A
আওরঙ্গজেবের কন্যা
B
শায়েস্তা খানের কন্যা
C
মুর্শিদকুলি খানের স্ত্রী
D
আজিমুসশানের মাতা
উত্তরের বিবরণ
বিবি পরী
বিবি পরী ছিলেন বাংলার বিখ্যাত মোগল সুবাহদার শায়েস্তা খানের কন্যা। তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মুহম্মদ আজমের স্ত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের কাটরার ওয়াকফ পরিদপ্তরের সংরক্ষিত শায়েস্তা খানের ব্যক্তিগত অছিয়তনামার ভিত্তিতে পরী বিবিকে তাঁর কন্যা হিসেবে নিশ্চিত করা যায়।
১৬৬৮ সালের ৩ মে, এক লক্ষ আশি হাজার টাকার দেনমোহর নির্ধারণের মাধ্যমে বিবি পরীর বিয়ে শাহজাদা আজমের সঙ্গে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর তিনি ঢাকায় আজমের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন।
শাহজাদা আজম ১৬৭৮ সালে লালবাগ দুর্গ নির্মাণ কাজ শুরু করলে তা শায়েস্তা খান তাঁর দ্বিতীয় দফা সুবাহদার থাকাকালীন (১৬৭৯-১৬৮৮) অব্যাহত রাখেন।
তবে ১৬৮৪ সালে বিবি পরীর মৃত্যুতে শায়েস্তা খান দুর্গের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন, কারণ তিনি তা অশুভ সংকেত হিসেবে দেখেন।
দুর্গের ভিতরে মসজিদের পূর্ব পাশে বিবি পরীর সমাধি নির্মিত হয় এবং শায়েস্তা খান তাঁর কন্যার সমাধির উপর একটি মনোমুগ্ধকর সৌধ গড়ে তোলেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের কোন স্থপতি সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন?
Created: 1 week ago
A
হামিদুর রহমান
B
ফজলুর রহমান খান
C
নভেরা আহমদ
D
জুলফিকার আলী খান
ফজলুর রহমান খান আন্তর্জাতিক মঞ্চে সর্বোচ্চ সম্মান ও পুরস্কারের মাধ্যমে সমাদৃত একজন বিশ্বখ্যাত স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার।
-
তিনি ১৯২৯ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তার অবদান যুগান্তকারী।
-
১৯৭২ সালে আমেরিকার আরবানার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যালুমনি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
-
১৯৭৩ সালে নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব সায়েন্স প্রদান করে।
-
১৯৮০ সালে লেহাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সম্মানে ভূষিত হন।
১৯৭৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ইতিহাসে একজন ইঞ্জিনিয়ারের জন্য প্রদেয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হন।
ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ রেকর্ডসের বরাত দিয়ে বলা যায়, ফজলুর রহমান খান পাঁচবার (১৯৬৫, ১৯৬৮, ১৯৭০, ১৯৭১ ও ১৯৭৯ সালে) ‘ম্যান হু সার্ভড দি বেষ্ট ইন্টারেস্ট অব দি কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি’ তালিকায় নাম রেখেছেন।
১৯৭২ সালে তিনি ‘কন্সট্রাকশনস ম্যান অব দি ইয়ার’ উপাধিও লাভ করেন।
১৯৮৩ সালে আমেরিকার আমেরিকান ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস তাঁকে অসাধারণ অবদানের জন্য এআইএ ইন্সটিটিউট সম্মাননা প্রদান করে। একই বছর মুসলিম স্থাপত্যের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিতে ‘আগা খান’ পুরস্কারে ভূষিত হন, যা তাঁর ডিজাইন করা জেদ্দার হাজী টার্মিনালের জন্য প্রদান করা হয়।
১৯৮৭ সালে ইলিনয়ের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে মরণোত্তর ‘জন পারমার’ সম্মানে ভূষিত করে এবং সিয়ার্স টাওয়ারের লবিতে স্পেনীয় ভাস্কর কার্লোস ম্যারিনাসের নির্মিত তাঁর ভাস্কর্য স্থাপন করে।
বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৯ সালে তাকে মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করে এবং স্মরণস্বরূপ তাঁর সম্মানার্থে একটি বিশেষ ডাকটিকিটও প্রকাশ করে।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago