নিম্নের কোনটি উঁচু উচ্চতার মেঘ?
A
কিউম্যুলাস
B
নিম্বাস
C
স্ট্রেটাস
D
সিরাস
উত্তরের বিবরণ
মেঘের শ্রেণিবিভাগ: উচ্চতার ভিত্তিতে তিনটি প্রধান স্তর
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার তারতম্যের উপর ভিত্তি করে মেঘকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণিবিভাগ মেঘের গঠন, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস বুঝতে সহায়ক।
উঁচু উচ্চতার মেঘ: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬,০০০ মিটার বা তারও বেশি উচ্চতায় এই মেঘগুলো অবস্থান করে। এগুলো সাধারণত বরফ কণা দ্বারা গঠিত হয় এবং দেখতে পাতলা ও সাদা হয়। উঁচু উচ্চতার মেঘের প্রধান প্রকারগুলি হলো:
- সিরাস (Cirrus)
- সিরোকিউম্যুলাস (Cirrocumulus)
- সিরোস্ট্রেটাস (Cirrostratus)
মাঝারি উচ্চতার মেঘ: এই মেঘগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটার থেকে ৬,০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে দেখা যায়। এগুলো জলীয় বাষ্প বা বরফ কণা দ্বারা গঠিত হতে পারে এবং এদের বিভিন্ন রূপ দেখা যায়। মাঝারি উচ্চতার মেঘের কয়েকটি উদাহরণ হলো:
- অল্টোস্ট্রেটাস (Altostratus)
- কিউম্যুলাসস্ট্রেটাস (Stratocumulus - এটি সাধারণত নিম্ন উচ্চতার মেঘ হলেও, কিছু ক্ষেত্রে মাঝারি উচ্চতায়ও দেখা যেতে পারে)
- নিম্বোস্ট্রেটাস (Nimbostratus)
নিম্ন উচ্চতার মেঘসমূহ: এই মেঘগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে অবস্থান করে। এগুলো সাধারণত জলীয় বাষ্প দ্বারা গঠিত এবং এদের মধ্যে অনেকগুলোই বৃষ্টিপাত ঘটায়। নিম্ন উচ্চতার মেঘের প্রকারভেদগুলো হলো:
- স্ট্রেটাস (Stratus)
- স্ট্রেটোকিউম্যুলাস (Stratocumulus)
- কিউম্যুলাস (Cumulus)
- কিউম্যুলোনিম্বাস (Cumulonimbus) - যা বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে সক্ষম।
এই শ্রেণিবিভাগ আবহাওয়াবিদদের মেঘ পর্যবেক্ষণ এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো প্রদান করে।
0
Updated: 1 month ago
পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়জাত ভূমির আকৃতি কেমন থাকে?
Created: 1 month ago
A
নদীর বাঁক
B
ভি আকৃতি
C
গিরিসংকট
D
ডি আকৃতি
নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপ (Erosional Features of River)
নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন নতুন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্য সবচেয়ে বেশি ঘটে।
১. ভি-আকৃতি উপত্যকা (V-shaped Valley)
-
অবস্থান: পার্বত্য অঞ্চল
-
সৃষ্টি প্রক্রিয়া:
-
পার্বত্য অঞ্চলের শিলা কঠিন হওয়ায় নদীর স্রোতের গতিবেগ বেশি থাকে।
-
নদী মূলত তলদেশে বেশি ক্ষয় সাধন করে, পার্শ্ব ক্ষয় তুলনামূলকভাবে কম হয়।
-
নদীর মধ্যভাগ ক্রমশ ক্ষয়িত হয়ে ভি-আকৃতির রূপ ধারণ করে, যেমন ইংরেজি অক্ষর ‘V’।
-
-
বিস্তার:
-
সময়ের সঙ্গে পার্শ্ব ক্ষয় বৃদ্ধি পেলে উপত্যকাটি ধীরে ধীরে প্রশস্ত হয়।
-
এই প্রক্রিয়াটি প্রধানত উচ্চপথীয় নদী এবং পর্বতাঞ্চলে দেখা যায়।
0
Updated: 1 month ago
GIS-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 month ago
A
Geographical Identification System
B
Geographical Information System
C
Geographical Interchange System
D
Geographical Infographical System
জিআইএস হলো এমন একটি কম্পিউটার-ভিত্তিক ব্যবস্থা যা ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি স্থানিক তথ্যের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে।
-
জিআইএস (Geographical Information System) হলো ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত রূপ।
-
এটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানিক এবং পারস্পরিক সমস্যা চিহ্নিত করতে সহায়ক।
-
১৯৬৪ সালে কানাডায় প্রথমবার এই কৌশলটি ব্যবহার শুরু হয়।
-
১৯৮০-এর দশক থেকে বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে শুরু করে।
-
জিআইএস বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন:
-
ভূমি ব্যবস্থাপনা
-
প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন
-
পানি গবেষণা
-
আঞ্চলিক গবেষণা
-
নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা
-
জনসংখ্যা বিশ্লেষণ
-
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশ্লেষণ
-
জিআইএসের মাধ্যমে স্থানিক তথ্যের দৃশ্যমানীকরণ, সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করা সম্ভব হয়। এটি আধুনিক পরিকল্পনা, গবেষণা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি মিঠাপানির জলমগ্ন বনভূমি?
Created: 1 month ago
A
সুন্দরবন
B
রাতারগুল
C
শালবন
D
কোনটি নয়
জলাবন বা জলমগ্ন বনভূমি এমন এক বিশেষ ধরনের বনভূমি যেখানে বছরের অধিকাংশ সময় পানি জমে থাকে এবং উদ্ভিদ সেই জলমগ্ন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়। বাংলাদেশে এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো রাতারগুল বনভূমি।
-
বাংলাদেশের মিঠাপানির একমাত্র জলাবন বা জলমগ্ন বনভূমি হলো রাতারগুল বনভূমি।
-
এটি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত এবং একে বাংলার আমাজন বলা হয়।
-
রাতারগুলের মোট আয়তন প্রায় ২০৫ হেক্টর।
-
এ বনের প্রধান উদ্ভিদ হলো হিজল, করচ, বরুন ও মুর্তা।
-
শীতকাল ব্যতীত বছরের অন্যান্য সময় বনটি পানিতে নিমজ্জিত থাকে।
-
মুর্তা বা রাতা উদ্ভিদের আধিক্যের কারণে এ বনকে রাতারগুল বলা হয়।
অন্যদিকে,
-
সুন্দরবন হলো প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বা স্রোতজ বনভূমি।
-
প্যারাবন হলো সৃজিত ম্যানগ্রোভ বনভূমি।
-
শালবন হলো একটি পত্রপতনশীল বনভূমি।
0
Updated: 1 month ago