দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করে কোনটি?
A
মনোসাইট
B
বেসোফিল
C
নিউট্রাফিল
D
লিম্ফোসাইট
উত্তরের বিবরণ
অ্যাগ্রানুলোসাইট হলো এমন শ্বেত রক্তকোষ যার সাইটোপ্লাজম দানাহীন ও স্বচ্ছ। এগুলো মূলত দুই ধরনের: লিম্ফোসাইট এবং মনোসাইট। দেহের লিম্ফনোড, টনসিল, প্লিহা ইত্যাদি অংশে এই কোষগুলো তৈরি হয়।
-
লিম্ফোসাইট:
-
ছোট কোষ যার বড় নিউক্লিয়াস থাকে।
-
অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং এই অ্যান্টিবডির মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করা রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
-
দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
-
মনোসাইট:
-
বড় রক্তকোষ যার ডিম্বাকার বা বৃক্কাকার নিউক্লিয়াস থাকে।
-
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
-
0
Updated: 1 month ago
ABG analysis করার জন্য Blood সংগ্রহ কোথা থেকে করা হয়?
Created: 1 week ago
A
Cephalic Vein
B
Femoral Vein
C
Artery
D
Capillary
ABG বা Arterial Blood Gas analysis হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যার মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন (O₂), কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂), এবং পিএইচ (pH) এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এটি মূলত শ্বাসপ্রশ্বাস এবং বিপাকীয় অবস্থার কার্যকারিতা বোঝার জন্য করা হয়। এই পরীক্ষার জন্য রক্ত অবশ্যই ধমনী (Artery) থেকে সংগ্রহ করতে হয়, কারণ ধমনী রক্তে গ্যাসের ঘনত্ব সবচেয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
Artery থেকে রক্ত সংগ্রহের কারণ: ধমনীর রক্ত অক্সিজেনে সমৃদ্ধ এবং এটি শরীরের টিস্যুগুলিতে সরাসরি অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে, অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ নির্ণয় করতে ধমনীর রক্তই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নমুনা। শিরার (Vein) রক্তে এই গ্যাসগুলোর মাত্রা পরিবর্তিত থাকে, তাই সেগুলো ব্যবহার করা যায় না।
-
রক্ত সংগ্রহের স্থান: সাধারণত তিনটি ধমনী ব্যবহৃত হয়—Radial artery (হাতে কব্জির কাছে), Brachial artery (বাহুর ভেতরের দিকে) এবং Femoral artery (উরুর গোড়ায়)। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় Radial artery, কারণ এটি সহজলভ্য, রক্তপ্রবাহ ভালো থাকে এবং এতে জটিলতার আশঙ্কা কম।
-
নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি: রোগীর হাত সামান্য প্রসারিত করে নির্দিষ্ট স্থানে জীবাণুমুক্ত সুচ প্রবেশ করিয়ে রক্ত নেওয়া হয়। এই সময় সাধারণত Heparinized syringe ব্যবহার করা হয় যাতে রক্ত জমাট না বাঁধে। নমুনা সংগ্রহের পর সঙ্গে সঙ্গে তা বরফে রাখা হয় এবং যত দ্রুত সম্ভব ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।
-
ABG পরীক্ষার উদ্দেশ্য: এই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকরা জানতে পারেন—
-
রক্তে pH মান স্বাভাবিক আছে কিনা (৭.৩৫–৭.৪৫)।
-
PaO₂ (partial pressure of oxygen) এবং PaCO₂ (partial pressure of carbon dioxide) এর মাত্রা স্বাভাবিক আছে কিনা।
-
রোগী Respiratory acidosis, Respiratory alkalosis, Metabolic acidosis বা Metabolic alkalosis অবস্থায় আছে কিনা।
-
-
Cephalic vein, Femoral vein বা Capillary থেকে রক্ত সংগ্রহ সাধারণত ABG পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ সেসব রক্তে গ্যাসের মান পরিবর্তিত থাকে। তবে নবজাতক বা শিশুদের ক্ষেত্রে কখনও কখনও Capillary blood ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু তা ধমনীর রক্তের বিকল্প নয়।
-
সতর্কতা ও ঝুঁকি: ধমনীর রক্ত নেওয়ার সময় ব্যথা, হালকা রক্তপাত বা স্থানীয় ফোলা দেখা দিতে পারে। তবে অভিজ্ঞ হাতে এটি খুবই নিরাপদ প্রক্রিয়া। বিশেষ ক্ষেত্রে Allen’s test করা হয় যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় ধমনীর পাশের অন্য রক্তনালী ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা।
সব মিলিয়ে, ABG analysis করার জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে হয় Artery থেকে, কারণ এ রক্তই শরীরের গ্যাস বিনিময়ের সঠিক অবস্থা প্রতিফলিত করে এবং রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যার সঠিক মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 week ago
তীব্র শ্বাসকষ্টের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা কি?
