বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নিচের কোন ডিভাইসটি ব্যবহৃত হয়?
A
রাউটার
B
সুইচ
C
ব্রিজ
D
হাব
উত্তরের বিবরণ
রাউটার, সুইচ, হাব, ব্রিজ এবং গেটওয়ে হলো নেটওয়ার্কিং-এ ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। প্রতিটি ডিভাইসের আলাদা ভূমিকা রয়েছে এবং এগুলো নেটওয়ার্কে তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তোলে। নিচে এগুলোর কাজ এবং বৈশিষ্ট্য বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো।
• Router
-
বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহার হয়।
-
এটি ডেটা প্যাকেটের গতি ও পথ (path) নির্ধারণ করে।
-
IP address এর ভিত্তিতে ডেটা ট্রান্সমিশন করে।
-
ছোট ছোট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে।
-
ভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক যেমন Ethernet, Token Ring ইত্যাদি সংযুক্ত করতে পারে।
-
একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে কার্যকর।
• Switch
-
নেটওয়ার্কের ডেটা শুধু নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠায়, সবার মধ্যে নয়।
-
হাব এবং সুইচের কাজ প্রায় একই, তবে হাব একসাথে সব কম্পিউটারে ডেটা পাঠায়, সুইচ শুধুমাত্র target computer এ পাঠায়।
-
স্টার টপোলজিতে সুইচ একটি কেন্দ্রীয় কানেক্টিভ ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
• Hub
-
কম্পিউটারগুলিকে একসাথে যুক্ত করে।
-
মাল্টিপল পোর্ট থাকে, যেখানে একটি প্যাকেট এলে তা কপি করে সব পোর্টে পাঠায়।
-
স্টার টপোলজিতে কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
-
এর ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কতগুলো কম্পিউটার যুক্ত করা যাবে।
কার্যকারিতার ভিত্তিতে হাব দুই প্রকার—
১. Active Hub-
সংকেতকে amplify করে মান উন্নত করে।
-
কিছু ক্ষেত্রে সংকেতকে আংশিকভাবে process করে।
-
মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় অংশ প্রেরণ করে।
২. Passive Hub
-
শুধু তথ্য আদান-প্রদানে সহায়তা করে।
-
সংকেত amplify করে না, এজন্য Active Hub এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে।
-
• Bridge
-
একাধিক নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ভিন্ন কাঠামো বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, তবে ভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে না।
ব্রিজের প্রকারভেদ—
১. Local Bridge → সরাসরি LAN এর সাথে যুক্ত থাকে।
২. Remote Bridge → ভৌগোলিকভাবে আলাদা দুটি LAN সেগমেন্টকে সংযুক্ত করে।
৩. Wireless Bridge → একাধিক LAN যুক্ত করা বা LAN এর দূরবর্তী স্টেশনকে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
• Gateway
-
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহৃত হয়।
-
রাউটার একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, কিন্তু গেটওয়ে different protocols বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে।
-
ছোট ছোট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সহায়তা করে।

