মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যেবোধ গড়ে উঠে-
A
আইনের বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে
B
সামাজিকীকরণের মাধ্যমে
C
অর্থনৈতিক প্রণোদনার মাধ্যমে
D
উচ্চমানের প্রযুক্তি অনুসরণের মাধ্যমে
উত্তরের বিবরণ
মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে মূলত সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, অর্থাৎ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, পরিবার, স্কুল ও সমাজের অন্যান্য প্রভাবের মাধ্যমে। সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তি ও সমাজের আচরণ ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যা মানুষের সামাজিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
-
সমাজবিজ্ঞানী Francis E. Merrill এর মতে, "সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের দলীয় কল্যাণের জন্য আচরণ সংরক্ষণ করা, যা মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে।"
-
বড়দের সম্মান করা, সহনশীলতা, দানশীল হওয়া, আতিথেয়তা ইত্যাদি সামাজিক মূল্যবোধের উদাহরণ।
-
তাই মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে মূলত সামাজিকীকরণের মাধ্যমে।
অন্যদিকে,
-
আইনের বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে না।
-
অর্থনৈতিক প্রণোদনার মাধ্যমে মূলত অর্থনৈতিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে।
-
উচ্চমানের প্রযুক্তি অনুসরণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
উদারনৈতিক গণতন্ত্রে সাম্য বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
নির্দিষ্ট জাতির অগ্রাধিকার
B
ধর্মভিত্তিক অধিকার
C
কেবল অর্থনৈতিক সাম্য
D
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সমান অধিকার
সাম্যের ধারণা হলো এমন একটি নীতিগত ও সামাজিক ধারণা যা মানুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করে। সাম্য শব্দটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দার্শনিক ও রাজনৈতিক মতাদর্শে এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
-
প্রাচীন গ্রীসের নগররাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্লেটোর লেখনীতে সাম্যবাদের উল্লেখ আছে।
-
আধুনিক যুগে কার্ল মার্কস ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিলোপ করে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন।
-
ফরাসি বিপ্লবের মূল নীতি ছিল সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ব, যা বিপ্লবের মূল্য লক্ষ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাম্য বলতে বোঝায় মানুষের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ সাধনের উপযোগী সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে পাওয়া।
-
উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
-
অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কি অনুযায়ী, সকলের সামনে যথার্থ সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত রাখা সাম্য নিশ্চিত করে।
-
অর্থাৎ, সাম্য এমন একটি অবস্থা বা পরিবেশ যেখানে সকল নাগরিক সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করে এবং নিজের বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়।
0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের কতটি স্তম্ভ ?
Created: 2 months ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
বর্তমান বিশ্বে সুশাসন একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারণা হিসেবে স্বীকৃত। এটি শুধুমাত্র শাসন ব্যবস্থা নয়, বরং সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবেও বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো “Good Governance”।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে সর্বপ্রথম সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয়।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে, যা হলো:
i) দায়িত্বশীলতা (Accountability)
ii) স্বচ্ছতা (Transparency)
iii) আইনী কাঠামো (Rule of Law)
iv) অংশগ্রহণ (Participation)
0
Updated: 2 months ago
ই-গভর্নেন্সের ফলে কী কী সুফল অর্জিত হয়?
Created: 1 month ago
A
সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়
B
সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়
C
সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়
D
উপরের সবগুলো
ই-গভর্নেন্স ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও সেবা জনগণের নিকট পৌঁছানো প্রক্রিয়াকেই বোঝায়। এর পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক গভর্নেন্স।
-
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
-
ই-গভর্নেন্সের প্রধান লক্ষ্য হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
এটি সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে।
-
সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
-
সরকারের জবাবদিহিতা উন্নত হয়।
-
0
Updated: 1 month ago