কোন বানানটি সঠিক?
A
ত্রিনয়ণ
B
কৃপন
C
দুর্ণাম
D
ক্রন্দন
উত্তরের বিবরণ
ক্রন্দন — বানানটি সঠিক।
ণ-ত্ব বিধান:
-
সমাসসাধিত শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য হয় না; এখানে ন ব্যবহার হয়।
উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, অগ্রনায়ক, পরনিন্দা -
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ন কখনো ণ হয় না; ন হয়।
উদাহরণ: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন -
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ -
ঋ, র, ষ-এর পরে স্বরধ্বনি (ষ, য়, ব, হ, ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয়) থাকলে পরবর্তী ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: কৃপণ, হরিণ, অর্পণ, লক্ষণ, রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন শব্দে শুদ্ধ প্রয়োগ ঘটেছে?
Created: 1 month ago
A
নিরপরাধী
B
অহর্নিশি
C
নির্দোষ
D
দিবারাত্রি
শুদ্ধ প্রয়োগ: নির্দোষ।
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ সমাসের ফলে গঠিত হলেও ব্যবহারিক কারণে তাদের মধ্যে কিছু অশুদ্ধ রূপ প্রচলিত রয়েছে। প্রমিত নিয়ম অনুযায়ী এসব শব্দের নির্ভুল বা শুদ্ধ রূপ ব্যবহার করা আবশ্যক।
সমাস-ঘটিত কিছু অশুদ্ধ শব্দ ও তাদের শুদ্ধরূপ:
-
নিরপরাধী → নিরপরাধ
-
অহর্নিশি → অহর্নিশ
-
নিরহঙ্কারী → নিরহঙ্কার
-
নির্দোষী → নির্দোষ
-
পিতাহারা → পিতৃহারা
-
অর্ধরাত্রি → অর্ধরাত্র
-
নিরভিমানী → নিরভিমান
-
দিবারাত্রি → দিবারাত্র
-
নীরোগী → নীরোগ
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন শব্দটি প্রত্যয় সাধিত?
Created: 2 months ago
A
প্রলয়
B
খণ্ডিত
C
নিঃশ্বাস
D
অনুপম
• বিশেষ নিয়মে ‘ক্ত’ কৃৎ-প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ:
ক্ত- প্রত্যয় যুক্ত হলে নিন্মলিখিত ধাতুর অন্ত্যস্বর ‘ই’-কার হয়।
যেমন:
• √পঠ + ক্ত; √পঠ +ই + ত্ = পঠিত।
এরূপ-
• √ক্ষুধ্ + ত = ক্ষুধিত।
• √খণ্ড্ + ত্ = খণ্ডিত।
• √ব্যাথ্ + ত্ = ব্যথিত।
• √শিক্ষ্ + ত = শিক্ষিত।
অন্যদিকে,
• ‘প্রলয়’ শব্দটি তৎসম উপসর্গ ‘প্র’ যোগে গঠিত।
• বিসর্গ সন্ধি যোগে গঠিত শব্দ- নিঃ + শ্বাস = নিঃশ্বাস।
• তৎসম উপসর্গ ‘অনু’ যোগে গঠিত শব্দ অনুপম।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) এবং বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 2 months ago
'নীলিমা' শব্দের গঠনে কোন প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
আ
B
অ
C
ইমন্
D
শানচ্
‘নীলিমা’ শব্দের গঠনে ‘ইমন্’ তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।
তদ্ধিত প্রত্যয় এমন একটি প্রত্যয় যা মূল শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করে। এখানে নিয়মটি হলো—
যদি শব্দের শেষে ‘ইমা’ থাকে, তবে তার প্রত্যয়রূপ হয় ‘ইমন্’, এবং এতে ভাবার্থে বিশেষ্য শব্দ গঠিত হয়।
উদাহরণ:
-
মহৎ + ইমন্ = মহিমা,
-
নীল + ইমন্ = নীলিমা।
0
Updated: 1 month ago