যোজক কাকে যুক্ত করে?
A
পদ
B
বর্গ
C
বাক্য
D
সবগুলোই
উত্তরের বিবরণ
যোজক হলো সেই শব্দ, যা পদ, বর্গ বা বাক্যকে একত্রিত করে।
যেমন—
-
এবং, ও, আর, তবু, অথবা, সুতরাং, কারণ, তবে ইত্যাদি।
যোজকের প্রকারভেদ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী—
-
সাধারণ যোজক : দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে।
যেমন: করিম ও রহিম এ কাজটি করেছে। -
বিকল্প যোজক : একাধিক শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বিকল্প নির্দেশ করে।
যেমন: চা না-হয় কফি খান। -
বিরোধ যোজক : বাক্যের দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটায় এবং প্রথম বাক্যের বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে।
যেমন: তাকে আসতে বললাম, তবু এলো না। -
কারণ যোজক : বাক্যের দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, যার একটি অন্যটির কারণ নির্দেশ করে।
যেমন: বসার সময় নেই, তাই যেতে হচ্ছে। -
সাপেক্ষ যোজক : একে অপরের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: যত পড়ছি, ততই নতুন করে জানছি।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মৌলিক বাংলা ধাতু?
Created: 1 month ago
A
পঠ্
B
খাদ্
C
কৃৎ
D
কিন্
'কিন্' একটি মৌলিক বাংলা ধাতু। মৌলিক ধাতু সাধারণত তিন প্রকারে বিভক্ত হয় এবং এগুলোর মধ্যে বাংলা, সংস্কৃত ও বিদেশি ধাতু বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ধাপে ধাপে প্রতিটি ধরণের ধাতুর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
-
মৌলিক ধাতু ৩ প্রকার
ক) বাংলা ধাতু
খ) সংস্কৃত ধাতু
গ) বিদেশি ধাতু -
বাংলা ধাতু
যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত থেকে সরাসরি আসেনি, সেগুলোকে বাংলা ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ: কাদ্, কাট্, নাচ্, আক্, কহ্, কর্, কিন্, গড়্, ধর্, পড়্, রাখ্, শুন্, হাস্, বুঝ্ ইত্যাদি। -
সংস্কৃত মূল ধাতু
যেসব ক্রিয়াপদের মূল সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে, সেগুলো সংস্কৃত মূল ধাতু নামে পরিচিত। এ ধাতুগুলোর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্রিয়া, বিশেষ্য, বাক্রিয়া ও বিশেষণ গঠিত হয়।
উদাহরণ: অঙ্ক, কথ্, কৃৎ, খাদ্, হস্, পঠ্, দৃশ্, বুধ্, স্থা, শ্রু, ধৃ, বন্ধ্, ঘৃষ্, ক্রী ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিম্নলিখিত বাক্যটি পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তর করুন:
সোহেল বলল, "আমি এখানে থাকব"।
Created: 1 month ago
A
সোহেল বলল, "আমি সেখানে থাকব।"
B
সোহেল বলল যে, সে সেখানে থাকবে।
C
সোহেল জানাল যে আমি এখানে থাকব।
D
সোহেল বলল, "সে এখানে থাকবে
সোহেল বলেছে যে, সে সেখানে থাকবে। এটি প্রত্যক্ষ উক্তি থেকে পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তরের একটি উদাহরণ।
-
প্রত্যক্ষ উক্তি: বলল সোহেল, "আমি এখানে থাকব"।
-
পরোক্ষ উক্তি: সোহেল বলল যে, সে সেখানে থাকবে।
উক্তি রূপান্তরের নিয়মসমূহ:
-
পুরুষের পরিবর্তন: "আমি" → "সে" (প্রথম পুরুষ থেকে তৃতীয় পুরুষে রূপান্তর)।
-
স্থানের পরিবর্তন: "এখানে" → "সেখানে" (নিকট স্থান থেকে দূর স্থানে রূপান্তর)।
-
বাক্য গঠন: উদ্ধৃতি চিহ্ন সরিয়ে "যে" সংযোজক ব্যবহার করা।
-
ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তন: "থাকব" → "থাকবে" (পুরুষ অনুযায়ী পরিবর্তন)।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন শব্দে ‘ণ’ এর ব্যবহার অশুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
ব্যাকরণ
B
দুর্ণিবার
C
উষ্ণ
D
উষ্ণ
• ‘ণ’ এর ব্যবহার অশুদ্ধ - দুর্ণিবার।
• সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না।
- এরূপ ক্ষেত্রে ‘ন’ হয়।
- যেমন- ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
- ঋ, র, ষ - এর পরে 'ণ' হয়।
যেমন:
- ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
0
Updated: 2 months ago