বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ শত্রুমুক্ত জেলা যথাক্রমে -
A
ঢাকা ও যশোর
B
যশোর ও ঢাকা
C
কুমিল্লা ও যশোর
D
যশোর ও কুমিল্লা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন জেলার শত্রুমুক্ত হওয়া তার প্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতিকে নির্দেশ করে। সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ শত্রুমুক্ত জেলা যথাক্রমে যশোর ও ঢাকা।
-
যশোর হলো বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা, যা ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্ত হয়।
-
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে, যা দেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পরাজয় নির্দেশ করে।
-
আত্মসমর্পণের পরও পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসররা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেত।
-
ঢাকায় আত্মসমর্পণের এক সপ্তাহ পর্যন্ত যুদ্ধ চলার পর ২৩ ডিসেম্বর কুমিল্লার হোমনা হানাদারমুক্ত হয়।
-
ঢাকার মিরপুর তখনো পাকিস্তানি বাহিনী ও বিহারিদের দ্বারা পুরোপুরি অবরুদ্ধ ছিল।
-
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি এক বিশেষ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারি ১২ নম্বর সেকশনের ডি ব্লক, ঈদগাহ মাঠে আত্মগোপনকারী পাকিস্তানি সেনা, বিহারি, রাজাকার ও আলবদরদের অস্ত্রসমর্পণের মধ্য দিয়ে মিরপুর মুক্ত হয়।
-
অন্যদিকে, কুমিল্লা জেলা শত্রুমুক্ত হয় ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে খেতাব প্রাপ্ত বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড কোন দেশে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন?
Created: 1 month ago
A
পোল্যান্ড
B
জার্মানি
C
নেদারল্যান্ডস
D
অস্ট্রেলিয়া
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন এবং একমাত্র বিদেশি নাগরিক হিসেবে বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। তাঁর অবদান দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে।
-
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও জন্ম নেদারল্যান্ডসে।
-
১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বাটা সু কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
-
ওডারল্যান্ড ২০০১ সালের ১৮ মে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা কোনটি?
Created: 2 months ago
A
রাঙ্গামাটি
B
কুমিল্লা
C
যশোর
D
ঢাকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা ছিল যশোর।
মুক্তিযুদ্ধ:
-
অবিভক্ত ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোর অনেক কিছুর জন্য বিখ্যাত।
-
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠর মধ্যে ২ জনই বৃহত্তর যশোর জেলার কৃতি সন্তান।
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্তভাবে শেষ হবার কয়েকদিন আগেই স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াইয়ে যশোরকে দেশের প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
-
সেই গৌরবময় তারিখটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর।
-
তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যশোরই প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা।
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধে 'ক্র্যাক প্লাটুন' কোন শহরে সক্রিয় ছিল?
Created: 1 month ago
A
ঢাকা
B
খুলনা
C
টাঙ্গাইল
D
বরিশাল
ক্র্যাক প্লাটুন হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একটি বিশেষ দল, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় কিংবদন্তিতে পরিণত হয়।
-
এই প্লাটুনের সদস্য ছিলেন শাফী ইমাম রুমী।
-
মুক্তিযুদ্ধের তীব্রতার সঙ্গে ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। ঢাকা নগরীতে অভূতপূর্ব দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করা গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
-
ক্র্যাক প্লাটুন গঠিত হয় ২নং সেক্টরের সেনাপতি মেজর হায়দারের নেতৃত্বে।
-
সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন (মায়া) এবং শহীদুল্লাহ খান (বাদল), উভয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
-
ক্র্যাক প্লাটুনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় এ. এস. এম সামছুল আরেফিনের রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান’ গ্রন্থ থেকে।
-
প্লাটুনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অপারেশন অন্তর্ভুক্ত:
-
হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টাল আক্রমণ
-
৫ ও ১১ কেভি পাওয়ার স্টেশন
-
যাত্রাবাড়ী ব্রিজ আক্রমণ
-
হামিদুল হক চৌধুরীর প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি আক্রমণ
-
বিডিআর গেইট ও ধানমণ্ডি, ভোগ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আক্রমণ
-
বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প ধ্বংস
-
মাদারটেক ও ত্রিমোহিনী পাকিস্তান সেনা শিবিরে আক্রমণ
-
বৈদ্যের বাজার ও রূপগঞ্জ থানায় বিস্ফোরণ ও ধ্বংস সাধন
-
-
এই সব অপারেশনে শত্রুর জান-মাল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
0
Updated: 1 month ago