মুক্তিযুদ্ধে 'ক্র্যাক প্লাটুন' কোন শহরে সক্রিয় ছিল?
A
ঢাকা
B
খুলনা
C
টাঙ্গাইল
D
বরিশাল
উত্তরের বিবরণ
ক্র্যাক প্লাটুন হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একটি বিশেষ দল, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় কিংবদন্তিতে পরিণত হয়।
-
এই প্লাটুনের সদস্য ছিলেন শাফী ইমাম রুমী।
-
মুক্তিযুদ্ধের তীব্রতার সঙ্গে ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। ঢাকা নগরীতে অভূতপূর্ব দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করা গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
-
ক্র্যাক প্লাটুন গঠিত হয় ২নং সেক্টরের সেনাপতি মেজর হায়দারের নেতৃত্বে।
-
সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন (মায়া) এবং শহীদুল্লাহ খান (বাদল), উভয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
-
ক্র্যাক প্লাটুনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় এ. এস. এম সামছুল আরেফিনের রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান’ গ্রন্থ থেকে।
-
প্লাটুনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অপারেশন অন্তর্ভুক্ত:
-
হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টাল আক্রমণ
-
৫ ও ১১ কেভি পাওয়ার স্টেশন
-
যাত্রাবাড়ী ব্রিজ আক্রমণ
-
হামিদুল হক চৌধুরীর প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি আক্রমণ
-
বিডিআর গেইট ও ধানমণ্ডি, ভোগ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আক্রমণ
-
বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প ধ্বংস
-
মাদারটেক ও ত্রিমোহিনী পাকিস্তান সেনা শিবিরে আক্রমণ
-
বৈদ্যের বাজার ও রূপগঞ্জ থানায় বিস্ফোরণ ও ধ্বংস সাধন
-
-
এই সব অপারেশনে শত্রুর জান-মাল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

0
Updated: 21 hours ago
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চুকনগর গণহত্যা সংঘটিত হয় কবে?
Created: 6 days ago
A
২০ মে, ১৯৭১
B
১২ জুন, ১৯৭১
C
১২ মে, ১৯৭১
D
০২ জুন, ১৯৭১
চুকনগর গণহত্যা
-
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা।
-
অবস্থান: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর গ্রাম।
-
তারিখ: ১৯৭১ সালের ২০ মে।
-
হামলাকারী: মাত্র এক প্লাটুন পাকিস্তানি সেনা।
-
হত্যার সময়কাল: প্রায় ৪ ঘণ্টা।
-
নিহতের সংখ্যা: আনুমানিক ১২,০০০ নিরীহ মানুষ; প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
-
নিহতদের লাশ ভদ্রা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সঠিক সংখ্যা নিরূপণ সম্ভব হয়নি।
পটভূমি ও ঘটনা:
-
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃহত্তর খুলনার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন বাগেরহাট, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা, মংলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চালনা, ফরিদপুর, বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে রওনা হন।
-
তারা ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেন চুকনগরকে।
-
২০ মে সকাল ১০টায় ৩টি ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা চুকনগর বাজারের ঝাউতলায় (পাতখোলা) এসে থামে।
-
দুপুর ৩টা পর্যন্ত তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা চালিয়ে যায়।

0
Updated: 6 days ago
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ কোন সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
Created: 3 days ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৫নং সেক্টর
D
১১নং সেক্টর
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
-
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিপ্রাপ্ত সাতজন বীরের একজন।
-
সেক্টর: ১ নম্বর সেক্টর।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা
-
স্বাধীনতাযুদ্ধের আগে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ইপিআরের ১১ নম্বর উইং-এ চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন।
-
৮ এপ্রিল ১৯৭১ রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
সহযোদ্ধাদের কৌশলগতভাবে পিছু হটার নির্দেশ দিয়ে একাই শত্রুর মোকাবেলা করেন।
-
শহীদ হওয়ার পর সহযোদ্ধারা তাঁর দেহ চিংড়িখাল সংলগ্ন এক টিলায় সমাহিত করেন।
সম্মাননা
-
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য প্রথম শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বীকৃতি পান।
-
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ রাইফেলস তাঁকে মরণোত্তর অনারারি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দেয়।
অন্যান্য বীরশ্রেষ্ঠ (সেক্টর অনুযায়ী)
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল – ২ নম্বর সেক্টর।
-
সিপাহী হামিদুর রহমান – ৪ নম্বর সেক্টর।
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর – ৭ নম্বর সেক্টর।
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ – ৮ নম্বর সেক্টর।
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমিন – ১০ নম্বর সেক্টর।

0
Updated: 3 days ago
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
Created: 1 month ago
A
৪নং
B
৮নং
C
৭নং
D
২নং
মুক্তিযুদ্ধ সেক্টর:
- ল্যান্স নায়েকমুন্সী আব্দুর রব- ১নং সেক্টর।
- সিপাহি মোস্তফা কামাল- ২নং সেক্টর।
- স্কোয়াড্রন ইন্জিনিয়ার রুহুল আমিন- ১০নং সেক্টর।
- ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ- ৮নং সেক্টর।
- সিপাহি হামিদুর রহমান- ৪নং সেক্টর।
- ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গির- ৭নং সেক্টর।
- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান- কোনো সেক্টরে ছিলেন না।

0
Updated: 1 month ago