৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা-
A
১৯২টি
B
১০৯টি
C
১৯০টি
D
১৯১টি
উত্তরের বিবরণ
United Nations Convention Against Corruption (UNCAC), popularly known as Merida Convention, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী চুক্তি। এটি বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত UNCAC-এর স্বাক্ষরকারী দেশ সংখ্যা ১৯১টি।
• জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র সংখ্যা ১৯৩, যার মধ্যে প্রায় সব দেশ UNCAC-এ অংশ নিয়েছে, মাত্র ২টি দেশ যুক্ত হয়নি।
• ১৯২টি: এটি জাতিসংঘের মোট সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা, কিন্তু UNCAC-এর স্বাক্ষরকারী দেশ নয়।
• ১০৯টি: কোনো প্রাসঙ্গিক UNCAC পরিসংখ্যান নয়, সম্ভবত অন্য কোনো কনভেনশনের সঙ্গে মিশ্রণ।
• ১৯০টি: ২০২৪-এর পূর্বের আনুমানিক সংখ্যা; ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা ১৯১।
মেরিডা কনভেনশন সম্পর্কিত তথ্য:
• আনুষ্ঠানিক নাম: United Nations Convention Against Corruption (UNCAC)
• জাতিসংঘের একমাত্র binding আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী চুক্তি
• UNCAC-এর মূল লক্ষ্য: দুর্নীতি প্রতিরোধ (prevention), অপরাধীকরণ (criminalization), আন্তর্জাতিক সহযোগিতা (international cooperation), সম্পদ পুনরুদ্ধার (asset recovery) এবং কারিগরি সহায়তা (technical assistance) প্রদান
• জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদন: ৩১ অক্টোবর, ২০০৩
• স্বাক্ষরকাল: ৯-১১ ডিসেম্বর, ২০০৩
• স্বাক্ষর স্থান: মেরিডা, ইউকাতান, মেক্সিকো
• কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৫
• বর্তমান স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
• বাংলাদেশের স্বাক্ষর: ২০০৭, পরবর্তীতে অনুমোদনও প্রদান করেছে

0
Updated: 22 hours ago
"আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।"- বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর ধারায় এ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ধারা ০৭
B
ধারা ২৭
C
ধারা ৩৭
D
ধারা ৪৭
সংবিধান সম্পর্কিত তথ্য
মৌলিক অধিকার ও সমতার নীতি:
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকারগুলো বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ নং অনুচ্ছেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
সব নাগরিক আইনসম্মতভাবে সমান।
-
আইনের রক্ষাকবচ প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
অর্থাৎ, কোনও নাগরিককে আইন অনুসারে অন্যের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হতে হবে না এবং সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।
(উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ২৭)
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদসমূহ
অনুচ্ছেদ | বিষয়বস্তু (সহজ ভাষায়) |
---|---|
১৩ | ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রের মালিকানার নীতি নির্ধারণ |
১৯ | সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা |
২২ | বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা |
২৮ | ধর্ম বা অন্যান্য কারণে বৈষম্য নিষিদ্ধ |
২৯ | সরকারি নিয়োগ ও সুযোগে সমতার নীতি |
৩১ | আইনের আশ্রয় ও সুরক্ষা লাভের অধিকার |
৩৩ | গ্রেপ্তার ও আটক সংক্রান্ত নাগরিক সুরক্ষা |
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে -
Created: 3 weeks ago
A
ভাল ও মন্দ
B
ন্যায় ও অন্যায়
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধ
-
ইংরেজি প্রতিশব্দ: Value
-
সংজ্ঞা: মূল্যবোধ হলো এমন নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে পরিচালনা করে।
-
উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র, আর শিক্ষালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিক উৎস।
-
ব্যাখ্যা: মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করে। এটি মানুষকে তার আচরণ ও কার্যকলাপে সঠিক দিশা দেখায়।
-
প্রকৃতি: মূল্যবোধ স্থায়ী নয়; সময় ও পরিবেশ অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
-
উদাহরণ: শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ ও মানবিক আচরণ—all এগুলো মূল্যবোধের অংশ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
যে সমস্ত চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শ মানুষের আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সমষ্টিই মূল্যবোধ।
-
মূল্যবোধের সাহায্যে মানুষ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা-অনৈতিকতা ইত্যাদি বিচার করে।
-
চিরন্তন মূল্যবোধ হলো সত্য ও ন্যায়, আর এর বিপরীতে দাঁড়ায় সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 3 weeks ago
কোন ধরনের মূল্যবোধের সাথে সুশাসনের নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান?
Created: 6 days ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
একটি সমাজে যখন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কর্তব্যপরায়ণতা নিশ্চিত হয়, তখনই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
একইভাবে পরমত সহিষ্ণুতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অন্যের মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মতো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সুশাসনের জন্য অপরিহার্য।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
পরমত সহিষ্ণুতা: নানা মত ও চিন্তায় বিভক্ত রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিগুলো যদি একে অপরকে সম্মান দেয় এবং মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা মেনে নেয়, তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
স্বচ্ছতা: রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা বজায় রাখা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রকাশ। এতে জনগণের আস্থা তৈরি হয়, যা সুশাসনের জন্য অপরিহার্য।
আইনের শাসন: আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা ছাড়া সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ আইনের মর্যাদা রক্ষা করে এবং এর মাধ্যমেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
ন্যায়পরায়ণতা: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তি ন্যায়পরায়ণ হয়। সমাজে এমন নাগরিক বেশি হলে সুশাসন ত্বরান্বিত হয়।
সচেতনাবোধ সৃষ্টি: মানবিক গুণাবলী ও মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিকরা সচেতন হয়। তারা সরকারের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে ও সুশাসনবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করতে সক্ষম হয়।
দায়বদ্ধতা: রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিক এবং নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র— উভয়েরই দায়বদ্ধতা রয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তি অধিকার ভোগের পাশাপাশি কর্তব্যও পালন করে, যা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।

0
Updated: 6 days ago