নিচের কোনটি যৌগিক ক্রিয়ার উদাহরণ?
A
গান করা
B
পেয়ে বসা
C
গরম করা
D
উদয় হওয়া
উত্তরের বিবরণ
‘পেয়ে বসা’ হলো একটি যৌগিক ক্রিয়ার উদাহরণ।
যৌগিক ক্রিয়া হলো এমন ক্রিয়া, যেখানে অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়া যুক্ত হয়ে একটি নতুন ক্রিয়া গঠন করে।
উদাহরণ—
-
এগিয়ে চলা
-
মরে যাওয়া
-
কমে আসা
-
হেসে ওঠা
-
উঠে পড়া
-
পেয়ে বসা
-
সরে দাঁড়ানো
সংযোগ ক্রিয়া হলো সেই ক্রিয়া, যা বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক শব্দের পরে নির্দিষ্ট ক্রিয়া যুক্ত হয়ে গঠিত হয়।
উদাহরণ—
-
গরম করা
-
গান করা
-
উদয় হওয়া
-
ঠনঠন করা
(উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
'ঝড়ো কাক' বাগ্ধারার অর্থ-
Created: 5 days ago
A
পোষ্য-ভারাক্রান্ত
B
সমমনা
C
জমকালো কিন্তু বেমানান
D
বিপর্যস্ত অবস্থা
'ঝড়ো কাক' বাগ্ধারার অর্থ হলো বিপর্যস্ত অবস্থা। এর alongside আরও কিছু বাগ্ধারা রয়েছে যেগুলোর ভিন্ন অর্থ রয়েছে।
-
ছা-পোষা: পোষ্য-ভারাক্রান্ত
-
ঝাঁকের কই: সমমনা
-
জবরজং: জমকালো কিন্তু বেমানান
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
'কুম্ভকার' কোন সমাস?
Created: 2 days ago
A
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
D
অলুক দ্বন্দ্ব
বাংলা ভাষায় উপপদ তৎপুরুষ সমাস হলো এমন একটি সমাস যেখানে কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, ক্রিয়ার অর্থপূর্ণ অংশের আগে থাকা পদটিকে উপপদ বলা হয় এবং কৃৎ-প্রত্যয় দ্বারা সমাস তৈরি হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
অগ্রে গমন করে যে → অগ্রগামী
এখানে 'গামী' স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার হয় না। কেবল অগ্রে গামী বলা সম্ভব নয়; ব্যাক্য হবে 'অগ্রে গমন করে যে'। -
এরূপ উদাহরণ:
ধামা ধরে যে → ধামাধরা
ছেলে ধরে যে → ছেলেধরা -
উপপদ সনাক্ত করার নিয়ম:
কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের আগে যদি কোন পদ থাকে, তাকে উপপদ বলা হয়। অথবা, যে পদের পরে ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেটিও উপপদ হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণ: কুম্ভকার → কুম্ভ + √কৃ + অ
এখানে 'কুম্ভ' হলো উপপদ। অর্থাৎ কুম্ভ করে যে = কুম্ভকার, যা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
সমাস সাধিত অশুদ্ধি ঘটেছে কোন শব্দে?
Created: 2 days ago
A
মহিমমণ্ডিত
B
রাজগণ
C
সুবুদ্ধি
D
যুবরাজা
বাংলা ভাষায় সমাস সাধনের ক্ষেত্রে অনেক সময় অশুদ্ধ শব্দ ব্যবহার হয়ে যায়, যা শুদ্ধ রূপে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দ বাংলায় প্রথমবার একবচনে ধনী, গুণী, মানী, পাপী ইত্যাদি রূপ নেয়। কিন্তু নিঃ-উপসর্গ যোগ হয়ে সমাসবদ্ধ হলে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকে না। তখন ধন, গুণ, মান, পাপ ইত্যাদি শব্দ সমানভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
নেই ধন যার = নির্ধন
-
নেই গুণ যার = নির্গুণ
-
নেই পাপ যার = নিষ্পাপ
অতএব, নির্ধনী, নির্গুণী, নিষ্পাপী ইত্যাদি অশুদ্ধ রূপ।
কিছু সমাস সাধিত অশুদ্ধ ও শুদ্ধ শব্দের প্রয়োগ নিচে দেওয়া হলো—
-
অশুদ্ধ: পিতাহারা → শুদ্ধ: পিতৃহারা
-
অশুদ্ধ: যুবরাজা → শুদ্ধ: যুবরাজ
-
অশুদ্ধ: মহিমামণ্ডিত → শুদ্ধ: মহিমমণ্ডিত
-
অশুদ্ধ: রাজাগণ → শুদ্ধ: রাজগণ
-
অশুদ্ধ: মাতাজাতি → শুদ্ধ: মাতৃজাতি
-
অশুদ্ধ: সুবুদ্ধিমান → শুদ্ধ: সুবুদ্ধি
-
অশুদ্ধ: নির্দোষী → শুদ্ধ: নির্দোষ
-
অশুদ্ধ: অর্ধরাত্রি → শুদ্ধ: অর্ধরাত্র
-
অশুদ্ধ: নিরভিমানী → শুদ্ধ: নিরভিমান
-
অশুদ্ধ: দিবারাত্রি → শুদ্ধ: দিবারাত্র
-
অশুদ্ধ: নীরোগী → শুদ্ধ: নীরোগ
উৎস:

0
Updated: 2 days ago