প্রতিধ্বনি শোনার জন্য মূল শব্দ এবং প্রতিধ্বনির মধ্যে ন্যূনতম সময় ব্যবধান কত হতে হবে?
A
0.05 সেকেন্ড
B
1.0 সেকেন্ড
C
0.01 সেকেন্ড
D
0.1 সেকেন্ড
উত্তরের বিবরণ
শব্দ হলো এমন একটি কম্পন যা শোনার মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কে প্রতিফলিত হয়। কোন শব্দ শোনার পর প্রায় 0.1 সেকেন্ড পর্যন্ত তার রেশ মস্তিষ্কে থাকে, এবং এই সময়কে শব্দানুভূতির স্থায়িত্বকাল বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে প্রতিধ্বনি ঘটলে তা শোনা যাবে না। প্রতিধ্বনি শোনার জন্য মূল শব্দ এবং প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যে সময়ের পার্থক্য 0.1 সেকেন্ড বা তার বেশি হতে হবে। এর ফলে প্রতিফলক এবং শব্দ উৎসের মধ্যে দূরত্ব এমন হতে হবে যেন শব্দ তরঙ্গ উৎসের কাছে ফিরে আসতে কমপক্ষে 0.1 সেকেন্ড সময় নেয়।
-
বাতাসে শব্দের দ্রুতি তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তিত হয়।
-
0°C (273 K) তাপমাত্রায় শব্দের দ্রুতি 332 মি/সেকেন্ড।
-
0°C তাপমাত্রায় প্রতিফলিত শব্দ শোনার জন্য শব্দ উৎস এবং প্রতিফলকের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব 16.6 মিটার হতে হবে।
-
তাপমাত্রা বাড়লে প্রতি ডিগ্রির জন্য ন্যূনতম দূরত্ব 0.3 মিটার বৃদ্ধি পায়।
-
তাই প্রতিধ্বনি শোনার শর্ত হলো শ্রোতা বা শব্দ উৎস এবং প্রতিফলকের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখা, যা 0°C তাপমাত্রায় 16.6 মিটার।
0
Updated: 1 month ago
লেন্সের ক্ষমতার একক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জুল
B
ডায়াপ্টার
C
ওয়াট
D
মিটার
লেন্স হলো দুটি গোলাকার পৃষ্ঠ দ্বারা আবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ সমসত্ত্ব প্রতিসারক মাধ্যম। এটি সাধারণত কাচ দিয়ে তৈরি হয়, তবে কোয়ার্টজ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়েও লেন্স তৈরি করা যায়।
-
লেন্স প্রধানত দুটি প্রকারের হয়:
-
উত্তল বা অভিসারী লেন্স (Convex Lens)
-
অবতল বা অপসারী লেন্স (Concave Lens)
-
লেন্সের ক্ষমতা:
-
লেন্সের ক্ষমতা P দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং এর একক হলো ডায়াপ্টার (D)।
-
লেন্সের ক্ষমতা নির্ণয় করতে দূরত্বকে মিটারে প্রকাশ করে তার বিপরীত রাশি নেওয়া হয়।
-
লেন্সের ক্ষমতা ধণাত্মক বা ঋণাত্মক হতে পারে।
-
ক্ষমতা ধণাত্মক হলে লেন্সটি উত্তল, এবং ক্ষমতা ঋণাত্মক হলে লেন্সটি অবতল।
0
Updated: 1 month ago
স্থির তরঙ্গ সাধারণত কোন বাদ্যযন্ত্রের তারে দেখা যায়?
Created: 1 month ago
A
গীটার
B
ড্রাম
C
বাঁশি
D
তবলা
স্থির তরঙ্গ হলো সেই তরঙ্গ যা দুইটি একই রকম অগ্রগামী তরঙ্গ বিপরীত দিক থেকে একে অপরের উপর আপতিত হলে উদ্ভব হয়। এই তরঙ্গ কোনো দড়ি বা তারের উপর উৎপন্ন হলে তা বেয়ে অগ্রসর না হয়ে তার বা দড়ির নির্দিষ্ট অংশে উৎপন্ন ও লুপ্ত হয়। স্থির তরঙ্গের সময় কোনো বিন্দুতে স্পন্দন থাকে না এবং অন্য কোনো বিন্দুতে সর্বাধিক স্পন্দন দেখা যায়।
-
দুটি একই রকম অগ্রগামী তরঙ্গ বিপরীত দিক থেকে একে অপরের উপর আপতিত হলে স্থির তরঙ্গ উৎপন্ন হয়।
-
একটি তার বা মোটা দড়ির এক প্রান্ত দৃঢ় অবলম্বনে বেঁধে অন্য প্রান্ত ধরে দোলালে তরঙ্গ অগ্রসর হয় এবং প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে। এই প্রতিফলিত তরঙ্গ যখন নতুন অগ্রগামী তরঙ্গের উপর আপতিত হয়, স্থির তরঙ্গ উদ্ভব হয়।
-
স্থির তরঙ্গ তার বা দড়ি বেয়ে অগ্রসর না হয়ে নির্দিষ্ট অংশে উৎপন্ন ও লুপ্ত হয়।
-
কোনো বিন্দুতে স্পন্দন না থাকলে তা নিস্পন্দ বিন্দু (Node), এবং কোনো বিন্দুতে সর্বাধিক স্পন্দন থাকলে তা সুস্পন্দ বিন্দু (Antinode) বলা হয়।
-
নিস্পন্দ ও সুস্পন্দ বিন্দুগুলোর অবস্থান সব সময় স্থির থাকে।
-
পরপর দুটো সুস্পন্দ বিন্দু বা দুটো নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অর্ধেক হয়।
-
গীটার, একতারা, সেতার ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের তারে স্থির তরঙ্গ উৎপন্ন হয়।
0
Updated: 1 month ago
অবতল লেন্স কী?
Created: 1 month ago
A
যে লেন্স আলো শোষণ করে
B
যে লেন্স আলো প্রতিফলিত করে
C
যে লেন্স আলোক রশ্মিকে অপসারিত করে
D
যে লেন্স আলোক রশ্মিকে এক বিন্দুতে মিলিত করে
লেন্স হলো এমন একটি স্বচ্ছ প্রতিসারক আলোক মাধ্যম যা দুটি গোলকীয় অথবা একটি গোলকীয় ও একটি সমতল পৃষ্ঠ দ্বারা আবদ্ধ থাকে। লেন্স প্রধানত দুই প্রকার—অভিসারী বা উত্তল লেন্স এবং অপসারী বা অবতল লেন্স।
অভিসারী বা উত্তল লেন্স:
যে লেন্সের মধ্য দিয়ে আলোক রশ্মি প্রতিসরিত হয়ে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে মিলিত হয় তাকে অভিসারী লেন্স বলা হয়।
উত্তল লেন্সের ব্যবহার:
-
আতশী কাঁচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
সূর্যালোককে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করে আগুন জ্বালাতে ব্যবহৃত হয়।
-
চশমা, ক্যামেরা, বিবর্ধক কাঁচ, অণুবীক্ষণ যন্ত্র ও দূরবীক্ষণ যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
অপসারী বা অবতল লেন্স:
যে লেন্সের মধ্য দিয়ে আলোক রশ্মি প্রতিসরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তাকে অপসারী লেন্স বলে।
অবতল লেন্সের ব্যবহার:
-
দৃষ্টিশক্তি সংশোধনের জন্য চশমায় ব্যবহৃত হয়।
-
গ্যালিলিওর দূরবীক্ষণ যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago