কোন বানানটি সঠিক নয়?
A
ঘণ্টা
B
লুণ্ঠন
C
কণ্টক
D
অর্পন
উত্তরের বিবরণ
‘অর্পন’ শব্দটি বানান অনুযায়ী অশুদ্ধ, এর শুদ্ধ বানান হলো অর্পণ।
ণ-ত্ব বিধান অনুযায়ী—
-
ট–বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সবসময় মূর্ধন্য ‘ণ’ যুক্ত হয়।
যেমন—-
ঘণ্টা
-
লুণ্ঠন
-
কাণ্ড
-
কণ্টক
-
পাণ্ডব
-
কণ্ঠ
-
-
ঋ, র, ষ এর পরে যদি স্বরধ্বনি, ষ, য়, ব, হ, ং এবং ‘ক’ বা ‘প’ বর্গীয় ধ্বনি থাকে, তবে পরবর্তীতে ‘ন’ হয়ে যায় ‘ণ’।
যেমন—-
কৃপণ
-
হরিণ
-
অর্পণ
-
লক্ষণ
-
(উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
'ইলশেগুড়িঁ' বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 4 days ago
A
অত্যন্ত ছোট মাছ
B
গুড়িগুড়ি বৃষ্টি
C
গুড়ি গুড়ি কচুরিপানা
D
ইলিশের মৌসুম
• 'ইলশেগুড়িঁ' বাগ্ধারার অর্থ গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এক কথায় প্রকাশ:
- কচুপোড়া - অখাদ্য বস্তু।
- একবনের শিয়াল - একদলের লোক।
- একডাকের পথ - অনতিদূর, খুব অল্প পথ।
- ঊনপঞ্চাশ বায়ু - পাগলামি।
- উদীচী ঊষা - উত্তর বা সুমেরুজ্যোতি।
- ইলশেগুড়ি - গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।
- অন্নজল ওঠা - আয়ু শেষ হওয়া।
- অগাধ জল/সমুদ্র - চরম বিপদ।

0
Updated: 4 days ago
'বাড়ি' শব্দের 'ড়' কোন ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনি?
Created: 2 weeks ago
A
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি
B
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি
C
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি
D
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি
তাড়িত, দন্তমূলীয়, দন্ত্য এবং তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য উচ্চারণ পদ্ধতির ওপর দৃষ্টি দেওয়া হয়।
-
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের সামনের অংশ মূর্ধায় বা দন্তমূলের একটু উপরে একবার ছোঁয়ায় হয়।-
উদাহরণ: বাড়ি, মূঢ় – ড়, ঢ়
-
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: নানা, রাত, লাল, সালাম – ন, র, ল, স
-
-
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের সাথে লাগিয়ে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: তাল, থালা, দাদা, ধান – ত, থ, দ, ধ
-
-
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: চাচা, ছাগল, জাল, ঝড়, শসা – চ, ছ, জ, ঝ, শ
-
এই ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোর পার্থক্য মূলত উচ্চারণের স্থল এবং জিভের অবস্থানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে 'স্মরণ' শব্দের ক্ষেত্রে কোনটি ঘটে?
Created: 1 week ago
A
স-এর উচ্চারণ শ হয়ে যায়
B
ণ-এর উচ্চারণ ন হয়ে যায়
C
ম-ফলার উচ্চারণ ম হয়ে যায়
D
শুরুতে নাসিক্য উচ্চারণ হয় না
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘স্মরণ’ (বিশেষ্য পদ) শব্দের প্রমিত উচ্চারণ হলো শঁরোন্।
-
পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে পরিবর্তন: ঢাকাইয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী ইত্যাদি অঞ্চলে শব্দের শুরুতে “স্ম” ধ্বনিতে ‘স’ প্রায়শই ‘শ’ ধ্বনিতে রূপ নেয়, তাই ‘স্মরণ’ উচ্চারণ হয় শঁরোন।
-
অর্থাৎ, পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে স-এর উচ্চারণ শ হয়ে যায়।
অন্যান্য অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:
-
খ) ণ-এর উচ্চারণ ন হয়ে যায়: লিখিত রূপে ‘ণ’ থাকলেও উচ্চারণে এটি দন্ত্য ‘ন’ এর সঙ্গে অভিন্ন। ‘স্মরণ’ শব্দে ণ-এর উচ্চারণে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
-
গ) ম-ফলার উচ্চারণ ম হয়ে যায়: ‘স্মরণ’ শব্দে ম-ফলার কোনো প্রভাব নেই; এটি একটি স্বাধীন ব্যঞ্জনবর্ণ।
-
ঘ) শুরুতে নাসিক্য উচ্চারণ হয় না: শব্দের শুরুতে নাসিক্য ধ্বনি (ঁ) থাকে, এবং পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে এটি সাধারণত বজায় থাকে।

0
Updated: 1 week ago