মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ কোথায় সংঘটিত হয়েছিল?
A
ঢাকা
B
গাজীপুর
C
চট্টগ্রাম
D
রাজশাহী
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে, যখন স্থানীয় জনগণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।
-
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরে পৌঁছে। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব।
-
রেজিমেন্টের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করা।
-
খবরটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা জয়দেবপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
-
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর সশস্ত্র গুলিবর্ষণ করলে অনেকেই শহীদ হন।
-
এ ঘটনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের ইতিহাস গড়ে ওঠে।
0
Updated: 1 month ago
অপারেশন জ্যাকপট কী ধরনের অভিযান ছিল?
Created: 2 months ago
A
স্থল
B
বিমান
C
নৌ
D
কোনটি নয়
-
অপারেশন জ্যাকপট
-
অপারেশন জ্যাকপট ছিল একটি নৌ-কমান্ডো পরিচালিত নৌ-অভিযান, যেখানে জলপথে পাকিস্তানি বাহিনীকে আঘাত করা হয়।
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি নৌ-কমান্ডোরা বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে অল্প সময়ে যুদ্ধের গতি সম্পর্কে বিশ্বকে ধারণা দিতে সক্ষম হয়।
-
প্রথম অভিযান: ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট নৌ-কমান্ডো বাহিনী একযোগে মংলা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর আক্রমণ করে।
-
এ অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর ২৬টি পণ্য ও সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ এবং গানবোট ডুবিয়ে দেয়া হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাঞ্চলকে যে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়, তার মধ্যে ১০নং সেক্টরের অধীনে ছিল নৌ-কমান্ডো।
-
মূলত এই সেক্টরটি সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, নদী ও সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশের সমগ্র জলপথ অন্তর্ভুক্ত করত।
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল' কত নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল?
Created: 1 month ago
A
২ নং
B
৪ নং
C
১০ নং
D
১১ নং
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে বিশেষভাবে ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়, যা 'বাংলাদেশ হাসপাতাল' নামে পরিচিত ছিল। এটি মূলত ২ নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল এবং সেখান থেকে ঢাকার গেরিলাযুদ্ধের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হতো।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১টি সেক্টরের প্রতিটি হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে একটি করে মেডিকেল ইউনিট যুক্ত ছিল।
-
২ নম্বর সেক্টর অন্তর্ভুক্ত ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এলাকা, ঢাকা শহর ও ফরিদপুর জেলার পূর্বাংশ।
-
২ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ভারতের আগরতলা, প্রথমে মতিনগর, পরে মেলাঘর। নেতৃত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ।
-
মূল চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হত স্বতন্ত্রভাবে সম্পূর্ণ বাংলাদেশি জনবল ও অর্থায়নে, যা মুক্তিযুদ্ধের মেডিকেল যুদ্ধের আইকন হিসেবে পরিচিত।
-
হাসপাতালের নেপথ্যের প্রধান চিকিৎসকরা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এম এ মোবিন, প্রয়াত ডা. আখতার আহমেদ, ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ এবং ডা. সিতারা বেগম।
-
ক্যাপ্টেন আখতার মেজর খালেদের সঙ্গে পরামর্শ করে কুমিল্লা সীমান্তের কাছে আগরতলার শ্রীমন্তপুর এলাকায় হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেন। তিনি কমান্ডিং অফিসার হলেও মূল কার্যক্রম পরিচালনা করতেন ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ।
-
১৯৭১ সালের মে মাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মোবিন ইংল্যান্ড থেকে এসে মেলাঘর হাসপাতালে যোগ দেন। সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দেন ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম।
-
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন পর্যন্ত ডা. আখতার, ডা. নাজিম, ডা. সিতারা এবং পরামর্শক ডা. মোবিন হাসপাতালের কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।
-
২ নম্বর সেক্টরের অধীন সাবসেক্টরগুলোতে ফার্স্ট এইডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধারা থাকতেন, যারা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতেন।
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে 'অপারেশন কিলো ফ্লাইট' পরিচালনা করে কোন বাহিনী?
Created: 2 months ago
A
নৌবাহিনী
B
সেনাবাহিনী
C
বিমান বাহিনী
D
কিলো কমান্ডো
-
অপারেশন কিলো ফ্লাইট:
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম সামরিক আকাশ অভিযান।
-
ভারত সরকারের দেওয়া তিনটি সিভিলিয়ান বিমানকে যুদ্ধবিমানে রূপান্তর করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
-
স্কোয়াড্রন লিডার বদরুল আলমসহ মুক্তিযোদ্ধা পাইলটরা চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে পাকিস্তানি তেলের ডিপোতে সফল হামলা চালান।
-
এই আক্রমণ পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ ও রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে।
-
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান হামলা হিসেবে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক মাইলফলক।
-
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিবিসি নিউজ
0
Updated: 2 months ago