বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা কত ছিল?
A
৮৯ হাজার
B
৯১ হাজার
C
৯৩ হাজার
D
৯৭ হাজার
উত্তরের বিবরণ
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হয়, যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনার মাধ্যমে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটে।
-
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সকালে মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
-
বিকেলে, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ৯৩ হাজার সৈন্য বিনা শর্তে সম্মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
-
আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন পূর্বাঞ্চলের সম্মিলিত বাহিনী প্রধান লেঃ জেনারেল জগজিত সিং অরোরা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লেঃ জেঃ এ কে নিয়াজী।
-
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিবাহিনীর উপ-সেনা প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
-
বাংলাদেশের শত্রুমুক্ত হওয়ার দিন হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ প্রতি বছর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়।
-
অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর অন্যান্য নেতৃস্থানীয়রা ছিলেন: এস ফোর্স অধিনায়ক লেঃ কর্নেল কে এম সফিউল্লাহ, ২নং সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এ টি এম হায়দার, এবং টাঙ্গাইল মুক্তি বাহিনীর অধিনায়ক জনাব কাদের সিদ্দিকী।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন 'জেড' ফোর্সের অধিনায়ক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
B
মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর জিয়াউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধের ব্রিগেড ফোর্স এবং মুক্তিবাহিনী
-
মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
ব্রিগেড ফোর্স:
-
১১টি সেক্টর ও তার অধীন অনেক সাব-সেক্টর ছাড়াও রণাঙ্গনকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়।
-
মে ও জুন ১৯৭১ মাসে মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়।
-
ফোর্সের নামকরণ করা হয় অধিনায়কদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে।
-
ব্রিগেড ফোর্সের নাম ও অধিনায়করা:
-
‘কে’ ফোর্স: মেজর খালেদ মোশাররফ
-
‘এস’ ফোর্স: মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
-
‘জেড’ ফোর্স: মেজর জিয়াউর রহমান
-
মুক্তিবাহিনী:
-
গঠন: ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই, সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে একত্রিত করে।
-
বিভাগ: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী; অনিয়মিত বাহিনীকে গণবাহিনী বলা হতো।
-
গণবাহিনী: ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেক্টরে নিয়োগ করা হতো। বাংলাদেশ অভ্যন্তরে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করত।
-
নিয়মিত বাহিনী: ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা, যারা প্রথাগত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করত।
-
প্রধান সেনাপতি: ১৪ এপ্রিল, কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানী নিযুক্ত হন।
-
হেড কোয়ার্টার: কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে স্থাপিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আফসার ব্যাটালিয়ন কোথায় গড়ে উঠে?
Created: 1 month ago
A
টাঙ্গাইল
B
সিরাজগঞ্জ
C
পাবনা
D
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার নিভৃত পল্লী মল্লিকবাড়ী গ্রামে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ একটি পার্টি গঠন করেন, যা একমাত্র রাইফেল দিয়ে পরিচালিত হত। তিনি পাকবাহিনী ও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে লড়াই করে তার পার্টির সদস্যদের নেতৃত্ব দেন এবং শত্রুদের যথাযথ শিক্ষা প্রদান করেন। আফসার ব্যাটালিয়ন তার পার্টি থেকে আড়াই হাজারেরও অধিক রাইফেল, ব্রেটাগান, রকেট লান্সার, স্টেনগান, এমএমজি ইত্যাদি উদ্ধার করে। এই বাহিনীতে মোট প্রায় সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
-
আফসার ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে রোগাক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও বিপর্যস্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য ১৩ জন ডাক্তার এবং ৩ জন নার্স নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
-
মুক্ত এলাকা পরিচালনা ও সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়, যা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এলাকার বাইরে গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য বাহিনীসমূহ:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
আফসার ব্যাটালিয়ন (ভালুকা, ময়মনসিংহ)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
এছাড়া ঢাকা শহরে ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত গেরিলা দল শহরের বড় স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রুর ক্ষতি সাধন করেছিল।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বীরশ্রেষ্ঠ
B
বীরউত্তম
C
বীরবিক্রম
D
বীরপ্রতীক
-
বীরত্বসূচক খেতাব
-
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকার মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চার ধরনের বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করেন।
-
খেতাবসমূহের শ্রেণীবিন্যাস:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব, ৭ জনকে প্রদান।
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, ৬৮ জনকে প্রদান।
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, ১৭৫ জনকে প্রদান।
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব, ৪২৬ জনকে প্রদান।
-
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া ও প্রথম আলো পত্রিকা
0
Updated: 2 months ago