মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে ভেটো দেয় কোন দেশ?
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
যুক্তরাজ্য
C
সোভিয়েত ইউনিয়ন
D
চীন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) ও তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো।
-
পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক সত্তরের নির্বাচনের পর গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে আহ্বান জানান।
-
তিনি ইয়াহিয়াকে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন।
-
সোভিয়েত পত্রপত্রিকা ও প্রচার মাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি ও পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের তথ্য প্রচার করে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলায় সহায়তা করে।
-
জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘ভেটো’ প্রদান করে বাতিল করে।
-
সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে কিউবা, যুগোস্লাভিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, পূর্ব জার্মানি সহ অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থন জানায়।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় কয়টি ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৬টি
D
১১টি
মুজিবনগর সরকার পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করে, যেখানে সামরিক ও বেসামরিক সকল জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মুক্তিবাহিনী দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী, যাকে গণবাহিনী নামে পরিচিত করা হয়।
-
গণবাহিনীর সদস্যরা ছিলেন ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মী, যারা প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন।
-
গণবাহিনীর মূল কাজ ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শত্রুর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করা।
-
নিয়মিত বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা, যারা প্রথাগত যুদ্ধে নিয়োজিত থাকতেন।
-
১৪ এপ্রিল ১৯৭১ কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়।
-
বাংলাদেশ বাহিনীর হেডকোয়ার্টার কোলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে স্থাপিত হয়।
মে ও জুন মাসে মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে বিভক্ত করা হয়:
-
‘কে’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর খালেদ মোশাররফ
-
‘এস’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
-
‘জেড’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে খেতাব প্রাপ্ত বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড কোন দেশে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন?
Created: 1 month ago
A
পোল্যান্ড
B
জার্মানি
C
নেদারল্যান্ডস
D
অস্ট্রেলিয়া
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন এবং একমাত্র বিদেশি নাগরিক হিসেবে বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। তাঁর অবদান দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে।
-
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও জন্ম নেদারল্যান্ডসে।
-
১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বাটা সু কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
-
ওডারল্যান্ড ২০০১ সালের ১৮ মে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান।
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর "এস ফোর্স" এর দায়িত্বে কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
কর্নেল জিয়াউর রহমান
B
কর্নেল খালেদ মোশাররফ
C
কর্নেল কে. এম সফিউল্লাহ
D
উপরের কেউ নন
এস ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ।
বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী:
-
যে জনযুদ্ধ এনেছে বাংলাদেশের পতাকা, সেই জনযুদ্ধের দাবিদার এদেশের সাত কোটি বাঙালি।
-
এই সশস্ত্র যুদ্ধ একটি নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
-
পরিকল্পিত এই যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি যুদ্ধঅঞ্চলে বিভক্ত করেন।
-
এই ৪টি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন:
ক) চট্টগ্রাম অঞ্চল: মেজর জিয়াউর রহমান
খ) কুমিল্লা অঞ্চল: মেজর খালেদ মোশাররফ
গ) সিলেট অঞ্চল: মেজর কে. এম. সফিউল্লাহ
ঘ) দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
উল্লেখ্য:
-
পরবর্তীতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে বিভক্ত করে দায়িত্ব দেওয়া হয়:
-
রাজশাহী অঞ্চলে: মেজর নাজমুল হক
-
দিনাজপুর অঞ্চলে: মেজর নওয়াজেস উদ্দিন
-
খুলনা অঞ্চলে: মেজর এম.এ জলিল
-
-
৭ই জুলাই ১৯৭১, যুদ্ধের কৌশলগত কারণে সরকার নিয়মিত পদাতিক ব্রিগেড গঠনের পরিকল্পনায় ‘জেড ফোর্স’ গঠন করেন; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল জিয়াউর রহমান
-
সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ
-
১৪ই অক্টোবর ‘কে ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল খালেদ মোশাররফ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago