইঞ্জিন
C
টেলিফোন লাইন
D
টেলিভিশন
ইলেকট্রনিকস পদ্ধতি:
বিশেষ কোনো প্রয়োগের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত অনেকগুলি ইলেকট্রনিকস বর্তনীকে সমষ্টিগতভাবে ইলেকট্রনিকস পদ্ধতি বলা হয়।
উদাহরণ: কম্পিউটার, টেলিভিশন, রেডিও, ইলেকট্রনিকস ঘড়ি, ক্যালকুলেটর ইত্যাদি।
ডিজিটাল পদ্ধতি:
ডিজিটাল সংকেত হলো বিচ্ছিন্ন তড়িৎ সংকেত, যার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মান নির্ধারিত।
এই দুই মানের মধ্যে অন্য কোনো স্তর নেই। সময়ের সাথে মান পরিবর্তিত হলেও তা সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্নে থাকে।
ডিজিটাল সংকেত চৌকো তরঙ্গ (square waves) আকারে থাকে।
ক্রম-পরিবর্তনশীল এনালগ সংকেতের বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্তর পরিবর্তনশীল সংকেত ব্যবহার করা হয়।
এই সংকেতকে ডিজিটাল বা বাইনারী (binary) সংকেত বলা হয়।
দুটি পৃথক অবস্থায় কাজ করা যন্ত্রাংশের মাধ্যমে এই সংকেত তৈরি করা যায়। উদাহরণ:
- ট্রানজিস্টারের সচল বা অন (on) এবং অচল বা অফ (off) অবস্থা।
- প্রজ্জ্বলিত বাতি ও নির্বাপিত বাতি, বা টেপের চৌম্বকায়িত ও অচৌম্বকায়িত অবস্থা।
ডিজিটাল সংকেতের স্তর দুটি প্রকাশ করা হয়: ০ এবং ১ (0 and 1), সত্য ও মিথ্যা (true and false), বা উচ্চ ও নিম্ন (high and low)।
জনপ্রিয় উদাহরণ: ডিজিটাল ঘড়ি, ক্যালকুলেটর।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago