তারামন বিবি কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
A
১ নং
B
২ নং
C
৮ নং
D
১১ নং
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বাঙালির ইতিহাসের এই মুক্তিসংগ্রামে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং অসামান্য কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭২ সালে মোট ৬৭৬ বীরযোদ্ধাকে বিভিন্ন খেতাবে ভূষিত করা হয়।
-
তাদের মধ্যে দুজন নারী ছিলেন, ডা. সেতারা বেগম এবং তারামন বিবি, যাদের ‘বীরপ্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
-
তারামন বিবি অংশগ্রহণ করেছিলেন ১১ নং সেক্টরে, যেখানে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন আবু তাহের।
-
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পরে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে।
-
১৯৯৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তার হাতে বীরপ্রতীক সম্মাননা প্রদান করেন।
-
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তী নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি।

0
Updated: 21 hours ago
পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
পাকিস্তান
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র
-
পাকিস্তান সৃষ্টির দীর্ঘ ৯ বছর পর শাসনতন্ত্র বিশেষজ্ঞগণ প্রথম শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেন।
-
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয়।
-
এটি ছিল পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র।
-
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদ পাকিস্তানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ধরনের শাসনতন্ত্র গ্রহণ করে।
-
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ গভর্নর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা শাসনতন্ত্র বিলে সম্মতি দেন।
-
মোট ১০৫ পৃষ্ঠার এ শাসনতন্ত্রে একটি প্রস্তাবনা, ১৩টি অংশ, ২৩৪টি বিধি এবং ৬টি তালিকা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ছাড়াও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার উল্লেখ ছিল।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন সময়ে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
Created: 22 hours ago
A
এপ্রিল, ১৯৭১
B
মে, ১৯৭১
C
জুন, ১৯৭১
D
জুলাই, ১৯৭১
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সেক্টর ব্যবস্থা গঠন করা হয়, যা পরিকল্পনা, নেতৃত্ব ও কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে সমন্বিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল। কলকাতাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তরে ১১–১৭ জুলাই পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার এবং উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনে বাংলাদেশ বাহিনীর নেতৃত্ব, সংগঠন, প্রশিক্ষণ, অভিযান ও প্রশাসন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়।
-
চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যার মধ্যে প্রধানতম ছিল মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা এবং প্রতিটি সেক্টরের জন্য একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা।
-
প্রতিটি সেক্টরকে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়।
-
১১টি সেক্টরে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৬ জন সেক্টর কমান্ডার দায়িত্ব পালন করেছেন।
সেক্টর কমান্ডারদের তালিকা:
-
১নং সেক্টর: মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম
-
২নং সেক্টর: মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এটিএম হায়দার
-
৩নং সেক্টর: মেজর কে এম শফিউল্লাহ, ক্যাপ্টেন এ এন এম নুরুজ্জামান
-
৪নং সেক্টর: মেজর চিত্তরাজন দত্ত, ক্যাপ্টেন এ রব
-
৫নং সেক্টর: মেজর মীর শওকত আলী
-
৬নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার
-
৭নং সেক্টর: মেজর নজরুল হক, সুবেদার মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান
-
৮নং সেক্টর: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মঞ্জুর
-
৯নং সেক্টর: মেজর এম জলিল, মেজর এম এ মঞ্জুর, মেজর জয়নাল আবেদীন
-
১১নং সেক্টর: মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর আবু তাহের, উইং কমান্ডার এম হামিদুল্লাহ খান

0
Updated: 22 hours ago
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর রফিকুল ইসলাম কোন সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৫নং সেক্টর
D
৭নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধে সেক্টরসমূহ (১–১১)
১নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা ও নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশ
-
হেডকোয়ার্টার: হরিনাতে
-
সেক্টর প্রধান: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম
-
সৈন্যবাহিনী: প্রায় ১০,০০০ মুক্তিযোদ্ধা (২,০০০ নিয়মিত + ৮,০০০ গণবাহিনী)
-
গেরিলা গ্রুপ: ১৩৭টি
২নং সেক্টর
-
অঞ্চল: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নোয়াখালির কিছু অংশ
-
হেডকোয়ার্টার: আগরতলার মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার
-
বাহিনী: ৪- ইস্টবেঙ্গল, কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর
৩নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চূড়ামনকাঠি থেকে সিলেট, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান
৪নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে কানাইঘাট থানা পর্যন্ত
-
বাহিনী: সিলেটের ইপিআর + ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব
-
হেডকোয়ার্টার: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে মাসিমপুর (আসাম)
৫নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল)
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
-
হেডকোয়ার্টার: বাঁশতলা
৬নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার
-
বাহিনী: রংপুর ও দিনাজপুরের ইপিআর
৭নং সেক্টর
-
অঞ্চল: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নাজমুল হক, পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান
-
বাহিনী: ইপিআর + ক্যাপ্টেন গিয়াস ও রশিদের নেতৃত্বে প্রাথমিক অভিযান
৮নং সেক্টর
-
অঞ্চল: এপ্রিল–কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, পটুয়াখালী; মে শেষে সঙ্কুচিত হয়ে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুরের উত্তরাংশ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর
৯নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ
-
হেডকোয়ার্টার: বশিরহাটের নিকটবর্তী টাকি
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম.এ জলিল, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন
১০নং সেক্টর
-
বাহিনী: নৌ-কমান্ডো বাহিনী
-
নিয়মিত কমান্ডার: নেই
-
উদ্যোক্তা: ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি নৌ-কর্মকর্তা
১১নং সেক্টর
-
অঞ্চল: টাঙ্গাইল জেলা ও কিশোরগঞ্জ ব্যতীত ময়মনসিংহ জেলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম. আবু তাহের; আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণ
-
হেডকোয়ার্টার: মহেন্দ্রগঞ্জ
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago