"সবাই নিয়ম মেনে চলুন, নতুবা শাস্তি পেতে হবে।" - এখানে 'নতুবা' শব্দটি-
A
সংযোজক অব্যয়
B
বিয়োজক অব্যয়v
C
সংকোচক অব্যয়
D
অনুসর্গ অব্যয়
উত্তরের বিবরণ
বিয়োজক অব্যয় হলো এমন একটি অব্যয়, যা দুটি বাক্যাংশ বা অংশকে সংযুক্ত করে এবং সাধারণত বিকল্প বা বিরোধী সম্পর্ক প্রকাশ করে। অর্থাৎ, একটি কাজ না করলে অন্য কিছু ফলাফল ঘটবে—এ ধরনের বিরোধী সম্পর্ক বোঝাতে বিয়োজক অব্যয় ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ বিয়োজক অব্যয়—
-
কিংবা
-
বা
-
অথবা
-
নতুবা
-
না হয়
-
নয়তো
প্রয়োগের উদাহরণ—
-
"সবাই নিয়ম মেনে চলুন, নতুবা শাস্তি পেতে হবে।" (এখানে ‘নতুবা’ বিয়োজক অব্যয়)
-
"অথবা তুমি পড়াশোনা করো, অথবা পরীক্ষায় খারাপ করবে।"
-
"নচেৎ আমাকে সাহায্য করো, নচেৎ আমি একা পারব না।"
-
"তুমি ওষুধ খাও, না হলে অসুস্থ হয়ে পড়বে।"
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
"ন, র, ল, স" কোন শ্রেণির ব্যঞ্জনধ্বনি?
Created: 1 month ago
A
দন্তমূলীয়
B
মূর্ধন্য
C
তালব্য
D
কণ্ঠ্য
বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভাজন করা হয়। প্রতিটি শ্রেণির ধ্বনির উচ্চারণের সময় জিভ, ঠোঁট বা কণ্ঠনালির অবস্থান অনুযায়ী বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হয়। নিচে এসব ব্যঞ্জনধ্বনির প্রকার ও তাদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন
-
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলো দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন।
-
ন, র, ল, স হলো দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় ধ্বনিদ্বার থেকে বায়ু কণ্ঠনালি হয়ে সরাসরি বেরিয়ে আসে।
-
এই ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনির একমাত্র উদাহরণ হলো হ।
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি কাছাকাছি এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
এগুলোকে দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনি নামেও ডাকা হয়।
-
প, ফ, ব, ভ, ম হলো ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
দন্ত্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হয়।
-
ত, থ, দ, ধ হলো দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
-
দন্তমূল ও তালুর মাঝের উঁচু অংশ, যাকে মূর্ধা বলা হয়, সেখানে জিভের ডগা লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হলে এই ধ্বনিগুলো তৈরি হয়।
-
ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ় হলো মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
তালব্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা খানিকটা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
চ, ছ, জ, ঝ, শ হলো তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে নরম তালুর কাছে (আলজিভের নিকটে) বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
ক, খ, গ, ঘ, ঙ হলো কণ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
0
Updated: 1 month ago
কোন ধরনের শব্দে কখোনই ‘ণ” হবে না?
Created: 2 months ago
A
তৎসম
B
বিদেশী
C
তদ্ভব
D
আঞ্চলিক
বাংলা ভাষায় সাধারণত মূর্ধন্য - ণ ও মূর্ধন্য - ষ ধ্বনি ব্যবহার নেই। তাই বাংলা ভাষা ব্যবহৃত বিদেশি সঙ্গে কখনো মূর্ধন্য 'ণ' ও মূর্ধন্য 'ষ' ব্যবহৃত হয় না ।
0
Updated: 2 months ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 2 months ago
A
শূণ্য
B
চূর্ণ
C
রুপক
D
গূণ্য
✦ শব্দ এবং তাদের অর্থ ও শ্রেণী
-
চূর্ণ (বিশেষণ)
-
অর্থ:
-
কণায় পরিণত পদার্থ, গুঁড়ো
-
চুন
-
সুগন্ধি গুঁড়ো
-
আবির
-
-
বিশেষণ পদ: গুঁড়ো করা হয়েছে এমন, চূর্ণীকৃত, সম্পূর্ণ ভগ্ন, গুঁড়োয় পরিণত।
-
উৎস: সংস্কৃত শব্দ
-
-
শূন্য (বিশেষণ)
-
অর্থ: পরিমাণ বা আয়তনের অভাব
-
-
রূপক (বিশেষ্য)
-
অর্থ:
-
যে অর্থালংকারে উপমান ও উপমেয়কে অভেদ কল্পনা করা হয়
-
যেসব কাব্য বা নাটকে কোনো তত্ত্বকে রূপ দেওয়া হয়
-
-
-
গুণ্য (বিশেষণ)
-
অর্থ: গুণ করতে হবে এমন
-
0
Updated: 2 months ago