স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর ‘ওয়ার স্ট্র্যাটেজি’ কী নামে পরিচিত?
A
তেলিয়াপাড়া স্ট্র্যাটেজি
B
মুজিবনগর স্ট্র্যাটেজি
C
চুকনগর স্ট্র্যাটেজি
D
বাঘাইছড়ি স্ট্র্যাটেজি
উত্তরের বিবরণ
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে বাঙালি সামরিক কর্মকর্তারা স্বাধীনতার জন্য কার্যকর রণকৌশল প্রণয়ন করেন এবং মুক্তিবাহিনী গঠন করেন। এই বাহিনী বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য সুসংগঠিত ও সশস্ত্রভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পরিকল্পিতভাবে গঠিত হয়।
-
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল, সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে বাঙালি কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল প্রণয়ন করা হয়, যা পরে তেলিয়াপাড়া স্ট্র্যাটেজি নামে পরিচিত হয়।
-
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, এম এ জি ওসমানী যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন।
-
বাংলাদেশকে চারটি সামরিক অঞ্চলে ভাগ করে সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা করার পরিকল্পনা করা হয়।
-
১২–১৭ জুলাই কলকাতায় মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত একটি দীর্ঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনে তিনটি নিয়মিত বাহিনী তৈরি এবং দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

0
Updated: 22 hours ago
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা কত ছিল?
Created: 21 hours ago
A
৮৯ হাজার
B
৯১ হাজার
C
৯৩ হাজার
D
৯৭ হাজার
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হয়, যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনার মাধ্যমে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটে।
-
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সকালে মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
-
বিকেলে, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ৯৩ হাজার সৈন্য বিনা শর্তে সম্মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
-
আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন পূর্বাঞ্চলের সম্মিলিত বাহিনী প্রধান লেঃ জেনারেল জগজিত সিং অরোরা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লেঃ জেঃ এ কে নিয়াজী।
-
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিবাহিনীর উপ-সেনা প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
-
বাংলাদেশের শত্রুমুক্ত হওয়ার দিন হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ প্রতি বছর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়।
-
অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর অন্যান্য নেতৃস্থানীয়রা ছিলেন: এস ফোর্স অধিনায়ক লেঃ কর্নেল কে এম সফিউল্লাহ, ২নং সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এ টি এম হায়দার, এবং টাঙ্গাইল মুক্তি বাহিনীর অধিনায়ক জনাব কাদের সিদ্দিকী।

0
Updated: 21 hours ago
‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
নিউইয়র্ক
B
ওয়াশিংটন
C
টোকিও
D
দিল্লি
-
‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’
-
১ আগস্ট ১৯৭১ তারিখে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন-এ অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি চ্যারিটি বা বেনিফিট কনসার্ট।
-
এটি মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা প্রদানের এক অসাধারণ উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত।
-
ঐতিহাসিক এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন, ম্যানহাটন, নিউইয়র্কে।
-
কনসার্টের অন্যতম দুই উদ্যোক্তা ছিলেন:
-
ইংল্যান্ডের সাড়া জাগানো ব্যান্ড দ্য বিটলস-খ্যাত পশ্চিমা সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন,
-
এবং ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর।
-
-
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, প্রথম আলো

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ শত্রুমুক্ত জেলা যথাক্রমে -
Created: 22 hours ago
A
ঢাকা ও যশোর
B
যশোর ও ঢাকা
C
কুমিল্লা ও যশোর
D
যশোর ও কুমিল্লা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন জেলার শত্রুমুক্ত হওয়া তার প্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতিকে নির্দেশ করে। সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ শত্রুমুক্ত জেলা যথাক্রমে যশোর ও ঢাকা।
-
যশোর হলো বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা, যা ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্ত হয়।
-
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে, যা দেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পরাজয় নির্দেশ করে।
-
আত্মসমর্পণের পরও পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসররা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেত।
-
ঢাকায় আত্মসমর্পণের এক সপ্তাহ পর্যন্ত যুদ্ধ চলার পর ২৩ ডিসেম্বর কুমিল্লার হোমনা হানাদারমুক্ত হয়।
-
ঢাকার মিরপুর তখনো পাকিস্তানি বাহিনী ও বিহারিদের দ্বারা পুরোপুরি অবরুদ্ধ ছিল।
-
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি এক বিশেষ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারি ১২ নম্বর সেকশনের ডি ব্লক, ঈদগাহ মাঠে আত্মগোপনকারী পাকিস্তানি সেনা, বিহারি, রাজাকার ও আলবদরদের অস্ত্রসমর্পণের মধ্য দিয়ে মিরপুর মুক্ত হয়।
-
অন্যদিকে, কুমিল্লা জেলা শত্রুমুক্ত হয় ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১।

0
Updated: 22 hours ago