'সরকারি নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা'-বিষয়টি সংবিধান মতে-
A
নৈতিক বিষয়
B
মানবাধিকার
C
মৌলিক অধিকার
D
নিয়োগ ও কর্মের শর্ত
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগ (অনুচ্ছেদ ২৬ থেকে ৪৭) মৌলিক অধিকারসমূহের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্দেশনা প্রদান করে। এই অধিকারসমূহ নাগরিকদের জীবনে সমতা, স্বাধীনতা ও ন্যায় নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানে সংরক্ষিত।
এর মধ্যে অনুচ্ছেদ ২৯ বিশেষভাবে সরকারি নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেছে।
-
অনুচ্ছেদ ২৯(১): সকল নাগরিকের জন্য সরকারি নিয়োগ-লাভে সমান সুযোগ থাকবে।
-
অনুচ্ছেদ ২৯(২): কোনো নাগরিককে ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে সরকারি নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা করা যাবে না বা তার প্রতি বৈষম্য করা যাবে না।
-
অনুচ্ছেদ ২৯(৩): পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বিধান (যেমন: কোটা ব্যবস্থা) রাখতে পারে, তবে এটি সাধারণ সমতার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অন্যদিকে, বিষয়টি নৈতিক, মানবাধিকার বা নিয়োগ-শর্তের সঙ্গে সম্পর্কিত দিকগুলো হলো:
-
নৈতিক বিষয়: সরকারি নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা কোনো নৈতিক বিষয় নয়, এটি সংবিধানে আইনগতভাবে সুরক্ষিত অধিকার।
-
মানবাধিকার: যদিও এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের আলোকে মানবাধিকারের অংশ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রেক্ষাপটে এটি সুনির্দিষ্টভাবে মৌলিক অধিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাই ‘মানবাধিকার’ শব্দটি এখানে সম্পূর্ণ সঠিক নয়।
-
নিয়োগ ও কর্মের শর্ত: সরকারি নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা শুধুমাত্র নিয়োগ বা কর্মের শর্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি মৌলিক অধিকার, যা নিয়োগের আগে এবং প্রক্রিয়ার সকল পর্যায়ে প্রযোজ্য।
সুতরাং, ‘সরকারি নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা’ সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।

0
Updated: 22 hours ago
"আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।"- বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর ধারায় এ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ধারা ০৭
B
ধারা ২৭
C
ধারা ৩৭
D
ধারা ৪৭
সংবিধান সম্পর্কিত তথ্য
মৌলিক অধিকার ও সমতার নীতি:
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকারগুলো বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ নং অনুচ্ছেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
সব নাগরিক আইনসম্মতভাবে সমান।
-
আইনের রক্ষাকবচ প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
অর্থাৎ, কোনও নাগরিককে আইন অনুসারে অন্যের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হতে হবে না এবং সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।
(উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ২৭)
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদসমূহ
অনুচ্ছেদ | বিষয়বস্তু (সহজ ভাষায়) |
---|---|
১৩ | ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রের মালিকানার নীতি নির্ধারণ |
১৯ | সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা |
২২ | বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা |
২৮ | ধর্ম বা অন্যান্য কারণে বৈষম্য নিষিদ্ধ |
২৯ | সরকারি নিয়োগ ও সুযোগে সমতার নীতি |
৩১ | আইনের আশ্রয় ও সুরক্ষা লাভের অধিকার |
৩৩ | গ্রেপ্তার ও আটক সংক্রান্ত নাগরিক সুরক্ষা |
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মুসলিম আসন ছিল কতটি?
Created: 4 weeks ago
A
৯টি
B
১৬৭টি
C
২২৩টি
D
২৩৭টি
যুক্তফ্রন্ট সরকার (১৯৫৪)
গঠন ও উদ্দেশ্য:
-
১৯৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর পূর্ববাংলায় মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় ঘটানোর লক্ষ্যে গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট।
-
১৯৫৪ সালের মার্চে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
নির্বাচনে জনগণ যুক্তফ্রন্টের ২১ দফাকে স্বার্থরক্ষার সনদ হিসেবে বিবেচনা করে।
নির্বাচনের ফলাফল:
-
মোট ৩০৯টি আসনের মধ্যে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত ২৩৭টি আসনে:
-
যুক্তফ্রন্ট: ২২৩টি আসন
-
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে: ১৪৩টি আসন
-
-
মুসলিম লীগ: ৯টি আসন (প্রদত্ত ভোটের মাত্র ২৭%)
-
বাকি ৫টি মুসলিম আসনে:
-
৪টি স্বতন্ত্র প্রার্থী, ১টি খেলাফত-ই-রব্বানী পার্টি
-
-
-
মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৯টি আসন: সবই যুক্তফ্রন্ট লাভ করে
গুরুত্ব:
-
নির্বাচন প্রমাণ করে যে জনগণই ‘সকল ক্ষমতার উৎস’।
-
মুসলিম লীগের শাসনাবস্থা প্রান্তিক হয় এবং পূর্ববাংলায় যুক্তফ্রন্ট প্রাদেশিক সরকার গঠন করার যোগ্যতা অর্জন করে।
উৎস:
-
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি
-
ইতিহাস, SSHL প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 4 weeks ago