‘আবেগ’ কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?
A
বিশেষণ
B
ক্রিয়াবিশেষণ
C
পদ
D
অব্যয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় ‘আবেগ’ পদ-এর অন্তর্ভুক্ত।
পদ হলো বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতু। অন্যভাবে বলা যায়, শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন তার নাম হয় পদ।
বাক্যের অন্তর্গত এসব পদকে মোট আটটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
-
বিশেষ্য
-
সর্বনাম
-
বিশেষণ
-
ক্রিয়া
-
ক্রিয়াবিশেষণ
-
অনুসর্গ
-
যোজক
-
আবেগ
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ছায়া অবলম্বনে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
রাজসিংহ
B
আনন্দমঠ
C
দুর্গেশনন্দিনী
D
বিষবৃক্ষ
‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস
-
লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
প্রকাশ: ১৮৮২
-
পটভূমি: ১৮৬৭ সালের সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ছায়া
-
প্রতিপাদ্য বিষয়: স্বদেশভক্তি, স্বজাতি ও স্বধর্মপ্রীতি
-
স্বদেশ = বঙ্গভূমি
-
ধর্ম = হিন্দু ধর্ম
-
-
ধরণ: কল্পিত কিন্তু বাস্তবানুগ উপন্যাস; চরিত্র আদর্শায়িত
-
মূল বিষয়বস্তু: সাধারণ গ্রামীণ জীবন, প্রেম ও আদর্শের দ্বন্দ্ব
-
গান: বন্দে মাতরম্ – ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের উদ্দীপক
-
ইংরেজি অনুবাদ:
-
The Abbey of Bliss (নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, ১৯০৭)
-
Ananda Math (শ্রী অরবিন্দ, ১৯১০)
-
-
প্রভাব: ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রিয় স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
রাজসিংহ
-
পটভূমি: রাজস্থানের চঞ্চলকুমারীর মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের বিয়ে সংক্রান্ত বিরোধ
-
মূল বিষয়: রানা রাজসিংহের জয় ও চঞ্চলকুমারী অধিগ্রহণ
-
-
দুর্গেশনন্দিনী
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস
-
পটভূমি: ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে উড়িষ্যার অধিকার নিয়ে মোঘল ও পাঠানের সংঘর্ষ
-
ধরণ: ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়
-
-
বিষবৃক্ষ (১৮৭৩)
-
সামাজিক উপন্যাস
-
বিষয়বস্তু: বিধবা বিবাহ, পুরুষের একাধিক বিবাহ, রূপতৃষ্ণা, নৈতিকতার দ্বন্দ্ব, নারীর আত্মসম্মান ও অধিকারবোধ
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
Created: 2 weeks ago
A
চিলেকোঠার সিপাই
B
আগুনের পরশমণি
C
একাত্তরের দিনগুলি
D
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘আগুনের পরশমণি’ অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এর রচয়িতা হুমায়ূন আহমেদ, যিনি ১৯৯৪ সালে উপন্যাসটি প্রকাশ করেন এবং পরে একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সেটিকে আরও জনপ্রিয় করে তোলেন। এই উপন্যাসে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, মানুষের ভয়, ভালোবাসা ও দেশপ্রেমকে গভীর আবেগে ফুটিয়ে তুলেছেন।
উপন্যাসটির মূল প্রেক্ষাপট একটি ছোট গ্রামের পরিবারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। গ্রামটির মানুষের জীবনে যুদ্ধ কিভাবে প্রভাব ফেলে, তারা কিভাবে স্বাধীনতার স্বপ্নে জেগে ওঠে—সেই কাহিনিই এখানে বাস্তবভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
-
‘আগুনের পরশমণি’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্ররা সাধারণ মানুষ হলেও তাদের মধ্যে রয়েছে গভীর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মানসিকতা।
-
গল্পে দেখা যায়—একজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা গ্রামের এক পরিবারের আশ্রয় নেয়, আর এই পরিবারের জীবনে শুরু হয় নতুন এক সংগ্রাম।
-
হুমায়ূন আহমেদ যুদ্ধের নির্মমতা, মানুষের ভয়, আশা ও ত্যাগকে খুব সূক্ষ্মভাবে প্রকাশ করেছেন।
-
উপন্যাসটির ভাষা সহজ ও সাবলীল, যা পাঠককে সরাসরি চরিত্রগুলোর অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত করে।
-
এতে ধর্ম, সংস্কার ও মানবতার মধ্যে সংঘাতের পাশাপাশি স্বাধীনতার অনুপ্রেরণাও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
-
লেখক শুধু যুদ্ধের বীরত্ব নয়, বরং যুদ্ধের ভেতর লুকিয়ে থাকা মানবিকতা, প্রেম ও কষ্টকেও তুলে ধরেছেন।
-
এই উপন্যাসের মাধ্যমে বোঝা যায়, মুক্তিযুদ্ধ কেবল রণক্ষেত্রের লড়াই নয়; এটি ছিল হৃদয়ের যুদ্ধ—ন্যায়, স্বাধীনতা ও অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম।
-
পরবর্তীতে লেখক নিজেই উপন্যাসটির ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম সফল ও দর্শকপ্রিয় কাজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
চলচ্চিত্রে মুনমুন, আবুল হায়াত, ডলি জহুরসহ আরও অনেক অভিনয়শিল্পীর বাস্তবধর্মী অভিনয় গল্পকে আরও জীবন্ত করে তোলে।
-
‘আগুনের পরশমণি’ আজও পাঠকদের কাছে শুধু একটি সাহিত্যকর্ম নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগিয়ে রাখার একটি প্রতীকী রচনা হিসেবে বিবেচিত।
সার্বিকভাবে বলা যায়, ‘আগুনের পরশমণি’ হলো এমন একটি উপন্যাস যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে সাহিত্যরূপে অমর করে রেখেছে। এটি শুধু একটি যুদ্ধের গল্প নয়, বরং মানুষের ভালোবাসা, ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি।
0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি ভাবসম্প্রসারণে হুবহু ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়?
Created: 2 months ago
A
মূলছত্র
B
অলঙ্কার
C
উপমা
D
তথ্য
ভাবসম্প্রসারণ লেখার সময় কোনোরকম শিরোনাম দেওয়ার দরকার পড়ে না। লেখকের বা কবির নামও উলেখ করতে হয় না। কিংবা ব্যাখ্যার মতো ‘কবি বলেছেন’ ধরনের বাক্যাংশ ব্যবহার করতে হয় না। ভাব - সম্প্রসারণে মূল ছত্র হুবুহু ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয় । ভাবসম্প্রসারণের জন্য দেওয়া কথাটিতে সাধারণত প্রকাশ্য বক্তব্যের আড়ালে গভীর ভাবসত্য লুকিয়ে থাকে।
যেমন: ‘সবুরে মেওয়া ফলে’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ ‘গাছের ফল পেতে হলে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এর গভীর ভাবসত্য হলো জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে চাই ধৈর্য, প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম। ভাবসম্প্রসারণ করার সময় প্রথমে প্রকাশ্য বা আক্ষরিক অর্থের দিকটি বলে পরে অন্তর্নিহিত ভাবটি বর্ণনা করতে হয়।
0
Updated: 2 months ago