"যারা-তারা" - কোন ধরনের সর্বনাম?
A
আত্মবাচক সর্বনাম
B
সাপেক্ষ সর্বনাম
C
অনির্দিষ্ট সর্বনাম
D
পারস্পরিক সর্বনাম
উত্তরের বিবরণ
সাপেক্ষ সর্বনাম হলো সেই সর্বনাম, যা পরস্পর নির্ভরশীল দুটি সর্বনামকে বোঝায়।
উদাহরণ:
-
যারা-তারা
-
যে-সে
-
যেমন-তেমন (যেমন কর্ম, তেমন ফল)
অন্যান্য সর্বনামের প্রকারভেদ:
-
আত্মবাচক সর্বনাম : কর্তা নিজেই কোনো কাজ করেছে, এ ভাবটি জোর দিয়ে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: নিজে, স্বয়ং -
অনির্দিষ্ট সর্বনাম : অনির্দিষ্ট বা পরিচয়হীন কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: কেউ, কোথাও, কিছু, একজন -
পারস্পরিক সর্বনাম : দুই পক্ষের সহযোগিতা বা নির্ভরতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: পরস্পর, নিজেরা নিজেরা
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'অষ্টধাতু' — কোন ধরনের সমাস?
Created: 1 month ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বিগু সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বিগু সমাস হলো সমাহার বা মিলনের অর্থ প্রকাশকারী এমন সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য গঠন করে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি সর্বদা বিশেষ্য পদ হিসেবে কাজ করে।
দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো:
-
প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক শব্দ হয়।
-
পরবর্তী পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
-
সমাসনিষ্পন্ন সমস্ত পদ সমষ্টি বা সমাহার বোঝায়।
-
সমাসিত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
সাত সমুদ্রের সমাহার = সাতসমুদ্র (এখানে "সাত" সংখ্যাবাচক এবং "সমুদ্র" বিশেষ্য; মিলিত হয়ে সাতটি সমুদ্রের সমষ্টি বোঝাচ্ছে)
অন্যান্য উদাহরণ:
-
আটটি ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
পাঁচ সেরের সমাহার = পঁসুরি
-
শত বর্ষের সমাহার = শতবর্ষ
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
-
সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি
-
ত্রি (তিন) পদের সমাহার = ত্রিপদী
এছাড়া আরও কিছু দ্বিগু সমাসের উদাহরণ: অষ্টধাতু, চতুর্ভুজ, চতুরঙ্গ, ত্রিমোহিনী, তেরনদী, পঞ্চভূত, সাতসমুদ্র।
0
Updated: 1 month ago
প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকার নাম–
Created: 2 months ago
A
তত্ত্ববোধিনী
B
কল্লোল
C
সবুজ পত্র
D
ধূমকেতু
তত্ত্ববোধিনী - অক্ষয়কুমার দত্ত, কল্লোল - দীনেশরঞ্জন দাস, ধূমকেতু - কাজী নজরুল ইসলাম, সবুজপত্র - প্রমথ চৌধুরী। সবুজপত্র ১৯১৪ সালে প্রকাশ ঘটে।
0
Updated: 2 months ago
'সত্যকে স্বীকার করতে অনেক ব্যক্তিরাই চায়না।'- এখানে ভুল ঘটেছে-
Created: 1 month ago
A
বানান ও প্রত্যয়ের
B
অর্থ ও বচনের
C
অর্থ ও প্রত্যয়ের
D
বানান ও বচনের
বাক্যটি “সত্যকে স্বীকার করতে অনেক ব্যক্তিরাই চায়না।” — এখানে দুটি প্রধান ভুল রয়েছে, একটি বানানজনিত এবং অন্যটি বচনজনিত। এই ভুলগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
বানানের ভুল:
-
“চায়না” শব্দটি প্রমিত বাংলা বানান নয়। সঠিক রূপ হলো “চায় না”।
-
“চায়না” কথ্য রূপে ব্যবহারযোগ্য হলেও লিখিত বা আনুষ্ঠানিক ভাষায় তা ভুল।
-
বাংলা একাডেমির প্রমিত বানান বিধি অনুযায়ী ক্রিয়াপদ ‘চাওয়া’-এর নেতিবাচক রূপে “চায় না” লেখা হয়।
-
উদাহরণ: “সে যেতে চায় না।”
বচনের ভুল:
-
“অনেক ব্যক্তিরাই” বাক্যাংশে “অনেক” ইতিমধ্যেই বহুবচন বোঝায়। তাই তার সঙ্গে “রা” প্রত্যয় যোগ করা অপ্রয়োজনীয়।
-
সঠিক হবে “অনেক ব্যক্তিই” অথবা “ব্যক্তিরাই” — উভয় রূপ ব্যাকরণসম্মত।
এই নিয়ম অনুযায়ী বাক্যটির শুদ্ধ রূপ হবে: “সত্যকে স্বীকার করতে অনেক ব্যক্তিই চায় না।”
0
Updated: 1 month ago