শুকুর মাহমুদ রচিত কাব্যের নাম কী?
A
রাজগোপীচন্দ
B
মীননাথের উপাখ্যান
C
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
D
গোরক্ষবিজয়
উত্তরের বিবরণ
শুকুর মাহমুদ (১৬৬৫–১৭৩৫) ছিলেন মধ্যযুগের একজন সাধক কবি, যিনি রাজশাহী জেলার সিন্দুর কুসুম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম আবদুল শুকুর মাহমুদ। তিনি রচনা করেছেন ‘গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস’ (১৭০৫) কাব্য।
নাথ সাহিত্য হলো বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে শিব উপাসক নাথ-যোগী ও সিদ্ধাচার্যদের রচিত সাহিত্য। এটি প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত:
১. মীন নাথ ও তার শিষ্য গোরক্ষনাথের কাহিনি
২. রাজা গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
-
এই দুই কাহিনির মাধ্যমে নাথ যোগীদের অলৌকিক গল্প পল্লবিত হয়েছে।
অন্যদিকে, শেখ ফয়জুল্লাহ রচিত কাব্য হলো ‘গোরক্ষবিজয়’।

0
Updated: 20 hours ago
নিম্নোক্ত কোন উপন্যাসে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
দেবেশ রায়ের 'তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত'
B
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'পূর্ব-পশ্চিম'
C
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের 'যাও পাখি'
D
অভিজিৎ সেনের 'রহুচণ্ডালের হাড়'
‘পূর্ব-পশ্চিম’ উপন্যাস
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বিশিষ্ট ও দীর্ঘ উপন্যাস হলো ‘পূর্ব-পশ্চিম’। মূলত এটি ধারাবাহিকভাবে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডে উপন্যাসের প্রথম দুটি পর্ব—সূচনাপর্ব ও যৌবন—সংযুক্ত করা হয়েছে।
উপন্যাসের ঘটনা একই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার প্রেক্ষাপটকে স্পর্শ করে। গল্প শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের মধ্যভাগে। এ-উপন্যাসে দেখা যায় কিভাবে দু’বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ধারা ১৯৮০-এর দশকে মিলিত হয়েছে।
ঘটনাপ্রবাহের কিছু প্রধান দিক:
-
একদিকে ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন: নেহরুর মৃত্যু, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, লালবাহাদুর শাস্ত্রীয়ের মৃত্যু, ইন্দিরা গান্ধীর অভ্যুত্থান, অর্থনৈতিক মন্দা, তরুণ সমাজে বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও উগ্র রাজনীতি।
-
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট: ভাষা-আন্দোলনের পরবর্তী সময়, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা-সংগ্রাম, মুক্তিকালীন হতাশা, মুজিব হত্যা।
উপন্যাসে কোনো একক চরিত্রকে মূল চরিত্র বলা কঠিন। দুই বাংলার দুটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বহু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের গল্প বর্ণিত হয়েছে। অনেক চরিত্র শুধু বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, কেউ কেউ ইউরোপ বা আমেরিকাতেও গমন করেছে।
উৎস: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পূর্ব-পশ্চিম

0
Updated: 1 month ago
কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
Created: 2 weeks ago
A
কাঁদো নদী কাঁদো
B
নেকড়ে অরণ্যে
C
রাঙা প্রভাত
D
প্রদোষে প্রাকৃতজন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য ও গুরুত্বপূর্ণ বাংলা লেখকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিচে উপস্থাপন করা হলো। এই তথ্যগুলো মূলভাব অক্ষুণ্ণ রেখে সাজানো হয়েছে, প্রয়োজনে কিছু অতিরিক্ত ব্যাখ্যা যোগ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস 'নেকড়ে অরণ্য' এর লেখক শওকত ওসমান এবং এটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
শওকত ওসমান
-
তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান।
-
তিনি একজন কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক ছিলেন।
-
প্রধানত উপন্যাস ও গল্পের রচয়িতা হিসেবে পরিচিত, তবে প্রবন্ধ, নাটক, রম্যরচনা, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থও রচনা করেছেন।
-
তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো 'জননী' এবং 'ক্রীতদাসের হাসি'। জননীতে সামাজিক জীবন এবং ক্রীতদাসের হাসিতে রাজনৈতিক জীবনের কিছু অন্ধকার দিক উন্মোচিত হয়েছে।
-
তিনি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যেমন: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২), আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৮৩), ফিলিপস পুরস্কার (১৯৯১), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭)।
-
১৯৯৮ সালের ১৪ই মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শওকত ওসমানের রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসসমূহ:
-
জাহান্নম হইতে বিদায়
-
দুই সৈনিক
-
নেকড়ে অরণ্য
-
জলাংগী
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বাংলা উপন্যাস ও লেখক:
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত 'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে গ্রামীণ ও কুমারডাঙ্গার শহুরে পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষুদ্র সুখ-দুঃখের সামষ্টিক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে।
-
আবুল ফজল রচিত 'রাঙা প্রভাত'।
-
শওকত আলী রচিত 'প্রদোষে প্রাকৃতজন' উপন্যাসে রাজা লক্ষণ সেনের সময়ের সমাজ ও মানুষের দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে।

0
Updated: 2 weeks ago
'শ্রীরামপুর মিশন' কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৮১০ সালে
B
১৮১৫ সালে
C
১৮০২ সালে
D
১৮০০ সালে
শ্রীরামপুর মিশন
-
শ্রীরামপুর মিশন (১৮০০-১৮৪৫) ভারতের প্রথম নিজস্ব প্রচারক সংঘ।
-
এটি প্রতিষ্ঠা করেন উইলিয়াম কেরী ও তাঁর ভ্রাতৃবৃন্দ ১৮০০ সালের ১০ জানুয়ারী।
-
মিশন হুগলি জেলার দুটি স্থান থেকে বাংলায় যীশুর বাণী প্রচার শুরু করে।
-
উইলিয়াম কেরী ১৭৯৩ সালে ‘ব্যাপটিস্ট মিশনারি সোসাইটি’ এর প্রতিনিধি হিসেবে বাংলায় আসেন খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে।
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago