Quantum Computing এর জনক কাকে মনে করা হয়?
A
David Deutsch
B
Richard Feynman
C
Paul Benloff
D
Alexei Kitaev
উত্তরের বিবরণ
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞান ও গাণিতিক সমস্যা সমাধানে এক বিপ্লবী ক্ষেত্র। এর ভিত্তি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নীতি যেমন superposition ও entanglement এর উপর স্থাপিত।
এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান রাখা প্রধান বিজ্ঞানীদের মধ্যে ডেভিড ডয়েচ, রিচার্ড ফেইনম্যান, পিটার শোর, ও লাভ গ্রোভার উল্লেখযোগ্য। এখানে তাদের অবদান ও প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো:
-
ডেভিড ডয়েচ (David Deutsch):
-
ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জনক হিসেবে পরিচিত।
-
১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম Quantum Turing Machine এবং universal quantum computer এর তাত্ত্বিক মডেল প্রস্তাব করেন।
-
তার কাজ প্রমাণ করে যে কোয়ান্টাম কম্পিউটার ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারের অসম্ভব সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে।
-
গণমাধ্যম ও রেফারেন্স গ্রন্থে তাকে প্রায়ই “Father of Quantum Computing” বলা হয়।
-
-
রিচার্ড ফেইনম্যান (Richard Feynman):
-
আমেরিকান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।
-
১৯৮১ সালে তিনি Simulating Physics with Computers এ কোয়ান্টাম সিস্টেমকে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে সিমুলেট করার ধারণা দেন।
-
ফেইনম্যান নোবেল পুরস্কার পান ১৯৬৫ সালে Quantum Electrodynamics (QED) তে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য।
-
তাকে অনেক লেখায় কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের পথপ্রদর্শক বলা হয়, তবে “জনক” হিসেবে ডয়েচকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
-
পিটার শোর (Peter Shor):
-
আমেরিকান গণিতবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
-
তার Shor’s Algorithm বড় সংখ্যার দ্রুত ফ্যাক্টরাইজেশন করতে সক্ষম।
-
এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং ক্রিপ্টোগ্রাফিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।
-
-
লাভ গ্রোভার (Lov Grover):
-
আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
-
তার Grover’s Algorithm ডাটাবেস অনুসন্ধানকে দ্রুততর করতে ব্যবহৃত হয়।
-
কোয়ান্টাম অ্যালগরিদমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
-
কোয়ান্টাম কম্পিউটার:
-
কোয়ান্টাম বিট বা Qubit ব্যবহার করে কাজ করে, যা একই সাথে 0 এবং 1 হতে পারে (superposition)।
-
এর মাধ্যমে একাধিক গাণিতিক সমস্যা একই সময়ে সমাধান করা সম্ভব।
-
ডয়েচ (১৯৮৫) কোয়ান্টাম লজিক গেটের ধারণা দেন।
-
শোর (১৯৯৪) কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম উদ্ভাবন করেন যা বড় সংখ্যাকে অল্প সময়ে ফ্যাক্টরাইজ করতে পারে।
-
-
কোয়ান্টাম কম্পিউটারের প্রধান পদ্ধতি:
-
NMR (Nuclear Magnetic Resonance): নিউক্লিয়াস স্পিন ব্যবহার করে।
-
Ion Trap: আয়নকে ট্র্যাপ করে লেজার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
-
Quantum Dots: ক্ষুদ্র অর্ধপরিবাহী অঞ্চলে ইলেকট্রনের স্পিন ব্যবহার করা হয়।
-
-
প্রধান কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম:
-
Shor’s Algorithm: বড় সংখ্যা ফ্যাক্টরাইজেশন করতে সক্ষম, যা আধুনিক ক্রিপ্টোগ্রাফিকে প্রভাবিত করে।
-
Grover’s Algorithm: দ্রুত ডাটাবেস অনুসন্ধান করতে সাহায্য করে।
-
-
ঐতিহাসিক তুলনা:
-
Richard Feynman প্রথমে ধারণা দেন।
-
David Deutsch প্রথম পূর্ণাঙ্গ universal quantum computer মডেল প্রস্তাব করেন।
-
Paul Benioff প্রথম কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেলে কম্পিউটার বর্ণনা করেন।
-
Alexei Kitaev টপোলজিক্যাল কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কিটায়েভ অ্যালগরিদমের জন্য বিখ্যাত।
-
0
Updated: 1 month ago
Time-shared OS-এর জন্য কোন sheduling policy সবচেয়ে ভাল?
