বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে কী বলা হয়?
A
কারক
B
পদ
C
অক্ষর
D
প্রত্যয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার ব্যাকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে বোঝা জরুরি। নিচে সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
-
পদ হলো বিভক্তিযুক্ত শব্দ। অর্থাৎ, কোনো শব্দে বিভক্তি যুক্ত হলেই তা পদ হিসেবে গণ্য হয়।
-
বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দেই বিভক্তি থাকে।
-
যেসব শব্দে বিভক্তি প্রকাশ পায় না, সেখানে শূন্য বিভক্তি বিদ্যমান থাকে। তাই বাক্যের প্রতিটি শব্দই পদ।
-
পদ প্রধানত দুই ধরনের হয়— সব্যয় পদ ও অব্যয় পদ।
-
কারক হলো ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক।
-
কারক সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যোগ হয়।
-
অক্ষর (ইংরেজি নাম: syllable) হলো অল্প প্রয়াসে একবারে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। তাই একে শব্দাংশও বলা হয়।
-
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
'তাতে সমাজজীবন চলে না।' - এ বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
তাতে সমাজজীবন চলে।
B
তাতে না সমাজজীবন চলে।
C
তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
D
তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে।
বাক্য রূপান্তর হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে মূল ভাব বা অর্থ অপরিবর্তিত রেখে একটি বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে পরিবর্তন করা হয়। নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর করার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, যা মূল অর্থ বজায় রাখে।
-
মূল অর্থ অপরিবর্তিত রাখা: বাক্য পরিবর্তন করার পরও বাক্যের মৌলিক অর্থ অক্ষুণ্ণ থাকতে হবে।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: সেটা কখনোই সফল হতে পারে না।
অস্তিবাচক: সেটা সর্বদাই অসফল হয়। -
নেংর্থক পদ সরানো ও হ্যা-বাচক ভাব তৈরি করা: 'না', 'নয়', 'নি', 'নেই', 'নহে' ইত্যাদি নেতিবাচক পদগুলো তুলে দিয়ে বাক্যকে হ্যা-বাচক অর্থে রূপান্তর করা হয়।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: কোথাও শান্তি ছিল না
অস্তিবাচক: সর্বত্র অশান্তি ছিলো। -
বাক্যাংশ অনুযায়ী নেতিবাচক শব্দ প্রতিস্থাপন: প্রয়োজনমতো নেতিবাচক শব্দের জায়গায় অস্তিবাচক শব্দ বসিয়ে বাক্যকে সম্পূর্ণ অস্তিবাচক করা হয়।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: শহিদের মৃত্যু নেই।
অস্তিবাচক: শহিদেরা অমর।নেতিবাচক: তাতে সমাজজীবন চলে না।
অস্তিবাচক: তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।

0
Updated: 2 weeks ago
'দনুবানু' চরিত্রটি কার সৃষ্টি?
Created: 1 month ago
A
প্যারীচাঁদ মিত্র
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
কালীপ্রসন্ন সিংহ
হুতোম প্যাঁচার নকশা
-
‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের গোড়াপত্তনকালীন একটি গদ্য উপাখ্যান।
-
এটি ‘হুতোম প্যাঁচা’ ছদ্মনামে লেখা হয়েছে।
-
রচনাটি মূলত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক সামাজিক নকশা জাতীয়।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: দনুবানু।
কালীপ্রসন্ন সিংহ
-
বাংলা সাহিত্যে ‘হুতোমী বাংলা’ রীতির প্রবর্তক।
-
‘হুতোম প্যাঁচা’ ছদ্মনামে তিনি পরিচিত।
-
জন্মগ্রহণ করেন কলকাতার জোড়াসাকোয়া, ১৮৪০ সালে।
-
‘হুতোমী বাংলা’ ভাষা রীতি অনুসরণ করে সাহিত্য রচনা করেছেন।
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
’অঘাচণ্ডী’ শব্দের ’অঘা’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
নিকৃষ্ট
B
অশুভ
C
বোকা
D
পাপ
বাংলা ভাষায় ’অঘা’ উপসর্গ সাধারণত ’বোকা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ: অঘারাম, অঘাচণ্ডী।
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গের সংখ্যা: মোট ২১টি
-
উদাহরণসমূহ:
→ অ, অনা, অজ, অঘা, আ, আড়, আন, আর, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
উৎস:

0
Updated: 1 day ago