রামায়ণের প্রথম বাংলা অনুবাদক -
A
বাল্মীকি
B
চন্দ্রাবতী
C
কৃত্তিবাস ওঝা
D
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
উত্তরের বিবরণ
রামায়ণ হলো একটি সংস্কৃত কাব্য, যা রচনা করেন বাল্মীকি। বাল্মীকি পূর্বে দস্যুবৃত্তি করতেন। বাংলা সাহিত্যে রামায়ণের প্রথম অনুবাদ করেন কৃত্তিবাস ওঝা, যিনি মধ্যযুগের অনুবাদ সাহিত্যের প্রথম সূচনা করেন। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের নির্দেশে কৃত্তিবাস রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন। রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক ছিলেন চন্দ্রাবতী।
কৃত্তিবাস ওঝা:
-
সংস্কৃত রামায়ণের প্রথম অনুবাদক কবি।
-
জন্মস্থান: রাজশাহী জেলার প্রেমতলী নিকট, যা কিছু মতান্তরে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গঙ্গাতীরবর্তী ফুলিয়া গ্রাম।
-
‘কৃত্তিবাসী রামায়ণ’ ১৮০২-০৩ সালে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রথমবার পাঁচ খণ্ডে মুদ্রিত হয়।
-
১৮৩০-৩৪ সালে জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় এর দ্বিতীয় সংস্করণ দু খণ্ডে প্রকাশিত হয়।
-
অদ্যাবধি রামায়ণের বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে শ্রীরামপুরের প্রথম সংস্করণের পাঠই সর্বোত্তম বলে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
'প্রগতি' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
Created: 1 month ago
A
অজিতকুমার দত্ত
B
প্রেমেন্দ্র মিত্র
C
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
D
মোজাম্মেল হক
'প্রগতি' পত্রিকা ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় প্রকাশিত একটি মাসিক পত্রিকা, যা বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূচনা ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে দেখা যায় যে ঢাকা সময়োপযোগী সাহিত্যিক প্রবাহের সঙ্গে পিছিয়ে ছিল না। এই পত্রিকাটি কল্লোল এবং কালিকলম-এর সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা সাহিত্যের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনার মধ্যে গণ্য করা হয়।
-
প্রগতি পত্রিকার প্রকাশ: ১৯২৭ সালে ঢাকা থেকে মাসিকভাবে প্রকাশিত।
-
সম্পাদকবৃন্দ: বুদ্ধদেব বসু এবং অজিতকুমার দত্ত।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার প্রচার ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
-
অন্য সমসাময়িক পত্রিকা ও ব্যক্তিত্ব:
-
মোজাম্মেল হক: মোসলেম ভারত পত্রিকার সম্পাদক।
-
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত: কল্লোল পত্রিকার নিয়মিত লেখক।
-
প্রেমেন্দ্র মিত্র: কালিকলম পত্রিকার সম্পাদক।
-
0
Updated: 1 month ago
মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
বেগম রোকেয়া
C
আল মাহমুদ
D
ফররুখ আহমদ
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি হিসেবে পরিচিত এবং বাংলা সাহিত্যে কাব্য ও সনেটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ এবং প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো 'সাত সাগরের মাঝি'। ফররুখ আহমদ তাঁর কাহিনী কাব্য 'হাতেমতায়ী' এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার লাভ করেন এবং একই সালে শিশুতোষ 'পাখির বাসা' এর জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি 'মুহূর্তের কবিতা' নামে একটি সনেট সংকলন রচনা করেছেন।
-
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
-
0
Updated: 1 month ago
‘ন্যায়দণ্ড’ উপন্যাসটি কে রচনা করেন?
Created: 19 hours ago
A
স্বর্ণকুমারী দেবী
B
জরাসন্ধ
C
রশীদ করিম
D
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ
‘ন্যায়দণ্ড’ উপন্যাসটি রচনা করেছেন জরাসন্ধ।
-
জরাসন্ধ বাংলা সাহিত্যের একজন প্রসিদ্ধ ঔপন্যাসিক, যার আসল নাম চারুচন্দ্র চক্রবর্তী।
-
‘ন্যায়দণ্ড’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি, যা সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায়।
-
উপন্যাসে ন্যায় ও অন্যায়, মানষিক দ্বন্দ্ব এবং সামাজিক সমস্যা চিত্রিত হয়েছে।
-
জরাসন্ধের লেখায় চরিত্রের মনস্তত্ত্ব এবং সমাজের বাস্তব চিত্র জীবন্তভাবে ফুটে ওঠে।
-
অন্যান্য বিকল্প বিশ্লেষণ:
-
স্বর্ণকুমারী দেবী → একজন নারী সাহিত্যিক, যিনি ভিন্ন ধারার সাহিত্য রচনা করেন।
-
রশীদ করিম → প্রায় আধুনিক সময়ের লেখক, ‘ন্যায়দণ্ড’-এর রচয়িতা নয়।
-
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ → উর্দু ও বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ঔপন্যাসিক, এই কাহিনীর লেখক নয়।
-
-
এটি বাংলা ঔপন্যাস সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
0
Updated: 19 hours ago