মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে ভেটো দেয় কোন দেশ?
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
যুক্তরাজ্য
C
সোভিয়েত ইউনিয়ন
D
চীন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) ও তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো।
-
পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক সত্তরের নির্বাচনের পর গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে আহ্বান জানান।
-
তিনি ইয়াহিয়াকে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন।
-
সোভিয়েত পত্রপত্রিকা ও প্রচার মাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি ও পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের তথ্য প্রচার করে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলায় সহায়তা করে।
-
জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘ভেটো’ প্রদান করে বাতিল করে।
-
সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে কিউবা, যুগোস্লাভিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, পূর্ব জার্মানি সহ অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থন জানায়।

0
Updated: 21 hours ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে খেতাব প্রাপ্ত বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড কোন দেশে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন?
Created: 6 days ago
A
পোল্যান্ড
B
জার্মানি
C
নেদারল্যান্ডস
D
অস্ট্রেলিয়া
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন এবং একমাত্র বিদেশি নাগরিক হিসেবে বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। তাঁর অবদান দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে।
-
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও জন্ম নেদারল্যান্ডসে।
-
১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বাটা সু কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
-
ওডারল্যান্ড ২০০১ সালের ১৮ মে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান।

0
Updated: 6 days ago
পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন কে?
Created: 6 days ago
A
লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী
B
মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
C
মেজর জেনারেল জ্যাকব
D
মেজর জেনারেল আবু ইউসুফ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এদিন পাকিস্তান বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হয়।
-
লে. জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (১৯১৫-২০০৪) মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন।
-
তিনি ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ কম্যান্ডের নিকট পরাজয় স্বীকার করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন।
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা ১ মিনিটে রমনা রেসকোর্সে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যৌথ কম্যান্ডের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং পাকিস্তান বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন।

0
Updated: 6 days ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় 'আফসার ব্যাটালিয়ন' কোন অঞ্চলে যুদ্ধ করে?
Created: 6 days ago
A
পাবনা
B
রাজশাহী
C
রংপুর
D
ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠা সংগঠিত ও অনিয়মিত মুক্তিবাহিনীর দল ছিল। এসব বাহিনী নিজ নিজ এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ নেয়।
-
ময়মনসিংহের দক্ষিণাঞ্চলে মেজর আফসারউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অনিয়মিত আফসার বাহিনী গঠিত হয়।
-
এ বাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্র ছিল দক্ষিণ ময়মনসিংহের ভালুকা, ত্রিশাল, ফুলবাড়ীয়া ও গফরগাঁও, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল ও সখিপুর এবং বর্তমান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর থানার বিস্তীর্ণ এলাকা।
-
অন্যান্য আঞ্চলিক বাহিনী ছিল:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
-
-
ঢাকায় ছিল একটি বিশেষ গেরিলা দল, যা ক্র্যাক প্লাটুন নামে পরিচিত।
-
এ গেরিলা দল ঢাকা শহরের বড় বড় স্থাপনা যেমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

0
Updated: 6 days ago