জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশনটি গৃহীত হয়?
A
৩১ জানুয়ারি ২০০৩
B
৩১ অক্টোবর ২০০৬
C
৩১ অক্টোবর ২০০৩
D
২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮
উত্তরের বিবরণ
৩১ অক্টোবর ২০০৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশন গৃহীত হয়, যা UNCAC নামে পরিচিত। অন্যান্য অপশনগুলো এই প্রসঙ্গে সঠিক নয়।
-
UNCAC এর পূর্ণরূপ হলো United Nations Convention Against Corruption।
-
এটি একটি আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী বহুপাক্ষিক চুক্তি।
-
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত তারিখ: ৩১ অক্টোবর ২০০৩।
-
কনভেনশনটি কার্যকর হয়: ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫।
-
স্বাক্ষরস্থল: মেরিডা, মেক্সিকো।
-
বাংলাদেশ কনভেনশনটি স্বাক্ষর করে: ২০০৭ সালে।

0
Updated: 22 hours ago
'Human Society in Ethics and Politics' গ্রন্থের লেখক কে?
Created: 1 week ago
A
প্লেটো
B
রুসাে
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
জন স্টুয়ার্ট মিল
বার্ট্রান্ড রাসেল ছিলেন একজন বহুমুখী ব্রিটিশ বুদ্ধিজীবী যিনি দর্শন, যুক্তি, গণিত, ইতিহাস, সমাজচিন্তা ও সমাজকর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি কেবল একজন দার্শনিকই নন, বরং অহিংসাবাদী, যুদ্ধবিরোধী এবং সাম্রাজ্যবাদের তীব্র সমালোচক হিসেবেও সুপরিচিত।
১৯৫০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি' প্রসঙ্গে লেখা বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হয়।
মূল তথ্যগুলো হলো:
-
রাসেল একজন দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী এবং সমাজ সমালোচক ছিলেন।
-
তিনি যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
-
১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তার চিন্তাধারা ও মানবিক আদর্শের স্বীকৃতি হিসেবে।
-
রাসেলের মতে, মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জন্ম নেয় যেগুলোর যুক্তিসঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে নেই এবং বিজ্ঞানও এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যস্ততা দেখায় না।
-
দর্শন মূলত সেই ধর্ম ও বিজ্ঞানর মধ্যবর্তী "অনধিকৃত রাজ্য" (No Man's Land)-এ অবস্থান করে।
-
এই কারণে রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞানের সীমা ও ধর্মতত্ত্বের বাইরে চলার ক্ষেত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রাসেলের উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ:
-
The Elements of Ethics
-
Human Society in Ethics and Politics
-
Moral and Others
-
Power: A New Social Analysis
-
Political Ideals
-
Introduction to Mathematical Philosophy

0
Updated: 1 week ago
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি কোনটি?
Created: 6 days ago
A
উপযোগবাদ
B
ভাববাদ
C
উদারতাবাদ
D
পূর্ণতাবাদ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি হলো উদারতাবাদ।
এর ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা গড়ে ওঠে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ নিশ্চিত হয়।
বিরোধী মতকে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
ফলস্বরূপ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উদারতাবাদ (Liberalism):
উদারতাবাদ হলো সেই মতবাদ, যা ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেয়।
ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপায় হিসেবে বিবেচনা করে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলী সীমিত করতে চায়।
এটি মানুষের প্রগতি ও মুক্তির পথে থাকা বাঁধা-বিপত্তি দূর করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন।
উদারতাবাদ মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে তাকে তার নিজস্ব সত্ত্বায় প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস।
এটি কেবল রাজনৈতিক জীবনেই সীমিত নয়; বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনকেও অন্তর্ভুক্ত করে মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্য সাধন করে।

0
Updated: 6 days ago
“সুশাসন চারটি স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল” - এই অভিমত কোন সংস্থা প্রকাশ করে?
Created: 2 weeks ago
A
জাতিসংঘ
B
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি
C
বিশ্বব্যাংক
D
এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক
বিশ্বব্যাংক এবং সুশাসনের ধারণা মূলত বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়। একটি রাষ্ট্রে যদি সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সেই রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক সংজ্ঞায় উল্লেখ করে, ‘সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।’ পরে, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি মূল স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনি কাঠামো
-
অংশগ্রহণ

0
Updated: 2 weeks ago