0
Updated: 1 day ago
একটি হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B-এর কী হবে?
Created: 2 weeks ago
A
একসাথে ডেটা পাঠাতে পারবে
B
B এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
C
A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
D
B স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে চলে যাবে
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেম
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে তথ্য আদানপ্রদান দুই দিকেই হয়, কিন্তু এক সময়ে কেবল একটি দিকেই ডেটা প্রেরণ সম্ভব। অর্থাৎ, একই মুহূর্তে দুইটি ডিভাইস একসাথে ডেটা প্রেরণ করতে পারে না। সুতরাং, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B কে অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না A-এর প্রেরণ সম্পন্ন হয়। এই কারণে, B-এর তথ্য প্রেরণ তখনই শুরু করা যায় যখন চ্যানেল খালি হয়। হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে এক সময়ে এক পক্ষই প্রেরণকারী এবং অন্য পক্ষ গ্রাহক থাকে, যা সম্পূর্ণ ডুপ্লেক্সের থেকে আলাদা। তাই সঠিক উত্তর হবে: গ) A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড
উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহের দিককে বিবেচনা করে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডাটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. সিমপ্লেক্স (Simplex)
-
শুধুমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণের মোড বা পদ্ধতিকে বলা হয় সিমপ্লেক্স।
-
এক্ষেত্রে গ্রাহক যন্ত্রটি কখনোই প্রেরক যন্ত্রটিতে ডাটা পাঠাতে পারে না।
-
উদাহরণ: রেডিও, টিভি, কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ।
২. হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)
-
হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে যে কোন প্রান্ত ডাটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না।
-
উদাহরণ: ওয়াকিটকি।
৩. ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)
-
ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডাটা প্ররণের ব্যবস্থা থাকে।
-
যে কোন প্রান্ত প্রয়োজনে ডাটা প্রেরণ করার সময় ডাটা গ্রহণ অথবা ডাটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে।
-
উদাহরণ: টেলিফোন, মোবাইল ফোন।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন ডিভাইসটি প্রধানত এম্বেডেড সিস্টেম ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 day ago
A
রাউটার
B
সুপার কম্পিউটার
C
হাই-অ্যান্ড সার্ভার
D
মাইক্রোকন্ট্রোলার
এম্বেডেড সিস্টেম সাধারণত মাইক্রোকন্ট্রোলারে ব্যবহৃত হয়। এটি হলো একটি special-purpose computer system যা নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য ডিজাইন করা হয়। মাইক্রোকন্ট্রোলার সাধারণত ছোট আকারের এবং একক চিপে প্রসেসর, মেমোরি ও ইনপুট/আউটপুট পেরিফেরাল নিয়ে গঠিত।
এগুলো ঘড়ি, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, সিকিউরিটি ডিভাইস এবং অন্যান্য ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, রাউটার, সুপার কম্পিউটার বা হাই-এন্ড সার্ভার মূলত general-purpose computing বা networking এর জন্য ব্যবহৃত হয় এবং সেগুলো এম্বেডেড সিস্টেম হিসেবে গণ্য হয় না।তাই এম্বেডেড অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে সঠিক উত্তর হলো মাইক্রোকন্ট্রোলার।
এম্বেডেড কম্পিউটার হলো একটি specialized computer system যা সাধারণত বৃহৎ সিস্টেম বা মেশিনের অংশ হিসেবে কাজ করে। এটি একটি মাইক্রোপ্রসেসর বোর্ড এবং নির্দিষ্ট প্রোগ্রামযুক্ত ROM (Read-Only Memory) নিয়ে গঠিত। আধুনিক এম্বেডেড সিস্টেমে মূলত মাইক্রোকন্ট্রোলার ব্যবহৃত হয়।
এম্বেডেড কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে:
-
গাড়ি
-
সেলফোন ও স্মার্টফোন
-
প্রিন্টার
-
মাইক্রোওয়েভ
-
ওয়াশিং মেশিন
-
এয়ার কন্ডিশনার (AC)
-
ঘড়ি
-
থার্মোস্ট্যাট
-
ভিডিও গেমস
-
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
-
ATM
-
সিকিউরিটি ক্যামেরা

0
Updated: 1 day ago
5G প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ডাটা ট্রান্সফার স্পিড (theoretical peak speed) কত?
Created: 4 days ago
A
5 Gbps
B
10 Gbps
C
20 Gbps
D
50 Gbps
5G নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি
-
সংজ্ঞা:
-
5G হলো পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি।
-
এটি উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সফার, কম ল্যাটেন্সি এবং একসাথে বহু ডিভাইস কানেক্ট করার ক্ষমতা প্রদান করে।
-
থিওরেটিক্যাল পিক স্পিড: ২০ Gbps (ডাউনলোড), ১০ Gbps (আপলোড)।
-
-
বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
4G-এর তুলনায় অনেক বেশি ডেটা ট্রান্সফার স্পিড।
-
ল্যাটেন্সি খুব কম, ফলে রিয়েল-টাইম এক্সপেরিয়েন্স উন্নত হয়।
-
IoT ডিভাইস ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকরী।
-
AI-ভিত্তিক স্মার্ট নেটওয়ার্ক পরিচালনার ক্ষমতা।
-
বহু ব্যবহারকারী একসাথে সংযুক্ত থাকতে সক্ষম।
-

0
Updated: 4 days ago