কোনটি পূর্ববঙ্গ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত?
A
কমলা
B
মলুয়া
C
দেওয়ানা ভাবনা
D
কাঞ্চনমালা
উত্তরের বিবরণ
পূর্ববঙ্গ-গীতিকা হলো পূর্ববাংলার লোকসাহিত্যের একটি সংকলন, যা মুখে মুখে রচিত এবং লোকসমাজে প্রচলিত পালাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই গীতিকাগুলো বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।
-
পালাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফরিদপুর, সিলেট (শ্রীহট্ট), ত্রিপুরা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে।
-
প্রধান সংগ্রাহকরা হলেন: চন্দ্রকুমার দে, দীনেশচন্দ্র সেন, আশুতোষ চৌধুরী, জসীমউদ্দীন, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, রজনীকান্ত ভদ্র, বিহারীলাল রায়, বিজয়নারায়ণ আচার্য প্রমুখ।
-
সংগৃহীত পালাগুলির সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক।
-
১৯১৩ সালে চন্দ্রকুমার দে প্রথম এই ধরণের লোকগাথা প্রকাশ শুরু করেন।
-
দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রকুমারের গাথা পড়ে আকৃষ্ট হন এবং তাঁর সহযোগিতায় পল্লী অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে আরও অনেক গাথা সংগ্রহ করেন।
-
১৯২৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসাহায্যে দীনেশচন্দ্র সেগুলি ‘পূর্ববঙ্গ-গীতিকা’ নামে প্রকাশ করেন।
পূর্ববঙ্গ-গীতিকার উল্লেখযোগ্য পালা:
-
নিজাম ডাকাতের পালা
-
কাফন চোরা
-
কমল সওদাগর
-
চৌধুরীর লড়াই
-
কাঞ্চনমালা
-
আয়না বিবি
-
ভেলুয়া
-
কমলা রানির গান
অন্যদিকে, মলুয়া, দেওয়ানা ভাবনা ও কমলা মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 20 hours ago
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার কবি হচ্ছেন -
Created: 5 days ago
A
গোবিন্দদাস
B
কোরেশী মাগন ঠাকুর
C
বিদ্যাপতি
D
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান মূলত মুসলিম চরিত্রনির্ভর এবং প্রণয়সংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত সাহিত্যকর্ম। এটি মধ্যযুগের অনুবাদ সাহিত্য ধারার অন্তর্ভুক্ত, যেখানে মুসলিম সাহিত্যিকরা বিভিন্ন কাহিনি বাংলায় অনুবাদ ও রূপান্তর করে।
এই ধারার প্রধান কবিগণ—
-
শাহ মুহম্মদ সগীর
-
সৈয়দ সুলতান
-
আবদুল হাকিম
-
আলাওল
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর প্রমুখ
অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যে—
-
বৈষ্ণব পদাবলির প্রধান কবি: গোবিন্দদাস, বিদ্যাপতি
-
মঙ্গলকাব্যের প্রধান কবি: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
"গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।" পঙ্ক্তিটি কোন কবিতার অন্তর্গত?
Created: 6 days ago
A
সোনার তরী
B
প্রাণ
C
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ
D
বর্ষাযাপন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নামকবিতা ‘সোনার তরী’। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত, যেখানে অধিকাংশ পঙক্তি ৮+৫ মাত্রার পূর্ণপর্বে বিন্যস্ত। কবি এই কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশ করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই গ্রন্থের কিছু কবিতা কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লেখা হয়েছে।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago
জ্ঞানদাস রচিত বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ -
Created: 5 days ago
A
প্রেমসাগর ও গোপাললীলা
B
মাথুর ও মুরলীশিক্ষা
C
বৃন্দাবনলীলা ও রাধামাধব
D
পদাবলী ও গীতগোবিন্দ
জ্ঞানদাস চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বৈষ্ণব সাধকদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি বৈষ্ণবগুরু নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবী দেবীর শিষ্য ছিলেন।
জ্ঞানদাসের সাহিত্যকর্মের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো—
-
প্রথম ব্যক্তি যিনি ‘ষোড়শ-গোপাল’ রূপ বর্ণনা করে পদ রচনা করেন।
-
বাংলা ও ব্রজভাষায় রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় ২০০ (মতান্তরে ৪০০) পদ রচনা করেছেন।
-
তাঁর রচিত মাথুর ও মুরলীশিক্ষা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ।
-
পদরচনায় তিনি বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাসকে অনুসরণ করলেও সংস্কার ত্যাগ করে নিজের মতো সরল সুরে পদ রচনা করেছেন, যা পাঠককে সহজে আকৃষ্ট করে।
-
প্রেম, সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মিকতা জ্ঞানদাসের রচনার মূল বিষয়। বৃন্দাবনের কিশোর-কিশোরীর লীলাকে মানবজীবনের আলোকে বর্ণনা করেছেন।
উৎস:

0
Updated: 5 days ago