কোন বানানটি সঠিক নয়?
A
ঘণ্টা
B
লুণ্ঠন
C
কণ্টক
D
অর্পন
উত্তরের বিবরণ
‘অর্পন’ শব্দটি বানান অনুযায়ী অশুদ্ধ, এর শুদ্ধ বানান হলো অর্পণ।
ণ-ত্ব বিধান অনুযায়ী—
-
ট–বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সবসময় মূর্ধন্য ‘ণ’ যুক্ত হয়।
যেমন—-
ঘণ্টা
-
লুণ্ঠন
-
কাণ্ড
-
কণ্টক
-
পাণ্ডব
-
কণ্ঠ
-
-
ঋ, র, ষ এর পরে যদি স্বরধ্বনি, ষ, য়, ব, হ, ং এবং ‘ক’ বা ‘প’ বর্গীয় ধ্বনি থাকে, তবে পরবর্তীতে ‘ন’ হয়ে যায় ‘ণ’।
যেমন—-
কৃপণ
-
হরিণ
-
অর্পণ
-
লক্ষণ
-
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'অনুরাগ' এর বিপরীতার্থক শব্দ -
Created: 1 month ago
A
আসক্তি
B
বিতৃষ্ণা
C
স্নেহ
D
প্রতিরাগ
‘অনুরাগ’ এবং ‘বিতৃষ্ণা’ সম্পর্কিত বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
অনুরাগ:
-
অর্থ: প্রেম, প্রীতি, স্নেহ, আদর, সোহাগ, যত্ন, প্রবৃত্তি, আসক্তি, অভিমান।
-
ব্যবহার: মানুষের মধ্যে সখ্য বা ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত ইতিবাচক মানসিক অবস্থা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: তার প্রতি আমার অনুরাগ সীমাহীন।
বিতৃষ্ণা (বিরাগ):
-
অর্থ: অনুরাগের অভাব, নিস্পৃহতা, উদাসীনতা।
-
ব্যবহার: আগ্রহহীনতা, অমনোযোগ বা বেজায় বিরক্তির অনুভূতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত নেতিবাচক বা নিরপেক্ষ মানসিক অবস্থা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: বহু পরিশ্রমের পরও সে শিক্ষার প্রতি বিতৃষ্ণা প্রকাশ করল।
সম্পর্ক:
-
বিপরীতার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অনুরাগ এবং বিতৃষ্ণা একে অপরের বিপরীত অনুভূতি বোঝায়।
0
Updated: 1 month ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 2 months ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
‘গায়ে হলুদ’ কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
বহুব্রীহি সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
দ্বন্দ্ব সমাস
'গায়ে হলুদ' বহুব্রাহী সমাসের উদাহরণ। যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন: বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার = বহুব্রীহি। এখানের 'বহু' কিংবা 'ধান' কোনোটিরই অর্থের প্রাধান্য নেই, যার বহু ধান আছে এমন লোককে বোঝাচ্ছে। বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 2 months ago