Created: 2 months ago
A
First come first serve
B
Round-robin
C
Shortest job first
D
Last come first serve
Time-shared Operating System (OS)
টাইম শেয়ারিং হলো এক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, যেখানে একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারকে একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে ব্যবহার করতে পারে। প্রত্যেক ব্যবহারকারী মনে করে সে আলাদা কম্পিউটার ব্যবহার করছে, যদিও বাস্তবে সবার কাজ খুব অল্প সময়ের ভাগে ভাগ হয়ে প্রসেস করা হয়।
Round Robin Scheduling Policy
টাইম-শেয়ারড সিস্টেমে প্রসেস বা ব্যবহারকারীর কাজগুলোকে সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য Round Robin শিডিউলিং ব্যবহার করা হয়। এতে প্রতিটি প্রসেসকে নির্দিষ্ট সময় (time quantum) দেওয়া হয়। সময় শেষ হলে কাজটি সাময়িকভাবে থেমে গিয়ে অন্য প্রসেসকে সুযোগ দেওয়া হয়। এভাবে পালাক্রমে সবার কাজ এগোয়।
একইভাবে সার্ভার সিস্টেমেও রাউন্ড রবিন নীতি ব্যবহার করা যায়। যেমন— যদি একটি কোম্পানির একাধিক সার্ভার থাকে, তাহলে প্রথম ব্যবহারকারীকে প্রথম সার্ভারে, দ্বিতীয় ব্যবহারকারীকে দ্বিতীয় সার্ভারে পাঠানো হয়। এভাবে ঘুরে ঘুরে সবার মধ্যে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়।
তাই টাইম-শেয়ারড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য Round Robin scheduling-ই সবচেয়ে উপযোগী।
উৎস: Computerhope website
0
Updated: 2 months ago
এক মেশিন থেকে অন্য মেশিনে ই-মেইল মেসেজ স্থানান্তর করতে কোন TCP/IP প্রটোকল ব্যবহার হয়?
Created: 1 month ago
A
FTP
B
RPC
C
SNMP
D
SMTP
মেইল যোগাযোগ দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়: বাহিরে পাঠানো মেইল এবং গ্রহণকৃত মেইল। বাহিরে পাঠানো মেইলগুলোকে আউটগোয়িং মেইল বলা হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছে আসা মেইলগুলোকে ইনকামিং মেইল বলা হয়।
-
যে সকল মেইল বাহিরে পাঠানো হয়, সেগুলোকে আউটগোয়িং মেইল বলা হয়।
-
আউটগোয়িং মেইল পাঠানোর জন্য সাধারণত SMTP প্রটোকল ব্যবহার করা হয়।
-
SMTP এর পূর্ণরূপ হলো Simple Mail Transfer Protocol।
-
ব্যবহারকারী যে সকল মেইল গ্রহণ করে বা তার কাছে আসে, সেগুলোকে ইনকামিং মেইল বলা হয়।
-
সার্ভার থেকে ইনকামিং মেইল গ্রহণ করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রটোকল হলো POP3।
-
POP এর পূর্ণরূপ হলো Post Office Protocol
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন ডিভাইসটি ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে পরিবর্তনে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
Router
B
Switch
C
Modem
D
HUB
মডেম একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যা ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যাল বা অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যাল হিসেবে রূপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়। এটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদানে সহায়তা করে। মডেমের মূল দুটি অংশ রয়েছে:
-
মডুলেটর এবং ডিমডুলেটর।
-
মডুলেটর ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তর করে। এই প্রক্রিয়াটিকে মডুলেশন বলা হয়।
-
ডিমডুলেটর অ্যানালগ সংকেতকে পুনরায় ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর করে। এই প্রক্রিয়াটিকে ডিমডুলেশন বলা হয়।
-
মডেমের সাহায্যে কম্পিউটারগুলো সহজে এবং কার্যকরভাবে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।
0
Updated: 1 month ago