সম্প্রতি, কোন দেশের মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
A
রাশিয়া
B
ফ্রান্স
C
চীন
D
যুক্তরাষ্ট্র
উত্তরের বিবরণ
৮ আগস্ট, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটায়।
-
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান।
-
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন যে এই চুক্তি শুধু সংঘাতের অবসানই ঘটাবে না, বরং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতা গড়ে তুলবে।
-
শান্তিচুক্তির পাশাপাশি করিডোর, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক পৃথক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে।
-
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বিবাদে লিপ্ত ছিল।
-
নাগোরনো-কারাবাখ ভৌগোলিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হলেও ১৯৯৪ সালের যুদ্ধের পর থেকে এটি আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
-
অঞ্চলটির দখল নিয়ে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটে এবং উভয় দেশ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
-
২০২৩ সালে আজারবাইজান পুনরায় ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা আর্মেনিয়ার সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
-
এই শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সীমান্তে স্থায়ী শান্তি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
-
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই চুক্তি দক্ষিণ ককেশাসকে বাণিজ্য ও জ্বালানি করিডোরের কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত করতে সহায়ক হবে।

0
Updated: 1 day ago
বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০২৫ অনুযায়ী, বিনিয়োগে শীর্ষ দেশ কোনটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 day ago
A
চীন
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
জাপান
D
লুক্সেমবার্গ
World Investment Report 2025 জুন ২০২৫ সালে প্রকাশ করেছে UN Trade and Development (UNCTAD)। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রবাহ ও দেশভিত্তিক অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
-
বিনিয়োগে শীর্ষ ৫ দেশ হলো:
১. যুক্তরাষ্ট্র – ২,৬৬,৩৬৭ মিলিয়ন ডলার
২. জাপান – ২,০৪,৩৮০ মিলিয়ন ডলার
৩. চীন – ১,৬২,৭৮০ মিলিয়ন ডলার
৪. লুক্সেমবার্গ – ১,০৮,৫৯৮ মিলিয়ন ডলার
৫. হংকং – ৮৭,২৪৭ মিলিয়ন ডলার -
বৈশ্বিক বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।
-
জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পেছনে প্রধানত প্রযুক্তি খাত ও বৈদেশিক সম্পদে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
-
চীন এখনো এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তার প্রবৃদ্ধিকে কিছুটা প্রভাবিত করেছে।
-
লুক্সেমবার্গ একটি বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে কর-সুবিধা ও বহুজাতিক কোম্পানির সদরদপ্তর থাকার কারণে বিনিয়োগে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে।
-
হংকংয়ের অবস্থান এশিয়ার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সংযোগস্থল হিসেবে তার গুরুত্বকে প্রতিফলিত করছে।
-
সামগ্রিকভাবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক বিনিয়োগে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হার বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে, তবে প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের প্রবণতা ইতিবাচক।

0
Updated: 1 day ago
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের মেয়াদ -
Created: 2 weeks ago
A
৩ বছর
B
৪ বছর
C
৫ বছর
D
৬ বছর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আইনসভা হলো কংগ্রেস, যার প্রধান দায়িত্ব আইন প্রণয়ন। এটি একটি দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, যেখানে নিম্নকক্ষ হলো প্রতিনিধি সভা (The House of Representatives) এবং উচ্চকক্ষ হলো সিনেট (The Senate)।
-
নিম্নকক্ষ (প্রতিনিধি সভা / হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস)
-
আসন সংখ্যা: ৪৩৫টি
-
সদস্যদের মেয়াদ: ২ বছর
-
প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা: বয়স ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হবে
-
-
উচ্চকক্ষ (সিনেট)
-
আসন সংখ্যা: ১০০টি
-
সদস্যদের মেয়াদ: ৬ বছর
-
প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা: বয়স ন্যূনতম ৩০ বছর হতে হবে
-
-
যুক্তরাষ্ট্রীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী নিম্নকক্ষ বা হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস মার্কিন জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ হিসেবে বিবেচিত, আর উচ্চকক্ষ বা সিনেট অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ
-
কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সদস্যরা জনগণের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হন
-
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি—এই দুই দলের প্রাধান্য বিদ্যমান
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 2 weeks ago
মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় কে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন?
Created: 4 weeks ago
A
ইউলিসিস এস. গ্রান্ট
B
জন টাইলার
C
আব্রাহাম লিংকন
D
টমাস জেফারসন
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আব্রাহাম লিংকন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সাম্রাজ্যের পতন
মার্কিন গৃহযুদ্ধ (American Civil War)
-
সংজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের ১১টি রাজ্য ও বাকি যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ ইতিহাসে "আমেরিকার গৃহযুদ্ধ" নামে পরিচিত।
-
সময়কাল: ১২ এপ্রিল, ১৮৬১ – ২৬ মে, ১৮৬৫ (মোট প্রায় ৪ বছর)।
-
রাষ্ট্রপতি: আব্রাহাম লিংকন (১৬তম রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বকাল: ১৮৬১ – ১৮৬৫, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত)।
যুদ্ধের মূল কারণ
-
দাসপ্রথা নিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে তীব্র মতবিরোধ।
-
উত্তরাঞ্চল: দাসপ্রথা বিলোপের পক্ষে।
-
দক্ষিণাঞ্চল: অর্থনীতির জন্য দাসপ্রথার উপর নির্ভরশীল।
-
১৮৬০ সালে দাসপ্রথাবিরোধী রিপাবলিকান নেতা আব্রাহাম লিংকনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দক্ষিণের ১১টি রাজ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
-
প্রশ্ন ছিল—দক্ষিণাঞ্চল কি স্বাধীনভাবে দাসপ্রথা চালিয়ে যেতে পারবে, নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি মানতে বাধ্য হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
১৮৬১: সাউথ ক্যারোলিনার ফোর্ট সামটার (Fort Sumter) আক্রমণের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের সূচনা।
-
১৮৬৩: আব্রাহাম লিংকনের Emancipation Proclamation—কনফেডারেট রাজ্যগুলোতে দাসদের মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর ফলে যুদ্ধের লক্ষ্য দাসপ্রথা বিলোপের দিকে মোড় নেয়।
-
১৮৬৫ (এপ্রিল): ভার্জিনিয়ার Appomattox Court House-এ কনফেডারেট জেনারেল রবার্ট ই. লি ইউনিয়ন জেনারেল ইউলিসিস এস. গ্রান্টের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে যুদ্ধ কার্যত সমাপ্ত হয়।
উৎস:
i) Encyclopaedia Britannica
ii) BBC

0
Updated: 4 weeks ago