Created: 1 week ago
A
Supine position ও Oxygen
B
Recumbent position
C
Prop up position ও Oxygen
D
I. V. Fluid
তীব্র শ্বাসকষ্ট বা Acute Dyspnea এমন এক অবস্থা যেখানে রোগী হঠাৎ করে শ্বাস নিতে গুরুতর কষ্ট অনুভব করে। এটি ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, অথবা শ্বাসনালী সম্পর্কিত বিভিন্ন জটিল কারণে হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, কারণ বিলম্ব ঘটলে অক্সিজেনের ঘাটতিতে মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সঠিক তাৎক্ষণিক চিকিৎসা হলো Supine position ও Oxygen প্রদান।
এই চিকিৎসার কারণ ও পদ্ধতি বোঝার জন্য নিচের তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ—
• Supine position বলতে বোঝায় রোগীকে পিঠের ওপর সোজা করে শোয়ানো। এই অবস্থায় বুকের পেশিগুলো ঢিলে থাকে, ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বায়ুপ্রবাহ সহজ হয়। বিশেষ করে যখন রোগী দুর্বল থাকে বা দাঁড়াতে অক্ষম, তখন এই অবস্থান খুব কার্যকর।
• এই অবস্থায় রোগীর শরীরের রক্ত চলাচল সমানভাবে হয় এবং হৃদপিণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ কমে। ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কিছুটা উন্নত হয়, যা শ্বাস নিতে সহায়তা করে।
• Oxygen Therapy হলো তীব্র শ্বাসকষ্টের সময় সবচেয়ে তাৎক্ষণিক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করা যায় এবং টিস্যুগুলোর কার্যকারিতা বজায় থাকে। সাধারণত ২–৪ লিটার/মিনিট হারে ন্যাজাল প্রঙ বা মাস্কের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হয়।
• রোগীর শ্বাসের গতি, স্যাচুরেশন লেভেল ও চেতনা পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। প্রয়োজনে Pulse Oximeter দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয় যাতে বোঝা যায় অক্সিজেন পর্যাপ্তভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা।
• অনেক সময় তীব্র শ্বাসকষ্টের পেছনে অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, কার্ডিয়াক ফেলিওর বা COPD থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে মূল কারণ নির্ণয় করে পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হয়, তবে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে Supine position ও Oxygen দেওয়াই জীবনরক্ষাকারী।
• যদি দেখা যায় রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস আরও খারাপ হচ্ছে বা স্যাচুরেশন ৯০%-এর নিচে নেমে যাচ্ছে, তবে দ্রুত হাসপাতাল পরিবহন ও জরুরি চিকিৎসা দরকার।
• অন্য বিকল্পগুলো কেন ভুল:
-
Recumbent position সাধারণ বিশ্রামের জন্য উপযুক্ত, কিন্তু শ্বাসকষ্টে এই অবস্থায় ফুসফুসের চাপ বেড়ে যায়।
-
Prop up position ও Oxygen অনেক সময় হৃদযন্ত্রজনিত কেসে কাজে আসে, তবে তা তীব্র শ্বাসকষ্টের সাধারণ ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ নয়।
-
I.V. Fluid শ্বাসকষ্টের তাৎক্ষণিক সমাধান নয়; বরং কিছু ক্ষেত্রে এটি ফুসফুসে তরল জমিয়ে অবস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে।
সব মিলিয়ে, তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে রোগীকে Supine position-এ শুইয়ে সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন দেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসকে সহজ করে, অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং রোগীর প্রাণরক্ষা করতে সহায়তা করে।
0
Updated: 1 week ago
হৃৎপিন্ডের জন্মগত ত্রুটি কোনটি?
Created: 1 week ago
A
Acromegaly
B
Hepatitis
C
Ventricular Septal Defect
D
Appendicitis
হৃৎপিণ্ড মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি যা রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। কখনও কখনও জন্মের সময়ই হৃদযন্ত্রের কিছু কাঠামোগত ত্রুটি দেখা যায়, যাকে জন্মগত হৃদরোগ (Congenital Heart Disease) বলা হয়। এর মধ্যে Ventricular Septal Defect (VSD) সবচেয়ে সাধারণ একটি ত্রুটি, যা হৃদপিণ্ডের দুই নিলয়ের (ventricle) মাঝের প্রাচীর বা সেপটামে ছিদ্র হওয়ার কারণে ঘটে।
• Ventricular Septal Defect (VSD) হলো এমন একটি জন্মগত ত্রুটি যেখানে বাম ও ডান নিলয়ের মাঝখানে একটি ছোট বা বড় ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রের মাধ্যমে অক্সিজেনসমৃদ্ধ ও অক্সিজেনবিহীন রক্ত মিশে যায়, ফলে রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়।
• এ অবস্থায় হৃদপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট, দ্রুত ক্লান্তি ও ওজন না বাড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• এই ত্রুটি সাধারণত জন্মের পর শিশুর মধ্যে ধরা পড়ে এবং কখনও কখনও ছোট ছিদ্র স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে যায়, তবে বড় ছিদ্র থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
• VSD-এর কারণ মূলত জেনেটিক বা বংশগত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় মায়ের সংক্রমণ, ড্রাগ, অ্যালকোহল বা ডায়াবেটিসও এর ঝুঁকি বাড়ায়।
• চিকিৎসা নির্ভর করে ছিদ্রের আকার ও অবস্থার উপর। ছোট ছিদ্রগুলো ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, কিন্তু বড় ছিদ্রের ক্ষেত্রে সার্জারি প্রয়োজন হয়।
• সময়মতো চিকিৎসা না করলে এই ত্রুটি হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা (heart failure) বা পালমোনারি হাইপারটেনশন-এর মতো গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
অন্য বিকল্পগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা যায়—
• Acromegaly হলো এক ধরনের হরমোনজনিত রোগ, যা পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত গ্রোথ হরমোন নিঃসরণের ফলে হয়। এতে হাড় ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। এটি জন্মগত নয়, বরং পরবর্তীতে ঘটে।
• Hepatitis মানে হলো যকৃতের প্রদাহ, যা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। এটি লিভারের রোগ, হৃদযন্ত্রের নয়।
• Appendicitis হলো অ্যাপেনডিক্স নামক ছোট অঙ্গের প্রদাহ, যা পেটের ডানদিকের নিচে অবস্থান করে। এটি হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং জন্মগতও নয়।
সবদিক বিচার করলে স্পষ্ট হয় যে, একমাত্র Ventricular Septal Defect-ই জন্মগত হৃৎপিণ্ডের ত্রুটি। এটি শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় সম্ভব।
0
Updated: 1 week ago