নিচের কোনটি পেশাগত নৈতিকতার উপাদান?
A
স্বজনপ্রীতি
B
সাম্প্রদায়িকতা
C
দরিদ্রতা
D
দক্ষতা
উত্তরের বিবরণ
পেশাগত নৈতিকতা হল এমন একটি ধারা যা পেশাদার কাজের মান ও জনসাধারণের আস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর মূল উপাদানগুলো দক্ষতা, সততা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, পেশাগত চেতনা এবং দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
• দক্ষতা (Expertise and Skill): পেশাগত ক্ষেত্রে সঠিক জ্ঞান এবং দক্ষতার ব্যবহার নিশ্চিত করে, যা সেবার মান উন্নত করে এবং জনসাধারণের উপকারে আসে।
• সততা ও স্বচ্ছতা (Integrity and Transparency): পেশাগত কাজে সততা বজায় রাখা এবং তথ্য ও কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
• দায়বদ্ধতা (Accountability): নিজের কাজের জন্য জবাবদিহি করা এবং কাজের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা।
• পেশাগত চেতনা (Professional Consciousness): নিজের পেশার মান ও মর্যাদা রক্ষা করার জন্য গভীর সচেতনতা রাখা।
• দায়িত্বশীলতা (Responsibility): পেশাগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা এবং নিয়মকানুন মেনে চলা।
স্বজনপ্রীতি, সাম্প্রদায়িকতা বা দরিদ্রতা পেশাগত নৈতিকতার অংশ নয়।
∴ সুতরাং এই ক্ষেত্রে সঠিক উত্তর দক্ষতা।
0
Updated: 1 month ago
মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়?
Created: 2 months ago
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
C
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
D
ক ও গ নামক ক্রিয়া
নীতিবিদ্যা (Ethics)
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “আচরণের ধরন” বা “ঐচ্ছিক আচরণ”। নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং তার আদর্শ নির্ধারণ করা। এটি মানুষের আচরণের নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেই আচরণকে বোঝায়, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায়, সচেতনভাবে করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম লিলি তাঁর বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিয়েছেন:
“নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।”
সংক্ষেপে বলা যায়,
নীতিবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞানশাখা যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ধারণ করে, আচরণের মানদণ্ড ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং এগুলোর প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.
0
Updated: 2 months ago
একজন জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ হলো-
Created: 2 months ago
A
স্বাধীনতা
B
ক্ষমতা
C
কর্মদক্ষতা
D
জনকল্যাণ
জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ: জনকল্যাণ
জনপ্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের সাফল্য ও স্থায়িত্ব প্রধানত জনমতের উপর নির্ভরশীল। কারণ:
-
আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে সরকার জনমতের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
-
সরকার ও শাসক জনমতকে উপেক্ষা করলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
-
সদা সচেতন জনমত স্বেচ্ছাচার রোধ করে এবং গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে।
জনমতের প্রভাব সরকারের কাজকর্মে:
-
জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জনমত মুখ্য ভূমিকা রাখে।
-
জনকল্যাণমূলক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকার জনমতের দিকে লক্ষ্য রাখে।
-
জনমতের চাপের ফলে সরকার প্রগতিশীল ও যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
-
জনমত সরকারের প্রতি ইতিবাচক থাকলে সরকার দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে।
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তনেও জনমতের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে কত সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
২০১০
B
২০১১
C
২০১২
D
২০১৩
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি কাঠামোবদ্ধ পরিকল্পনা, যা নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সততা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
এই কৌশল নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অংশীদারের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এবং শুদ্ধাচারকে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
-
স্লোগান: সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
-
প্রণয়ন: বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে এই কৌশল গ্রহণ করেছে
-
লক্ষ্য: দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা
-
ভূমিকা: রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীদারদের দায়িত্ব নির্ধারণ
-
গ্রহণকারী: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
-
শুদ্ধাচারের সংজ্ঞা: নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা
শুদ্ধাচারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং সমাজে অনাচার হ্রাস পায়। ব্যক্তি পর্যায়ে এটি কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা এবং চরিত্রনিষ্ঠার প্রকাশ। নাগরিকরা রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
শুদ্ধাচারের প্রচলন হলে দুর্নীতি হ্রাস পায়, জনগণ অন্যায় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনাচার কমে।
0
Updated: 1 month ago