বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌ কমান্ডোদের অভিযান কী নামে পরিচিত ছিল?
A
অপারেশন জ্যাকপট
B
অপারেশন টাইগার
C
অপারেশন থান্ডারবোল্ট
D
অপারেশন ব্লু বার্ড
উত্তরের বিবরণ
অপারেশন জ্যাকপট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-কমান্ডো বাহিনীর পরিচালিত প্রথম অভিযান ছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’।
-
তারিখ ও সময়: ১৯৭১ সালের ১৬ই আগস্ট, প্রথম প্রহরে।
-
অভিযানের স্থান: দেশের দুইটি সমুদ্রবন্দর—চট্টগ্রাম ও মোংলা, এবং দুইটি নদী বন্দর—চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ।
-
প্রকৃতি: অপারেশনটি ছিল একটি আত্মঘাতী অভিযান।
-
কার্যক্রম: নৌ-কমান্ডোরা একযোগে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর ২৬টি পণ্য ও সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ এবং গানবোট ডুবিয়ে দেয়।
-
ফলাফল: অভিযানে অংশগ্রহণকারী কোনো গেরিলা শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়েননি।
উল্লেখ্য:
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দেশের যুদ্ধাঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
-
অপারেশন জ্যাকপট পরিচালিত নৌ-কমান্ডো বাহিনী ১০নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
-
১০নং সেক্টর মূলত সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, নদী ও সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশের সমগ্র জলপথ নিয়ে গঠিত।

0
Updated: 21 hours ago
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ শত্রুমুক্ত জেলা যথাক্রমে -
Created: 22 hours ago
A
ঢাকা ও যশোর
B
যশোর ও ঢাকা
C
কুমিল্লা ও যশোর
D
যশোর ও কুমিল্লা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন জেলার শত্রুমুক্ত হওয়া তার প্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতিকে নির্দেশ করে। সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ শত্রুমুক্ত জেলা যথাক্রমে যশোর ও ঢাকা।
-
যশোর হলো বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা, যা ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্ত হয়।
-
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে, যা দেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পরাজয় নির্দেশ করে।
-
আত্মসমর্পণের পরও পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসররা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেত।
-
ঢাকায় আত্মসমর্পণের এক সপ্তাহ পর্যন্ত যুদ্ধ চলার পর ২৩ ডিসেম্বর কুমিল্লার হোমনা হানাদারমুক্ত হয়।
-
ঢাকার মিরপুর তখনো পাকিস্তানি বাহিনী ও বিহারিদের দ্বারা পুরোপুরি অবরুদ্ধ ছিল।
-
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি এক বিশেষ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারি ১২ নম্বর সেকশনের ডি ব্লক, ঈদগাহ মাঠে আত্মগোপনকারী পাকিস্তানি সেনা, বিহারি, রাজাকার ও আলবদরদের অস্ত্রসমর্পণের মধ্য দিয়ে মিরপুর মুক্ত হয়।
-
অন্যদিকে, কুমিল্লা জেলা শত্রুমুক্ত হয় ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১।

0
Updated: 22 hours ago
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ কোথায় সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 21 hours ago
A
ঢাকা
B
গাজীপুর
C
চট্টগ্রাম
D
রাজশাহী
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে, যখন স্থানীয় জনগণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।
-
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরে পৌঁছে। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব।
-
রেজিমেন্টের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করা।
-
খবরটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা জয়দেবপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
-
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর সশস্ত্র গুলিবর্ষণ করলে অনেকেই শহীদ হন।
-
এ ঘটনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের ইতিহাস গড়ে ওঠে।

0
Updated: 21 hours ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী যৌথ কমান্ড গঠন করে—
Created: 1 month ago
A
১ ডিসেম্বর, ১৯৭১
B
২১ নভেম্বর, ১৯৭১
C
৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১
D
২৬ মার্চ, ১৯৭১
যৌথ কমান্ড গঠন (২১ নভেম্বর ১৯৭১)
-
ঘটনা: মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী মিলে যৌথ কমান্ড গঠন করে ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর
-
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
বিশ্ব ইতিহাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের প্রথম দেশ, যে দেশ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে
-
মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই ভারত নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে
-
যৌথ কমান্ড গঠন ২১শে নভেম্বর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে
-
-
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট:
-
পাকিস্তান ৩রা ডিসেম্বর ভারত আক্রমণ করলে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়
-
৬–১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করে
-
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ৯ম–১০ম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago