অশুদ্ধ বানান কোনটি?
A
অভিভূত
B
উত্তরণ
C
বিভীষিকা
D
ভ্রাতূষ্পুত্র
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় শুদ্ধ বানান হলো ভ্রাতুষ্পুত্র। এটি একটি বিশেষ্য পদ।
শব্দের অর্থ:
-
ভ্রাতুষ্পুত্র মানে হলো ভাইয়ের ছেলে।
অন্যদিকে, অভিভূত, উত্তরণ এবং বিভীষিকা শব্দগুলোর বানানও শুদ্ধ।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'অগ্নি' শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পাবক
B
অনিল
C
বহ্নি
D
বৈশ্বানর
'অগ্নি' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো আগুন, পাবক, বৈশ্বানর, সর্বশুচি, হুতাশন, বহ্নি, অনল প্রভৃতি। তবে অনিল এর অর্থ বাতাস, তাই এটি 'অগ্নি'র সমার্থক নয়।
অন্যদিকে, 'বাতাস' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো বায়ু, হাওয়া, পবন, সমীর, সমীরণ, অনিল, মরুৎ, প্রভঞ্জন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 3 months ago
A
শিরোচ্ছেদ
B
শিরচ্ছেদ
C
শিরশ্ছেদ
D
শিরোঃচ্ছেদ
শুদ্ধ বানান – শিরশ্ছেদ (বিশেষ্য): সংস্কৃত শব্দ – প্রকৃতি প্রত্যয় = শিরস্+ছেদ। অর্থ: মাথা কেটে ছিন্নকরণ।
0
Updated: 3 months ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 1 week ago
A
গীতাঞ্জালী
B
গীতাঞ্জলি
C
গিতাঞ্জলী
D
গিতাঞ্জলি
বাংলা বানানে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় এক অক্ষরের পার্থক্যেই শব্দের অর্থ ও শুদ্ধতা বদলে যায়। ‘গীতাঞ্জলি’ শব্দটি নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম। এখানে বানানের সামান্য ভুলও শব্দের মর্যাদা নষ্ট করে ফেলে, তাই এর সঠিক রূপ জানা প্রয়োজন।
‘গীতাঞ্জলি’ শব্দটির শুদ্ধ বানান হচ্ছে – গীতাঞ্জলি।
-
‘গীতাঞ্জলি’ শব্দটি এসেছে দুটি শব্দের সমন্বয়ে— ‘গীত’ এবং ‘অঞ্জলি’। ‘গীত’ মানে গান বা সঙ্গীত, আর ‘অঞ্জলি’ মানে উৎসর্গ বা নিবেদন। অর্থাৎ গীতাঞ্জলি মানে ‘গানের অঞ্জলি’ বা ‘গানসমূহের নিবেদন’।
-
শব্দের উচ্চারণে দীর্ঘ ‘ঈ’ ধ্বনি আছে, তাই প্রথম অংশে ‘গীত’ লেখা হবে, ‘গিত’ নয়। বাংলা বানানে ধ্বনিগত নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনো শব্দে দীর্ঘ ‘ঈ’ উচ্চারণ হয়, তখন ‘ই’-এর পরিবর্তে ‘ঈ’ ব্যবহার করা হয়।
-
দ্বিতীয় অংশে ‘অঞ্জলি’ শব্দের সঠিক রূপ ‘অঞ্জলি’, এখানে ‘ঞ’ যুক্ত হয় কারণ ‘জ’ এর আগে ‘ঞ’ বসলে উচ্চারণ মসৃণ হয় এবং বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞানেও এটি স্বীকৃত রূপ।
-
বিকল্প ‘গীতাঞ্জালী’ তে শেষের দিকে অতিরিক্ত ‘আ’ যুক্ত হওয়ায় এটি ভুল, কারণ ‘অঞ্জলি’ শব্দে দীর্ঘ ‘আ’ নেই।
-
আবার ‘গিতাঞ্জলী’ ও ‘গিতাঞ্জলি’ – এই দুই রূপেও ‘ঈ’ এর পরিবর্তে ‘ই’ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ধ্বনিগতভাবে ও বানান অনুযায়ী ভুল।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’ (১৯১০) বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যা ১৯১৩ সালে তাঁকে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়। এই বইয়ে কবি ঈশ্বর, মানুষ ও জীবনের প্রতি আত্মসমর্পণের গভীর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তাই এই শব্দটি শুধু একটি সাহিত্যিক নাম নয়, বরং বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।
বাংলা বানান রীতিতে শুদ্ধতা বজায় রাখতে স্বরবর্ণ, যুক্তবর্ণ ও ধ্বনি-রীতি মেনে চলা অপরিহার্য। যেমন—
-
‘ঈ’ ও ‘ই’-এর পার্থক্য উচ্চারণে স্পষ্ট রাখতে হবে।
-
যেসব শব্দ সংস্কৃত বা তৎসম উৎস থেকে এসেছে, সেগুলোর মূল রূপ পরিবর্তন করা উচিত নয়।
-
শব্দের ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক গুরুত্ব থাকলে তার মূল বানানেই সঠিক রূপ গ্রহণ করতে হবে।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে খ) গীতাঞ্জলি-ই একমাত্র শুদ্ধ বানান, কারণ এটি মূল শব্দের ধ্বনি, রূপ ও অর্থ—সব দিক থেকেই সঠিক ও প্রমিত।
0
Updated: 1 week ago