স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় গঠিত সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের আহবায়ক কে ছিলেন?
A
তাজউদ্দীন আহমেদ
B
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
C
কর্নেল খালেদ মোশাররফ
D
কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানী
উত্তরের বিবরণ
সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ
১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করার জন্য আওয়ামী লীগসহ পাঁচটি দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয় ৮ সদস্যের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ।
-
এই পরিষদ মূলত মুজিবনগর সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা দিত, যা একাত্তরের ১০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়োগ করে গঠিত হয়।
-
পরিষদটি ভারতের কলকাতায় গঠিত ‘জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
সদস্য ও নেতৃত্ব:
-
আহবায়ক: তাজউদ্দীন আহমেদ
-
কমিটির নেতা: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
অন্যান্য সদস্য:
-
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ (মস্কোপন্থী ন্যাপের প্রতিনিধি)
-
মনিসিংহ (কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি)
-
মনোরঞ্জন ধর (কংগ্রেস দলের নেতা)
-
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী (আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি)
-
এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান (আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি)
-
খন্দকার মোশতাক আহমদ (মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি)

0
Updated: 21 hours ago
২৬ মার্চ ১৯৭১-এর স্বাধীনতা ঘোষণা বঙ্গবন্ধু জারী করেন-
Created: 1 month ago
A
বেতার/রেডিওর মাধ্যমে
B
ওয়্যারলেসের মাধ্যমে
C
টেলিগ্রামের মাধ্যমে
D
টেলিভিশনের মাধ্যমে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা (১৯৭১)
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনারা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই নৃশংসতার মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
২৬ মার্চ ভোররাতের আগে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বেই বঙ্গবন্ধু টি.এন্ড.টি. ও ই.পি.আর (বর্তমান বিজিবি)-এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্বাধীনতার বার্তা পৌঁছে দেন। তাই ২৬ মার্চকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ধরা হয়।
স্বাধীনতা দিবস ঘোষণার ইতিহাস
-
২৬ মার্চ: বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস।
-
৩ অক্টোবর ১৯৮০: সরকারিভাবে ২৬ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
১৯৮১ সাল থেকে: প্রতিবছর রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
-
১০ এপ্রিল ১৯৭১: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হয় এবং বাংলাদেশকে গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল ১৯৭১: মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আত্মপ্রকাশ করে।
-
ঘোষণাপত্রটি লিখে দেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।
-
১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
-
৬ষ্ঠ তফসিলে ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: হাসান হাফিজুর রহমান (সম্পা.), বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দানকারী দ্বিতীয় দেশের নাম-
Created: 2 months ago
A
ভারত
B
রাশিয়া
C
ভুটান
D
নেপাল
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে ভুটান ছিল প্রথম দেশ, যা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। একই দিনে, অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ, ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পরিচিত হয়।
সরকার ও পররাষ্ট্র সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশের মধ্যে ভুটান প্রথম এবং ভারত দ্বিতীয়।
আরব দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রাপ্তি
আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ইরাক, যা ৮ জুলাই ১৯৭২ সালে প্রদান করা হয়। এর পর লেবানন ২৮ মার্চ ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ইরান তারপরে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
উৎসসমূহ
-
বাংলাপিডিয়া
-
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে স্বাধীনতা পদক প্রবর্তন করা হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৭৫ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৭ সালে
স্বাধীনতা পদক (বাংলাদেশ)
-
প্রবর্তন: ১৯৭৭, মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে
-
সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার
-
প্রদানের ক্ষেত্র:
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান
-
ভাষা আন্দোলন
-
শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
-
চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, জনসেবা
-
সামাজিক বিজ্ঞান, সঙ্গীত, ক্রীড়া, চারুকলা, পল্লী উন্নয়ন
-
-
পুরস্কারের উপাদান: স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র, নগদ অর্থ
স্বাধীনতা পদক ২০২৫ প্রাপ্তরা:
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
সূত্র: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়

0
Updated: 1 month ago