মুক্তিযুদ্ধের সময় কয়টি ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়?
A
৩টি
B
৪টি
C
৬টি
D
১১টি
উত্তরের বিবরণ
মুজিবনগর সরকার পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করে, যেখানে সামরিক ও বেসামরিক সকল জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মুক্তিবাহিনী দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী, যাকে গণবাহিনী নামে পরিচিত করা হয়।
-
গণবাহিনীর সদস্যরা ছিলেন ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মী, যারা প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন।
-
গণবাহিনীর মূল কাজ ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শত্রুর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করা।
-
নিয়মিত বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা, যারা প্রথাগত যুদ্ধে নিয়োজিত থাকতেন।
-
১৪ এপ্রিল ১৯৭১ কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়।
-
বাংলাদেশ বাহিনীর হেডকোয়ার্টার কোলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে স্থাপিত হয়।
মে ও জুন মাসে মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে বিভক্ত করা হয়:
-
‘কে’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর খালেদ মোশাররফ
-
‘এস’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
-
‘জেড’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান

0
Updated: 21 hours ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে উপস্থাপন করতেন কে?
Created: 1 month ago
A
এম আর আখতার মুকুল
B
আবদুল হান্নান
C
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
D
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
এম. আর. আখতার মুকুল:
-
এম. আর. আখতার মুকুল ছিলেন সাংবাদিক, লেখক, সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত সাড়া জাগানো অনুষ্ঠান ‘চরমপত্র’-এর কথক।
-
১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র সম্পাদনার দ্বিতীয় পর্যায়ে কিছুদিন কাজ করেন।
-
পরে ঢাকায় তিনি সাগর পাবলিশার্স নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
-
প্রকাশনা ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
পল্লী এক্সপ্রেস (অনুবাদ, ১৯৬০)
-
রূপালী বাতাস সোনালী আকাশ (১৯৭৩)
-
রূপালী বাতাস (১৯৭২)
-
পঞ্চাশ দশকে আমরা ও ভাষা আন্দোলন (১৯৮৫)
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
মুজিবনগর সরকারের সচিবালয় কোথায় ছিলো?
Created: 1 month ago
A
কলকাতার ৫নং ফ্রি স্কুল স্ট্রিট
B
কলকাতার ৮নং থিয়েটার রোড
C
কলকাতার ১১নং বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট
D
কলকাতার ১০নং চৌরঙ্গী রোড
-
মুজিবনগর সরকার গঠন:
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ করা হয়।
-
ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম, কারণ এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ঘটে।
-
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলা-এর আম্রকাননে।
-
এটি ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত, যা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে দেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
-
এর আগে ১০ এপ্রিল দেশের নামকরণ করা হয় ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, বঙ্গবন্ধুর সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে চার সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রীসভা ঘোষণা করা হয়।
-
মেহেরপুর মহকুমা পরে জেলা হিসাবে উন্নীত হয় এবং বৈদ্যনাথতলার নাম রাখা হয় মুজিবনগর।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর ছিল স্বাধীন দেশের অস্থায়ী রাজধানী, এবং সচিবালয়/সদরদপ্তর অবস্থান করত কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোডে।
-
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি; DMP ও তথ্য অধিদফতর ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌ কমান্ডোদের অভিযান কী নামে পরিচিত ছিল?
Created: 21 hours ago
A
অপারেশন জ্যাকপট
B
অপারেশন টাইগার
C
অপারেশন থান্ডারবোল্ট
D
অপারেশন ব্লু বার্ড
অপারেশন জ্যাকপট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-কমান্ডো বাহিনীর পরিচালিত প্রথম অভিযান ছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’।
-
তারিখ ও সময়: ১৯৭১ সালের ১৬ই আগস্ট, প্রথম প্রহরে।
-
অভিযানের স্থান: দেশের দুইটি সমুদ্রবন্দর—চট্টগ্রাম ও মোংলা, এবং দুইটি নদী বন্দর—চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ।
-
প্রকৃতি: অপারেশনটি ছিল একটি আত্মঘাতী অভিযান।
-
কার্যক্রম: নৌ-কমান্ডোরা একযোগে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর ২৬টি পণ্য ও সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ এবং গানবোট ডুবিয়ে দেয়।
-
ফলাফল: অভিযানে অংশগ্রহণকারী কোনো গেরিলা শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়েননি।
উল্লেখ্য:
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দেশের যুদ্ধাঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
-
অপারেশন জ্যাকপট পরিচালিত নৌ-কমান্ডো বাহিনী ১০নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
-
১০নং সেক্টর মূলত সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, নদী ও সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশের সমগ্র জলপথ নিয়ে গঠিত।

0
Updated: 21 hours ago