"আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" - বাক্যটির জটিল রূপ কোনটি?
A
আমি যে বাংলা বিভাগের ছাত্র, তা সবাই জানে।
B
আমার বিভাগের নাম বাংলা।
C
আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
D
আমি একটি বিভাগের ছাত্র এবং তার নাম বাংলা।
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: গ) আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
ব্যাখ্যা:
মূল বাক্য: "আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" — এটি একটি সরল বাক্য (একটি উদ্দেশ্য + একটি বিধেয়)।
জটিল বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
-
একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য থাকে।
-
সংযোজক শব্দ (যে, যা, যার, যেখানে ইত্যাদি) দ্বারা যুক্ত থাকে।
-
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি।
-
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যেহু-সেহু, যখন-তখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি।
এগুলো ব্যবহার করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
সুতরাং, এই উদাহরণে "আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা" একটি জটিল বাক্য।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি নিত্য নারীবাচক শব্দ?
Created: 2 months ago
A
জেনানা
B
সতীন
C
শিক্ষিকা
D
ধাত্রী
নিত্য নারী বাচক শব্দ: - সতীন, সৎমা, এয়ো, দাই, সধবা, ডাইনি, সপত্নী কুলটা, শাঁকচুন্নি, বাইজি।
0
Updated: 2 months ago
'আকাশে তো আমি রাখিনাই মোর উড়িবার ইতিহাস।' -এই বাক্যে 'আকাশে' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
Created: 3 months ago
A
কর্তৃকারকে সপ্তমী
B
কর্মকারকে সপ্তমী
C
অপাদান কারকে তৃতীয়া
D
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
অধিকরণ কারক
-
অধিকরণ কারক হল সেই কারক যা ক্রিয়ার আধার নির্দেশ করে। অর্থাৎ, এটি ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল বা ভাবকে বোঝায়।
-
সহজভাবে বলতে গেলে, অধিকরণ কারক হলো ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়, স্থান বা বিষয়ের তথ্য।
-
বাক্যে ক্রিয়াপদ কোন স্থানে, কখন বা কিভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রকাশ করতে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়।
-
অধিকরণ কারকের ক্ষেত্রে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়, যেমন – এ, য়, তে ইত্যাদি।
উদাহরণ হিসেবে, ‘‘আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস’’ বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি স্থান নির্দেশ করছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত রয়েছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকের একটি উদাহরণ।
অধিকরণ কারকের আরও কিছু উদাহরণ:
-
“তৈল আছে” – এখানে ‘আছে’ ক্রিয়া এবং ‘তৈল’ শব্দের সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত।
-
“কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল” – ‘কাননে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে” – এখানে ‘পাঠে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি আছে।
-
“পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির” – ‘পাতায়’ শব্দটি অধিকরণ কারকের উদাহরণ।
-
“বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি” – এখানে ‘বাংলাদেশ’ শব্দে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি প্রযোজ্য।
-
“বন্যেরা বনে সুন্দর” – ‘বনে’ শব্দটি সপ্তমী বিভক্তিতে আছে।
-
“ছাদে পানি আছে” – ‘ছাদে’ শব্দেও সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“কপালের লিখন যায় না খণ্ডন” – ‘কপালের’ শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি রয়েছে, যা অধিকরণ কারকের একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পড়ে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
'লাটাই' কোন ভাষার শব্দ?
Created: 2 months ago
A
সংস্কৃত
B
দেশি
C
হিন্দি
D
তুর্কি
• দেশি শব্দ:
বাংলা অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে কিছু শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান পেয়েছে, এগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি ইত্যাদি।
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• লাটাই (বিশেষ্য পদ),
- এটি দেশি ভাষার শব্দ।
অর্থ: তাঁত বোনার বা ঘুড়ির সুতা জড়ানোর কাটিম, নাটাই।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান এবং বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিত, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।
0
Updated: 2 months ago