"তুমি চেষ্টা করোনি, তাই ব্যর্থ হয়েছ।"- এটি কোন ধরনের বাক্য?
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
মিশ্র
উত্তরের বিবরণ
যৌগিক বাক্য হলো সেই বাক্য, যেখানে দুই বা ততোধিক স্বাধীন বাক্য যোজকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি বাক্যে পরিণত হয়।
যোজক হিসেবে সাধারণত ব্যবহার হয়—
-
এবং, ও, আর, অথবা, বা, কিংবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি।
-
এছাড়া, কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), ড্যাশ (–) ইত্যাদি যোজকের কাজ করতে পারে।
উদাহরণ—
-
রহিম রাতে ভাত খায় আর রহিমা খায় রুটি।
-
তুমি চেষ্টা করোনি, তাই ব্যর্থ হয়েছ।
-
লোকটি ধনী কিন্তু কৃপণ।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'ঘাত' এর বিপরীতার্থক শব্দ -
Created: 1 month ago
A
প্রত্যাঘাত
B
ক্ষত
C
আঘাত
D
অঘাত
‘ঘাত’ এবং ‘প্রত্যাঘাত’ সম্পর্কিত বিশদ বিশ্লেষণ:
ঘাত:
-
অর্থ: চোট, আঘাত, হত্যা, কোপ, ঘা, ক্ষত।
-
ব্যবহার: কোনো ব্যক্তিকে বা বস্তুকে শারীরিক বা মানসিক আঘাত দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: ছুরির আঘাতে তার পিঠে ঘাত লেগেছে।
প্রত্যাঘাত (প্রতিঘাত):
-
অর্থ: আঘাতের বদলে আঘাত, প্রতিরোধমূলক আঘাত, পাল্টা আঘাত।
-
ব্যবহার: প্রতিপক্ষের আক্রমণ বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিকার বা প্রতিঘাত বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: হামলার পর তিনি প্রতিপক্ষকে প্রত্যাঘাত দেন।
সম্পর্ক:
-
বিপরীতার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
ঘাত মানে আঘাত বা ক্ষতি, আর প্রত্যাঘাত মানে সেই আঘাতের প্রতিসম বা পাল্টা প্রতিক্রিয়া
0
Updated: 1 month ago
ফলা কয়টি?
Created: 3 weeks ago
A
৪ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৭ টি
বাংলা ভাষার বর্ণবিন্যাসে ফলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত বা রূপান্তরিত রূপ, যা অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন উচ্চারণ বা শব্দগঠন সৃষ্টি করে। ফলে ফলার ব্যবহার বাংলা লিপিকে আরও সহজ ও গতিময় করে তোলে। ফলার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো—
-
ফলার সংজ্ঞা: ব্যঞ্জনবর্ণ যখন কোনো স্বরবর্ণ বা অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার আকারে পরিবর্তন আনে, তখন ব্যঞ্জনবর্ণের সেই সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলা হয়। এটি মূলত “যুক্তাক্ষর” গঠনে ব্যবহৃত হয়।
-
ফলার সংখ্যা: বাংলা ভাষায় মোট ৬টি ফলা রয়েছে।
-
এই ছয়টি ফলা হলো:
-
য-ফলা
-
ব-ফলা
-
ম-ফলা
-
র-ফলা
-
ল-ফলা
-
ন-ফলা
-
-
ফলার ব্যবহার:
-
ফলাগুলি কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার উচ্চারণে ভিন্নতা আনে।
-
যেমন, “ক্য” (ক + য-ফলা), “দ্ব” (দ + ব-ফলা), “র্ম” (র + ম-ফলা) ইত্যাদি শব্দে ফলার প্রয়োগ দেখা যায়।
-
-
ফলার উদ্দেশ্য:
-
ভাষাকে ধ্বনিগতভাবে সঠিকভাবে প্রকাশ করা।
-
যুক্তাক্ষরের মাধ্যমে শব্দের অর্থ ও ধ্বনি ভেদ স্পষ্ট করা।
-
বাংলা বানানকে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ ও ধ্বনিত উপযোগী করে তোলা।
-
-
ফলার ব্যঞ্জনধর্ম:
-
ফলাগুলি নিজেরা স্বতন্ত্র বর্ণ নয়, বরং কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের নির্ভরশীল বা আশ্রিত রূপ।
-
ফলার অবস্থান সাধারণত যুক্তাক্ষরের নিচে, পাশে বা উপরেও হতে পারে (যেমন, র-ফলা কখনো নিচে, কখনো উপরে আসে)।
-
-
ফলার উৎপত্তি:
-
সংস্কৃত ও প্রাচীন নাগরী লিপি থেকে বাংলা বর্ণমালা বিকাশের সময় যুক্তাক্ষর প্রথার সঙ্গে ফলার ব্যবহারও গঠিত হয়।
-
ভাষার লিখনরীতি সহজ করতে ফলাগুলিকে পৃথক সংক্ষিপ্ত চিহ্ন হিসেবে স্থির করা হয়।
-
-
উদাহরণসহ প্রয়োগ:
-
য-ফলা: ক + য = ক্য, গ + য = গ্য
-
ব-ফলা: ক + ব = ক্ব, দ + ব = দ্ব
-
ম-ফলা: র + ম = র্ম, স + ম = স্ম
-
র-ফলা: প + র = প্র, ক + র = ক্র
-
ল-ফলা: ক + ল = ক্ল, প + ল = প্ল
-
ন-ফলা: দ + ন = দ্ন, প + ন = প্ন
-
সারসংক্ষেপে বলা যায়, ফলা ব্যঞ্জনবর্ণের রূপান্তরিত প্রতিরূপ, যা বাংলা ভাষার শব্দগঠন ও উচ্চারণে স্বতন্ত্র ছন্দ ও সাবলীলতা এনে দেয়। তাই বাংলা বর্ণমালার মোট ৬টি ফলা ভাষার শৈল্পিক সৌন্দর্য এবং ধ্বনিগত বিশুদ্ধতা রক্ষায় অপরিহার্য।
0
Updated: 3 weeks ago
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সমাস
B
সন্ধি
C
প্রত্যয়
D
বাচ্য
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় হলো ধ্বনি। লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে বর্ণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা সম্পর্কিত আলোচনা ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত। এ শাস্ত্রে মূলত বাগ্যন্ত্র, বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, এবং স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহ হলো
-
ধ্বনি
-
বর্ণ
-
ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালি
-
উচ্চারণের স্থান
-
ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ
-
ষ-ত্ব ও ণ-ত্ব বিধান
-
সন্ধি
অন্যদিকে
-
সমাস ও প্রত্যয় হলো রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
-
বাচ্য হলো বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago