মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন সময়ে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
A
এপ্রিল, ১৯৭১
B
মে, ১৯৭১
C
জুন, ১৯৭১
D
জুলাই, ১৯৭১
উত্তরের বিবরণ
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সেক্টর ব্যবস্থা গঠন করা হয়, যা পরিকল্পনা, নেতৃত্ব ও কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে সমন্বিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল। কলকাতাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তরে ১১–১৭ জুলাই পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার এবং উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনে বাংলাদেশ বাহিনীর নেতৃত্ব, সংগঠন, প্রশিক্ষণ, অভিযান ও প্রশাসন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়।
-
চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যার মধ্যে প্রধানতম ছিল মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা এবং প্রতিটি সেক্টরের জন্য একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা।
-
প্রতিটি সেক্টরকে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়।
-
১১টি সেক্টরে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৬ জন সেক্টর কমান্ডার দায়িত্ব পালন করেছেন।
সেক্টর কমান্ডারদের তালিকা:
-
১নং সেক্টর: মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম
-
২নং সেক্টর: মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এটিএম হায়দার
-
৩নং সেক্টর: মেজর কে এম শফিউল্লাহ, ক্যাপ্টেন এ এন এম নুরুজ্জামান
-
৪নং সেক্টর: মেজর চিত্তরাজন দত্ত, ক্যাপ্টেন এ রব
-
৫নং সেক্টর: মেজর মীর শওকত আলী
-
৬নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার
-
৭নং সেক্টর: মেজর নজরুল হক, সুবেদার মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান
-
৮নং সেক্টর: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মঞ্জুর
-
৯নং সেক্টর: মেজর এম জলিল, মেজর এম এ মঞ্জুর, মেজর জয়নাল আবেদীন
-
১১নং সেক্টর: মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর আবু তাহের, উইং কমান্ডার এম হামিদুল্লাহ খান

0
Updated: 22 hours ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় পটুয়াখালী ও বরিশাল কোন সেক্টরে ছিল?
Created: 6 days ago
A
৮ নং সেক্টর
B
৯ নং সেক্টর
C
২ নং সেক্টর
D
১ নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ১১টি সেক্টর:
-
১ নং সেক্টর: ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ফেনী
-
২ নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব, নোয়াখালী ও ফরিদপুরের অংশ
-
৩ নং সেক্টর: হবিগঞ্জ, আখাউড়া–ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকের কুমিল্লা ও ঢাকার অংশ
-
৪ নং সেক্টর: সিলেট জেলার অংশবিশেষ
-
৫ নং সেক্টর: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং সিলেটের অংশ
-
৬ নং সেক্টর: দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও এবং রংপুর (ব্রহ্মপুত্র নদ ছাড়া)
-
৭ নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চল
-
৮ নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর এবং খুলনার কিছু অংশ
-
৯ নং সেক্টর: পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার অংশ
-
১০ নং সেক্টর: সমুদ্র উপকূল, নৌ কমান্ডো ও অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন
-
১১ নং সেক্টর: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল

0
Updated: 6 days ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল' কত নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল?
Created: 22 hours ago
A
২ নং
B
৪ নং
C
১০ নং
D
১১ নং
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে বিশেষভাবে ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়, যা 'বাংলাদেশ হাসপাতাল' নামে পরিচিত ছিল। এটি মূলত ২ নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল এবং সেখান থেকে ঢাকার গেরিলাযুদ্ধের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হতো।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১টি সেক্টরের প্রতিটি হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে একটি করে মেডিকেল ইউনিট যুক্ত ছিল।
-
২ নম্বর সেক্টর অন্তর্ভুক্ত ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এলাকা, ঢাকা শহর ও ফরিদপুর জেলার পূর্বাংশ।
-
২ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ভারতের আগরতলা, প্রথমে মতিনগর, পরে মেলাঘর। নেতৃত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ।
-
মূল চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হত স্বতন্ত্রভাবে সম্পূর্ণ বাংলাদেশি জনবল ও অর্থায়নে, যা মুক্তিযুদ্ধের মেডিকেল যুদ্ধের আইকন হিসেবে পরিচিত।
-
হাসপাতালের নেপথ্যের প্রধান চিকিৎসকরা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এম এ মোবিন, প্রয়াত ডা. আখতার আহমেদ, ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ এবং ডা. সিতারা বেগম।
-
ক্যাপ্টেন আখতার মেজর খালেদের সঙ্গে পরামর্শ করে কুমিল্লা সীমান্তের কাছে আগরতলার শ্রীমন্তপুর এলাকায় হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেন। তিনি কমান্ডিং অফিসার হলেও মূল কার্যক্রম পরিচালনা করতেন ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ।
-
১৯৭১ সালের মে মাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মোবিন ইংল্যান্ড থেকে এসে মেলাঘর হাসপাতালে যোগ দেন। সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দেন ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম।
-
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন পর্যন্ত ডা. আখতার, ডা. নাজিম, ডা. সিতারা এবং পরামর্শক ডা. মোবিন হাসপাতালের কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।
-
২ নম্বর সেক্টরের অধীন সাবসেক্টরগুলোতে ফার্স্ট এইডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধারা থাকতেন, যারা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতেন।

0
Updated: 22 hours ago
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
৭টি
B
৯টি
C
১১টি
D
১৩টি
মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ও ৬৪টি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে সেক্টরসমূহ:
-
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়।
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম–পার্বত্য চট্টগ্রাম; হেডকোয়ার্টার হরিনাতে; কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান ও মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নোয়াখালি; সদর মেলাঘর; কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও এ.টি.এম. হায়দার।
-
৩নং সেক্টর: সিলেট–শ্রীমঙ্গল এলাকা; কমান্ডার কে.এম. শফিউল্লাহ ও এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪নং সেক্টর: সিলেট সীমান্ত অঞ্চল; হেডকোয়ার্টার করিমগঞ্জ-মাসিমপুর; কমান্ডার সি.আর. দত্ত ও ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫নং সেক্টর: ডাউকি–দুর্গাপুর এলাকা; হেডকোয়ার্টার বাঁশতলা; কমান্ডার মীর শওকত আলী।
-
৬নং সেক্টর: রংপুর–ঠাকুরগাঁও অঞ্চল; কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭নং সেক্টর: রাজশাহী–বগুড়া এলাকা; কমান্ডার নাজমুল হক, এ. রব, কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮নং সেক্টর: কুষ্টিয়া–যশোর–খুলনা এলাকা; কমান্ডার আবু ওসমান ও এম.এ মঞ্জুর।
-
৯নং সেক্টর: বরিশাল–পটুয়াখালী–খুলনার অংশ; হেডকোয়ার্টার টাকি; কমান্ডার এম.এ জলিল, মঞ্জুর, জয়নাল আবেদীন।
-
১০নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো সেক্টর; নিয়মিত কমান্ডার ছিলেন না।
-
১১নং সেক্টর: ময়মনসিংহ এলাকা; কমান্ডার এম. আবু তাহের ও হামিদুল্লাহ।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago